কলকাতা, 9 জানুয়ারি : নেশাগ্রস্থ অবস্থায় অটোয় বসে অভিযুক্তের স্ত্রী'কে নিয়ে কটূক্তি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আনন্দপুরে খুন হতে হল অটোচালককে। বিশ্বজিৎ জানা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে জেরা করে সামনে এল কারণ (Police interrogate the accused in Anandapur murder case)। তদন্তে নেমে মঙ্গল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযুক্তকে জেরা করেই সামনে এল খুনের ঘটনার আসল কারণ বা মোটিভ (motive comes to the fore behind Anandapur murder case)।
অভিযোগ, অভিযুক্ত মঙ্গল মণ্ডল এবং তার সঙ্গীদের সঙ্গে নিয়মিত মেলামেশা করত খুন হওয়া অটোচালক বিশ্বজিৎ জানা। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান মুরলীধর শর্মা জানান, ঘটনার দিন আনন্দপুর থানা এলাকায় নিজের অটোয় বসে অভিযুক্ত মঙ্গল মণ্ডলের সঙ্গে মদ্যপান করছিলেন বিশ্বজিৎ জানা। বেশ কিছুক্ষণ একসঙ্গে মদ্যপান করার পর বিশ্বজিৎ জানা আচমকাই মঙ্গল মণ্ডলের স্ত্রীকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য শুরু করেন ৷ স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি ভালচোখে নেয়নি অভিযুক্ত মঙ্গল ৷ তর্কাতর্কি শুরু হয় দু'জনের মধ্যে।
মঙ্গলকে জেরায় পুলিশ আরও জেনেছে যে, প্রাথমিকভাবে সমস্যা মিটে গেলেও মদ্যপান শেষে ফের বিশ্বজিৎ জানা মঙ্গলের স্ত্রী'র ফোন নম্বর চেয়ে বসে। এরপরেই মঙ্গল মেজাজ হারিয়ে ফেলে এবং পকেট থেকে ধারালো অস্ত্র বার করে বিশ্বজিৎকে এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্বজিৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও রেহাই মেলেনি ৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে এরপর লোহার রড দিয়ে বিশ্বজিতের মাথায় এবং শরীরে আঘাত করে বলে জেরায় জানিয়েছে মঙ্গল। এরপর ভারী পাথর দিয়েও বিশ্বজিৎকে আঘাত করে সে।
আরও পড়ুন : Anandapur Auto Driver Murder : আনন্দপুরে অটোচালক খুনে আত্মসমর্পণ অভিযুক্ত গাঁজা বিক্রেতার
ঘটনার পর গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও অবশেষে নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দেয় মঙ্গল। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মঙ্গল এলাকাতেই বেআইনিভাবে গাঁজা বিক্রি করে ৷ তার উদ্যোগেই এলাকায় সন্ধে নামলেই বসে গাঁজা এবং মদের আসর। সেই আসরেই গন্ডগোলের জেরে খুন হতে হল অটোচালক বিশ্বজিৎ জানাকে। তবে ঘটনায় আরও কয়েকজন যুক্ত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।