ETV Bharat / city

স্কুলের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সাউথ পয়েন্টের অভিভাবকদের

author img

By

Published : Mar 18, 2020, 9:49 PM IST

Updated : Mar 18, 2020, 9:54 PM IST

ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদের মাঝেই এবার সাউথ পয়েন্ট স্কুলের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ আনল অভিভাবকরা । স্কুলের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর বলে তাদের অভিযোগ ।

image
সাউথ পয়েন্ট স্কুল

কলকাতা, 18 মার্চ: বছ‍রের শুরু থেকেই অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের অভিভাবকরা । স্কুলের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, কোনও কিছুতেই লাভ হয়নি । আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ দাবি জানালেন তাঁরা । বর্তমানে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা ৷

আজ সাংবাদিক বৈঠকে সাউথ পয়েন্ট স্কুল প‍্যারেন্টস ফোরামের সেক্রেটারি রাজর্ষি চক্রবর্তী বলেন, "এর আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুবার বৈঠক করা হয়েছিল। আমরা তাঁদেরকে আমাদের অসুবিধার কথা জানিয়েছিলাম। স্কুল আশ্বাস ছাড়া আর কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ করেনি । আমরা শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু উনি ব‍্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আপাতত আমরা সাউথ পয়েন্ট স্কুলের যে চিন্তাভাবনা দেখতে পাচ্ছি তাতে তাঁরা 23 শতাংশ ফি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। অনেক বার বলা সত্ত্বেও সেই রাস্তা থেকে ওনারা সরে আসতে নারাজ। এই 23 শতাংশ ফি বৃদ্ধি একেবারে মানাটা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর । এটা অস্বাভাবিক, অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি। সেই জন্য আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই । এই অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি লাঘু হতে চলেছে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ, উনি আমাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন বা কোনও পদক্ষেপ করুন ।"

এই বছর নার্সারি থেকে ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত প্রায় 23 শতাংশ ফি বৃদ্ধি করেছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল। সেই বিষয়ে জানার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদে সরব হন অভিভাবকরা। তাঁদের বক্তব্য, স্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি করার সময়ে যে ফি স্ট্রাকচার স্কুল দেখিয়েছিল, তা দেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা বিবেচনা করেই বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন তাঁরা। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের প্রতি বছর 10 শতাংশ করে যে ফি বৃদ্ধি হয় তাও মেনে নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, একেবারে 23 শতাংশ ফি বৃদ্ধি তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবেন না। বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই অস্বাভাবিক ফি দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলে জানান তাঁরা। এই অসুবিধা নিয়ে একাধিকবার স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুতেই এই 23 শতাংশ ফি বৃদ্ধি থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্কুল পরিবর্তন করতে রাজি নন তাঁরা। কারণ, তাঁদের আশঙ্কা, স্কুল পরিবর্তন করলে পড়ুয়াদের উপর মানসিকভাবে চিপ পড়বে‌। তাই তাঁরা মুখ‍্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন।

পাশাপাশি, সাউথ পয়েন্ট স্কুল প‍্যারেন্টস ফোরামের তরফ থেকে স্কুলের পরিকাঠামো নিয়েও অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, সাউথ পয়েন্টের পরিকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। প‍্যারেন্টস ফোরামের তরফ থেকে শর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "67 জন পড়ুয়া পিছু ক্লাসে একজন করে টিচার। ক্লাসে বাচ্চারা মারামারি-কাটাকাটি করছে টিচারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। টয়লেট একদমই পরিষ্কার নয়। স্কুল থেকে প্রচুর বাচ্চার ইউরিন ইনফেকশন হয়। কী করে হয়? মাসিরা খুব কম সময় বাচ্চাদেরকে ক্লিন করে। বেশিরভাগ সময় বাচ্চারা টয়লেট করে পটি করে ওইভাবেই বাড়ি যায়। এটা একটা আনহাইজেনিক ব্যাপার। আমরা যে পয়সাটা দিচ্ছি, কোথায় দিচ্ছি? আমরা যে বাচ্চাকে স্কুলে দিচ্ছি, সেখানে তাদের হেলথটাও তো দেখতে হবে। খেলার জায়গা নেই। বাচ্চাদের 15 মিনিটের টিফিন টাইম। বাচ্চারা খেলতে পারে না। তার উপর বছরের পর বছর এইভাবে ফি বৃদ্ধি।"

তাহলে কি আপনারা অভিযোগ করছেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর? রাজর্ষি চক্রবর্তী বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে সাউথ পয়েন্টের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। ক্লাসের পরিস্থিতি, বেঞ্চের পরিস্থিতি, টয়লেটের পরিস্থিতি ও সার্বিকভাবে পরিকাঠামোগত দিক থেকে বর্তমানে সাউথ পয়েন্টের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর।

কলকাতা, 18 মার্চ: বছ‍রের শুরু থেকেই অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের অভিভাবকরা । স্কুলের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ, স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, কোনও কিছুতেই লাভ হয়নি । আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী হস্তক্ষেপ দাবি জানালেন তাঁরা । বর্তমানে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা ৷

আজ সাংবাদিক বৈঠকে সাউথ পয়েন্ট স্কুল প‍্যারেন্টস ফোরামের সেক্রেটারি রাজর্ষি চক্রবর্তী বলেন, "এর আগে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দুবার বৈঠক করা হয়েছিল। আমরা তাঁদেরকে আমাদের অসুবিধার কথা জানিয়েছিলাম। স্কুল আশ্বাস ছাড়া আর কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ করেনি । আমরা শিক্ষামন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু উনি ব‍্যস্ত থাকায় তা সম্ভব হয়নি। আপাতত আমরা সাউথ পয়েন্ট স্কুলের যে চিন্তাভাবনা দেখতে পাচ্ছি তাতে তাঁরা 23 শতাংশ ফি বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে। অনেক বার বলা সত্ত্বেও সেই রাস্তা থেকে ওনারা সরে আসতে নারাজ। এই 23 শতাংশ ফি বৃদ্ধি একেবারে মানাটা আমাদের পক্ষে অত্যন্ত কষ্টকর । এটা অস্বাভাবিক, অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি। সেই জন্য আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই । এই অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধি লাঘু হতে চলেছে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি থেকে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের অনুরোধ, উনি আমাদের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন বা কোনও পদক্ষেপ করুন ।"

এই বছর নার্সারি থেকে ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত প্রায় 23 শতাংশ ফি বৃদ্ধি করেছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল। সেই বিষয়ে জানার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিবাদে সরব হন অভিভাবকরা। তাঁদের বক্তব্য, স্কুলে বাচ্চাকে ভর্তি করার সময়ে যে ফি স্ট্রাকচার স্কুল দেখিয়েছিল, তা দেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা বিবেচনা করেই বাচ্চাকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলেন তাঁরা। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের প্রতি বছর 10 শতাংশ করে যে ফি বৃদ্ধি হয় তাও মেনে নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, একেবারে 23 শতাংশ ফি বৃদ্ধি তারা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবেন না। বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে এই অস্বাভাবিক ফি দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয় বলে জানান তাঁরা। এই অসুবিধা নিয়ে একাধিকবার স্কুল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুতেই এই 23 শতাংশ ফি বৃদ্ধি থেকে পিছু হটতে রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্কুল পরিবর্তন করতে রাজি নন তাঁরা। কারণ, তাঁদের আশঙ্কা, স্কুল পরিবর্তন করলে পড়ুয়াদের উপর মানসিকভাবে চিপ পড়বে‌। তাই তাঁরা মুখ‍্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন।

পাশাপাশি, সাউথ পয়েন্ট স্কুল প‍্যারেন্টস ফোরামের তরফ থেকে স্কুলের পরিকাঠামো নিয়েও অভিযোগ তোলা হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, সাউথ পয়েন্টের পরিকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। প‍্যারেন্টস ফোরামের তরফ থেকে শর্মিলা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "67 জন পড়ুয়া পিছু ক্লাসে একজন করে টিচার। ক্লাসে বাচ্চারা মারামারি-কাটাকাটি করছে টিচারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। টয়লেট একদমই পরিষ্কার নয়। স্কুল থেকে প্রচুর বাচ্চার ইউরিন ইনফেকশন হয়। কী করে হয়? মাসিরা খুব কম সময় বাচ্চাদেরকে ক্লিন করে। বেশিরভাগ সময় বাচ্চারা টয়লেট করে পটি করে ওইভাবেই বাড়ি যায়। এটা একটা আনহাইজেনিক ব্যাপার। আমরা যে পয়সাটা দিচ্ছি, কোথায় দিচ্ছি? আমরা যে বাচ্চাকে স্কুলে দিচ্ছি, সেখানে তাদের হেলথটাও তো দেখতে হবে। খেলার জায়গা নেই। বাচ্চাদের 15 মিনিটের টিফিন টাইম। বাচ্চারা খেলতে পারে না। তার উপর বছরের পর বছর এইভাবে ফি বৃদ্ধি।"

তাহলে কি আপনারা অভিযোগ করছেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর? রাজর্ষি চক্রবর্তী বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে সাউথ পয়েন্টের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। ক্লাসের পরিস্থিতি, বেঞ্চের পরিস্থিতি, টয়লেটের পরিস্থিতি ও সার্বিকভাবে পরিকাঠামোগত দিক থেকে বর্তমানে সাউথ পয়েন্টের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর।

Last Updated : Mar 18, 2020, 9:54 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.