ETV Bharat / city

সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক স্লোগানের ঘটনা ফের ঘটার আশঙ্কা

শনিবার যা হল, তার পর এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে৷ আর তাতে আসন বিধানসভা নির্বাচন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে৷ সেই পরিস্থিতি কীভাবে প্রশাসন ও রাজনৈতিকগুলি সামাল দেবে, এখন সেটাই দেখার৷

Jai Shree Ram Controversy may happen again
সরকারি অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক স্লোগানের ঘটনা ফের ঘটার আশঙ্কা
author img

By

Published : Jan 23, 2021, 9:07 PM IST

Updated : Jan 23, 2021, 10:30 PM IST

কলকাতা, 23 জানুয়ারি : ‘জয় শ্রীরাম’৷ এই বিতর্কের সূচনা প্রথম হয়েছিল বছর দুয়েক আগে৷ রাজ্যে তখন লোকসভা নির্বাচন চলছে৷ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী তখন রাজ্য জুড়ে প্রচারে ব্যস্ত৷ সেই সময় একাধিক বার তাঁকে উদ্দেশ্য করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া হয়েছিল৷ ওই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছিল৷ কিন্তু সেই সময় কখনওই কোনও সভা বা সরকারি অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি৷ যা হল শনিবার বিকেলে৷

শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির 125 তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হয়৷ কেন্দ্রীয় সরকার এবার নেতাজি জয়ন্তীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে৷ এটা ছিল সেই অনুষ্ঠান৷ সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোড়া থেকেই উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু ভাষণ দেওয়ার জন্য যে মুহূর্তে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়৷ সেই মুহূর্তেই দর্শকাসন থেকে কয়েকজন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন৷ এর জেরে চূড়ান্ত রেগে যান মমতা৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সরকারি অনুষ্ঠান৷ কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়৷ এভাবে কাউকে ডেকে অপমান করার কোনও মানে হয় না৷ তাই আমি ভাষণ দেব না৷’’ তা নিয়ে হইচই পড়ে যায় সর্বত্র৷ অধিকাংশ লোকই এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ তবে এই নিয়ে বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছে৷

কিন্তু এভাবে সরকারি অনুষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় স্লোগান দেওয়ার রীতি আগে কখনও ছিল না৷ বিশেষ করে নেতাজির সঙ্গে এর কোনও যোগাযোগই নেই৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যেহেতু গত লোকসভা নির্বাচনের সময় জয় শ্রীরাম শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেগে যেতেন, তাই এটা করা হয়েছে তাঁকে উত্যক্ত করার জন্য৷ যেখান থেকে এই ধ্বনি ওঠে, সেই দিকটাতে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য ও জেলা স্তরের একাধিক নেতা-নেত্রীরা৷ স্বাভাবিক কারা দিয়েছেন, তা স্পষ্ট বলেই জানাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা৷

তবে তাঁদের আশঙ্কা, এটা অনেকটা আগল খুলে দেওয়ার মতো ব্যাপার হল৷ এর পর ভোট পর্বের আগে বা পরে সরকারি অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার এমন একাধিক ঘটনা ঘটতে পারে৷ বিজেপির সভায় তৃণমূলের লোকেরা গিয়ে কিছু বলতে পারে৷ আবার একই কাজ বিজেপির তরফ থেকে করা হতে পারে৷ তখন তা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে৷

আরও পড়ুন : মোদির সামনে ভিক্টোরিয়ায় ‘জয় শ্রীরাম’ শুনে ভাষণ দিলেন না ক্ষুব্ধ মমতা

রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, শনিবার যা হল, তার পর এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে৷ আর তাতে আসন বিধানসভা নির্বাচন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে৷ সেই পরিস্থিতি কীভাবে প্রশাসন ও রাজনৈতিকগুলি সামাল দেবে, এখন সেটাই দেখার৷

কলকাতা, 23 জানুয়ারি : ‘জয় শ্রীরাম’৷ এই বিতর্কের সূচনা প্রথম হয়েছিল বছর দুয়েক আগে৷ রাজ্যে তখন লোকসভা নির্বাচন চলছে৷ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী তখন রাজ্য জুড়ে প্রচারে ব্যস্ত৷ সেই সময় একাধিক বার তাঁকে উদ্দেশ্য করে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়া হয়েছিল৷ ওই ঘটনায় কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছিল৷ কিন্তু সেই সময় কখনওই কোনও সভা বা সরকারি অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি৷ যা হল শনিবার বিকেলে৷

শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজির 125 তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান হয়৷ কেন্দ্রীয় সরকার এবার নেতাজি জয়ন্তীকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে৷ এটা ছিল সেই অনুষ্ঠান৷ সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও গোড়া থেকেই উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু ভাষণ দেওয়ার জন্য যে মুহূর্তে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়৷ সেই মুহূর্তেই দর্শকাসন থেকে কয়েকজন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন৷ এর জেরে চূড়ান্ত রেগে যান মমতা৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সরকারি অনুষ্ঠান৷ কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়৷ এভাবে কাউকে ডেকে অপমান করার কোনও মানে হয় না৷ তাই আমি ভাষণ দেব না৷’’ তা নিয়ে হইচই পড়ে যায় সর্বত্র৷ অধিকাংশ লোকই এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ তবে এই নিয়ে বিজেপিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছে৷

কিন্তু এভাবে সরকারি অনুষ্ঠানে কোনও ধর্মীয় স্লোগান দেওয়ার রীতি আগে কখনও ছিল না৷ বিশেষ করে নেতাজির সঙ্গে এর কোনও যোগাযোগই নেই৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, যেহেতু গত লোকসভা নির্বাচনের সময় জয় শ্রীরাম শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেগে যেতেন, তাই এটা করা হয়েছে তাঁকে উত্যক্ত করার জন্য৷ যেখান থেকে এই ধ্বনি ওঠে, সেই দিকটাতে বসেছিলেন বিজেপির রাজ্য ও জেলা স্তরের একাধিক নেতা-নেত্রীরা৷ স্বাভাবিক কারা দিয়েছেন, তা স্পষ্ট বলেই জানাচ্ছেন পর্যবেক্ষকরা৷

তবে তাঁদের আশঙ্কা, এটা অনেকটা আগল খুলে দেওয়ার মতো ব্যাপার হল৷ এর পর ভোট পর্বের আগে বা পরে সরকারি অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার এমন একাধিক ঘটনা ঘটতে পারে৷ বিজেপির সভায় তৃণমূলের লোকেরা গিয়ে কিছু বলতে পারে৷ আবার একই কাজ বিজেপির তরফ থেকে করা হতে পারে৷ তখন তা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে৷

আরও পড়ুন : মোদির সামনে ভিক্টোরিয়ায় ‘জয় শ্রীরাম’ শুনে ভাষণ দিলেন না ক্ষুব্ধ মমতা

রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, শনিবার যা হল, তার পর এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটবে৷ আর তাতে আসন বিধানসভা নির্বাচন আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে৷ সেই পরিস্থিতি কীভাবে প্রশাসন ও রাজনৈতিকগুলি সামাল দেবে, এখন সেটাই দেখার৷

Last Updated : Jan 23, 2021, 10:30 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.