কলকাতা, 3 জুন: গরু পাচার থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে জেরবার বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাহলে কি এ বার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের হাত থেকে ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি পেতেই নিজের শারীরিক অবস্থাকে সামনে রেখে লড়াই করতে চান অনুব্রত ? এমনটাই মনে করছেন অনেকে ।
গতকাল ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে টানা সাড়ে চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ (Anubrata Mondal pretending sick)। আর তার আগে নিজাম প্যালেসে গরু পাচার কাণ্ডে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টারও বেশি জিজ্ঞাসাবাদের ফলে অনেকটাই ধকল গিয়েছে শরীরে । ফলে গতকাল ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি ছুটলেন এসএসকেএম হাসপাতালে ।
জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের অর্শের সমস্যা বেড়েছে ৷ তাই সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে তিনি এসএসকেএম-এ গিয়েছিলেন । এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন এডিজি নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শাসক দলের দলদাসে পরিণত হয়েছে হাসপাতাল । ফলে হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়ে নিজের শারীরিক অবস্থাকে আরও বড় আকারে তুলে ধরাই যায় ।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: কলকাতায় অনুব্রত, ডোমকলে দেহরক্ষীর বাড়িতে 15 ঘণ্টা তল্লাশি সিবিআইয়ের
ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার এবং ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় পৃথক পৃথক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডলের প্রত্যেক দেহরক্ষীর ব্যক্তিগত নম্বর-সহ তাঁর কন্যার ফোন নম্বর ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা । সিজিও কমপ্লেক্স সূত্রের খবর, একাধিক বেআইনি কাজের সময় অনুব্রত মণ্ডল নিজের ফোন নম্বর ব্যবহার না করে আত্মীয় স্বজনের ফোন নম্বর ব্যবহার করে থাকতে পারেন । ফলে এই তথ্যগুলি তাঁদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ।
এই ঘটনায় সিবিআই-এর পাশাপাশি তদন্ত করতে পারেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা । তাঁদের মতে, অনুব্রতর যে সব ফাইল, নথিপত্র এবং যে সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও বিভিন্ন ব্যাংক ডিটেইলস রয়েছে, সেই নথিপত্রগুলি নিজেদের হাতে পেতেই তদন্তে নামতে পারেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের গোয়েন্দারা ৷