ETV Bharat / city

Jadavpur University : সিলেবাস শেষ না-করেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা, অভিযোগ যাদবপুরের পড়ুয়াদের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে সেমিস্টারের পরীক্ষা (JU Students complained about exam) ৷ কিন্তু সিলেবাস শেষ না-করেই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে এবং প্রশ্ন আসছে বাইরে থেকে বলে অভিযোগ তুলছেন পড়ুয়ারা ৷

JU Students complained about exam
Jadavpur University
author img

By

Published : May 4, 2022, 8:27 PM IST

Updated : Jul 7, 2022, 2:15 PM IST

কলকাতা, 4 মে : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শুরু হয়েছে সেমিস্টারের পরীক্ষা । কিছু বিষয়ে না-পড়িয়েই তার থেকে প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে পরীক্ষায় বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের ৷ এছাড়াও নিয়মিত ক্লাস না-নেওয়া ও পরীক্ষার আগের দিনে হোয়াটসঅ্যাপে নোটস পাঠিয়ে পরের দিন সেই বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া-সহ আরও একাধিক অভিযোগ তুলেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়ারা (JU Students complained that exam held without completing the syllabus)।

এক টানা প্রায় দু'বছর বন্ধ থাকার পর গত 3 ফেব্রুয়ারি থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আবার ক্লাসরুমে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে । তবে ক্লাস চালু হলেও একাংশের শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন না । এমনকি এখনও অনেকে অনলাইনেই ক্লাস নিয়ে চলেছে । এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদের । এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংগঠন (ফেটসু) (JU Students complained about exam) ।

আরও পড়ুন : PIL filed on 2014 TET recruitment: 2014-র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বিপুল দুর্নীতি ! জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

ফেটসু-র চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার বলেন, "গত দুই বছর ক্লাসরুম পঠনপাঠন বন্ধ থাকায় এমনিতেই অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে ছাত্র ছাত্রীরা । এরপর আবার যখন ক্লাসে পড়াশোনা শুরু হয়েছে তখন বহু শিক্ষকই নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন না । অনেকে আবার এখনও অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছেন । ইঞ্জিনিয়ারিয়ের বেশ কিছু ডিপার্টমেন্টের 6 মাসের কোর্স দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে শেষ করিয়ে দেওয়া হয়েছে । এর ফলে চাপে পড়েছে পড়ুয়ারা । আবার বেশকিছু ডিপার্টমেন্টে ক্লাস না-করিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দেড় থেকে দুশো পাতার নোটস পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের মোবাইলে । পরীক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে তাদের যে নোটস পাঠানো হয়েছে তার বাইরের প্রশ্নই বেশি । তাই তাঁরা কিছু লিখতে পারছে না । এর ফলে তাদের নম্বর অনেকটা কমে যাবে । চাকরি বা ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে তাদের ।"

তিনি আরও বলেন, "ফেব্রুয়ারি মাসে ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকেই বহুবার এই বিষয়গুলি কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু কেউ কোনও কর্ণপাত করেননি আমাদের সমস্যায় । পড়ুয়ারা বেশি সময় পায়নি সেমিস্টারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার । সিলেবাস শেষ করানো হয়নি । তবুও পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে হয়েছে ।" সোমবার সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন এই বিষয়গুলি নিয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের দ্বারস্থ হন তখন জানতে পারে যে প্রশাসনিক স্তরে কেউই ক্যাম্পাসে উপস্থিত নেই । তাই তাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ফ্যাকাল্টি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন চন্দন মজুমদারকে পুরও বিষয়টি জানায় । অরিত্র মজুমদার বলেন, "দু'দিন ছুটি ৷ আবার আগামিকাল থেকে 18 মে পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা ৷ কিন্তু আমাদের সমস্যার কোনও নিষ্পত্তি হল না ।"

উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তিনি কলকাতায় নেই ৷ প্রশাসনিক কাজে তিনি বাইরে রয়েছেন ৷ এই মুহূর্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য ৷ তবে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি । সুরঞ্জন দাসকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানিয়েছেন, "এক্সামিনেশন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া যাবে না । তাছাড়া কর্তৃপক্ষের তরফেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা পড়ানো হয়েছে তার মধ্য থেকেই প্রশ্ন আসবে ৷ তবুও যদি পরীক্ষার্থীদের কোনওরকম সমস্যা হয়, তাঁরা কতৃপক্ষকে জানালে সেই বিষয়টি দেখা হবে ।"

আরও পড়ুন : Record GST collection in Bengal: এপ্রিলে রেকর্ড জিএসটি সংগ্রহ করে এলিট ক্লাবে ঢুকে পড়ল রাজ্য

কলকাতা, 4 মে : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শুরু হয়েছে সেমিস্টারের পরীক্ষা । কিছু বিষয়ে না-পড়িয়েই তার থেকে প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে পরীক্ষায় বলে অভিযোগ পড়ুয়াদের ৷ এছাড়াও নিয়মিত ক্লাস না-নেওয়া ও পরীক্ষার আগের দিনে হোয়াটসঅ্যাপে নোটস পাঠিয়ে পরের দিন সেই বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া-সহ আরও একাধিক অভিযোগ তুলেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়ারা (JU Students complained that exam held without completing the syllabus)।

এক টানা প্রায় দু'বছর বন্ধ থাকার পর গত 3 ফেব্রুয়ারি থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আবার ক্লাসরুমে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে । তবে ক্লাস চালু হলেও একাংশের শিক্ষকরা নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন না । এমনকি এখনও অনেকে অনলাইনেই ক্লাস নিয়ে চলেছে । এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে পড়ুয়াদের । এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংগঠন (ফেটসু) (JU Students complained about exam) ।

আরও পড়ুন : PIL filed on 2014 TET recruitment: 2014-র প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে বিপুল দুর্নীতি ! জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে

ফেটসু-র চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার বলেন, "গত দুই বছর ক্লাসরুম পঠনপাঠন বন্ধ থাকায় এমনিতেই অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে ছাত্র ছাত্রীরা । এরপর আবার যখন ক্লাসে পড়াশোনা শুরু হয়েছে তখন বহু শিক্ষকই নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন না । অনেকে আবার এখনও অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছেন । ইঞ্জিনিয়ারিয়ের বেশ কিছু ডিপার্টমেন্টের 6 মাসের কোর্স দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে শেষ করিয়ে দেওয়া হয়েছে । এর ফলে চাপে পড়েছে পড়ুয়ারা । আবার বেশকিছু ডিপার্টমেন্টে ক্লাস না-করিয়ে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দেড় থেকে দুশো পাতার নোটস পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে পড়ুয়াদের মোবাইলে । পরীক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে তাদের যে নোটস পাঠানো হয়েছে তার বাইরের প্রশ্নই বেশি । তাই তাঁরা কিছু লিখতে পারছে না । এর ফলে তাদের নম্বর অনেকটা কমে যাবে । চাকরি বা ইন্টার্নশিপের ক্ষেত্রেও সমস্যা হবে তাদের ।"

তিনি আরও বলেন, "ফেব্রুয়ারি মাসে ক্লাস শুরু হওয়ার পর থেকেই বহুবার এই বিষয়গুলি কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু কেউ কোনও কর্ণপাত করেননি আমাদের সমস্যায় । পড়ুয়ারা বেশি সময় পায়নি সেমিস্টারের জন্য প্রস্তুত হওয়ার । সিলেবাস শেষ করানো হয়নি । তবুও পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে হয়েছে ।" সোমবার সেমিস্টার পরীক্ষা শেষ করে ছাত্র-ছাত্রীরা যখন এই বিষয়গুলি নিয়ে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের দ্বারস্থ হন তখন জানতে পারে যে প্রশাসনিক স্তরে কেউই ক্যাম্পাসে উপস্থিত নেই । তাই তাঁরা ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ফ্যাকাল্টি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন চন্দন মজুমদারকে পুরও বিষয়টি জানায় । অরিত্র মজুমদার বলেন, "দু'দিন ছুটি ৷ আবার আগামিকাল থেকে 18 মে পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা ৷ কিন্তু আমাদের সমস্যার কোনও নিষ্পত্তি হল না ।"

উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তিনি কলকাতায় নেই ৷ প্রশাসনিক কাজে তিনি বাইরে রয়েছেন ৷ এই মুহূর্তে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন চিরঞ্জিত ভট্টাচার্য ৷ তবে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যকে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি । সুরঞ্জন দাসকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানিয়েছেন, "এক্সামিনেশন বোর্ডের সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া যাবে না । তাছাড়া কর্তৃপক্ষের তরফেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা পড়ানো হয়েছে তার মধ্য থেকেই প্রশ্ন আসবে ৷ তবুও যদি পরীক্ষার্থীদের কোনওরকম সমস্যা হয়, তাঁরা কতৃপক্ষকে জানালে সেই বিষয়টি দেখা হবে ।"

আরও পড়ুন : Record GST collection in Bengal: এপ্রিলে রেকর্ড জিএসটি সংগ্রহ করে এলিট ক্লাবে ঢুকে পড়ল রাজ্য

Last Updated : Jul 7, 2022, 2:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.