কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: আর্থিক সংকটের (Financial Crisis) মুখে দেশের অন্যতম প্রাচীন ও স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ! সূত্রের দাবি, গত কয়েক বছরের মধ্য়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতে আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে সরকার পক্ষ ৷ কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই তরফেই একই পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ আর তার জেরেই বিপাকে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় (JU) কর্তৃপক্ষ ৷ পরিস্থিতি সামলাতে একটি বিশেষ আর্থিক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা ৷
সংশ্লিষ্ট সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সমস্যার সূত্রপাত হঠাৎ করে হয়নি ৷ বস্তুত, 2017 সালের পর থেকেই ধাপে ধাপে কমেছে আর্থিক অনুদান ৷ পরবর্তীতে করোনাকালে তা একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকে ৷ এর জেরে থমকে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নের কাজ ৷ শুধু তাই নয় ৷ তথ্য বলছে, করোনাকলে যখন একটানা দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল, সেই সময় অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রবল সমস্যার সমুখীন হতে হয়েছিল গবেষণার সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদেরও ৷
আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসেই অবস্থান-বিক্ষোভ যাদবপুরের অধ্যাপকদের
কর্তৃপক্ষের হাতে আসা হিসাব অনুসারে, চলতি বছর কর্মী, আধিকারিক ও অধ্যাপকদের বেতন বাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্য সরকারি ব্যয় বরাদ্দ কমেছে 23 শতাংশ ৷ এমনকী, গবেষণার খাতেও টাকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে ৷ ফলে বিভিন্ন বিভাগীয় গবেষণার কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৷ কয়েকটি ক্ষেত্রে আবার শর্ত সাপেক্ষে প্রকল্প চালানোর প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে ৷ বলা হচ্ছে, বাজেটের 25 শতাংশ ব্যয়ভার বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকেই ৷
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় এই প্রসঙ্গে জানান, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বাদ দিয়ে বার্ষিক খরচের পরিমাণ প্রায় 45 কোটি টাকা ৷ চলতি বছর এখনও পর্যন্ত দুই ধাপে মাত্র 12 কোটি টাকা পেয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ তৃতীয় দফার টাকা হাতে এলে পরিমাণটা হবে 18 কোটি ৷ চাহিদা ও জোগানের এই যে বিপুল ফারাক রয়েছে, তা কীভাবে পূরণ করা যায়, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটির তত্ত্বাবধানে আরও একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ সেই কমিটিতে বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপকরা থাকবেন ৷"
প্রসঙ্গত, এর আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে থাকা প্রক্তনীদের থেকে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার আশায় অ্যালুমনি সেল তৈরি করা হয়েছিল ৷