কলকাতা, 9 অগাস্ট : সারদার পর রোজ়ভ্যালিকাণ্ডে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে গতকাল তলব করেছিল CBI । তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল সল্টলেকের CGO কমপ্লেক্সে । এনিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আপত্তি জানালেন রাজীব কুমারের আইনজীবী মিলন মুখার্জি ৷
সারদাকাণ্ডে রাজীব কুমারকে সমন পাঠানো সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে হাইকোর্টে ৷ সেই মামলায় গতকাল আইনজীবী মিলনবাবু জানান, মহামান্য হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে রাজীব কুমার কলকাতার বাইরে যেতে পারবেন না । কিন্ত এখন রোজ়ভ্যালিকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে CGO কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে । এখন যদি তিনি সল্টলেকে যান সেটা তো হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হবে ৷
আরও পড়ুন : রোজ়ভ্যালিকাণ্ডে CBI-র তলব, 2 সপ্তাহ সময় চাইলেন রাজীব
যদিও CBI-এর আইনজীবী ওয়াই জেড দস্তুর অবশ্য জানান, এবিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর বা নির্দেশ নেই । এরপর বিচারপতি মধুমতি মিত্র আজ সকাল ১১ টার সময় হলফনামা দিয়ে রাজীব কুমারকে তাঁর বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দেন ।
পাশাপাশি গতকাল রাজীব কুমারের বক্তব্য দ্রুত শেষ করার কথা বলেন বিচারপতি ৷ তিনি রাজীব কুমারের আইনজীবী মিলন মুখার্জিকে বলেন,"আপনার মক্কেলকে সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত বিষয়ে সাক্ষী হিসাবে সমন পাঠানো হয়েছিল । আপনি সেই ব্যাপারে লিগাল পয়েন্টে আপনার বক্তব্য দ্রুত শেষ করুন । গত ১২ দিন ধরে আমার কাছে প্রচুর ফাইল চলে এসেছে । " মিলন মুখার্জি জানান, CBI সারদা চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলার তদন্তের ব্যাপারে গত ৫ বছরে কিছু করেনি । কিন্ত CBI-এর এখন একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে তাঁর মক্কেলকে হেফাজতে নেওয়া । তিনি সাক্ষী কিন্ত তাঁকে এখন দোষীসাব্যস্ত করা হচ্ছে অন্যায়ভাবে । সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করছেন ৷ আজ ফের শুনানি রয়েছে ।
যদিও গতকাল তিনি CGO কমপ্লেক্সে হাজিরা দেননি ৷ কিন্তু নিজে না গেলেও CID আধিকারিকদের পাঠিয়ে দু'সপ্তাহ অতিরিক্ত সময় চেয়ে নেন ৷
উল্লেখ্য, চলতি বছরের 17 মে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খান রাজীব কুমার । তাঁর রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয় । অভিবাসন দপ্তর 23 মে তাঁর বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিশ জারি করে ৷ ফলে তাঁর দেশ ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার সমস্ত পথ বন্ধ হয়ে যায় । 27 মে একটি খামবন্ধ চিঠি CBI দপ্তরে পাঠান তিনি । 31 মে প্রতিনিধি মারফত নিজের পাসপোর্ট CBI দপ্তরে জমা দেন ।