ETV Bharat / city

Paray Shikkhalay : ক্লাসের পঠনপাঠন ও 'পাড়ায় শিক্ষালয়' একসঙ্গে চালানো অসম্ভব, মত শিক্ষামহলের - Paray Shikkhalay

স্কুলের শিক্ষার পাশাপাশি 'পাড়ায় শিক্ষালয়' (Paray Shikhaloy)একইসঙ্গে পরিচালনা করা অসম্ভব বলে মনে করছে শিক্ষামহল। যা কেন্দ্র শুরু হয়েছে বিতর্ক ।

Paray Shikhaloy In WB
Paray Shikhaloy In WB
author img

By

Published : Feb 1, 2022, 10:05 PM IST

কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলছে বৃহস্পতিবার থেকে । ক্লাস নেওয়া হবে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত । তবে প্রাক প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য পঠনপাঠন চলবে 'পাড়ায় শিক্ষালয়ে' (Paray Shikhaloy ) ৷ এই সরকারি নির্দেশ পালন করা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে শিক্ষক মহল । করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে রাজ্য সরকার একাধিক ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল । সেইমতো গত নভেম্বর মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাসরুম পঠনপাঠন চালু হলেও জানুয়ারি মাসে আবার তা বন্ধ হয়ে যায় । বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ফের খুলছে স্কুলের তালা ।

সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় তাতে আনা হয়েছে শিথিলতা । খুলছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় । স্কুলে যাবে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারাও । শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা অনুসারে আগামী 7 ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে 'পাড়ায় শিক্ষালয়'। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই আপাতত পড়াশোনা চলবে ছাত্রছাত্রীদের ৷ কিন্তু রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনাকে প্রহসন, অবাস্তব এবং যুক্তিহীন বলে দাবি করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (STEA)-এর সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র ৷ তিনি বলেন, "'পাড়ায় শিক্ষালয়'-এ না রয়েছে বোর্ড, চেয়ার, টেবিল, না রয়েছে শৌচালয়ের ব্যবস্থা ৷ এমনকী নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও । রাজ্য সরকারের পাড়ায় শিক্ষালয়ের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে প্রথম শ্রেণি থেকে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি ।"

সরকারি স্কুলের শিক্ষক অনিমেষ হালদার বলেন, "একইসঙ্গে অষ্টম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ক্লাসরুমে পঠনপাঠন ও 'পাড়ায় শিক্ষালয়' চালানো সম্ভব নয় । এই দুই ব্যবস্থা একসঙ্গে চালাতে হলে প্রয়োজন আরও শিক্ষক-শিক্ষিকার । বেশিরভাগ স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যাও অপ্রতুল ।" অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর পক্ষ থেকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি বলেন, "পাড়ায় শিক্ষালয় চালাবার ক্ষেত্রে বেশকিছু সমস্যা রয়েছে । অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি নয়, একেবারে প্রাক প্রাথমিক থেকে সকল ক্লাসের পঠনপাঠন শুরু হোক । কারণ গ্রামের বিদ্যালয়গুলিতে বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর অভাব রয়েছে । ছাত্রছাত্রীরা অনেক দূর দূরান্ত থেকে স্কুলে আসে । ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষে এই দুইভাগে পাঠদান করা কার্যত অসম্ভব ।"

আরও পড়ুন: রাজ্যে 3 ফেব্রুয়ারি থেকে ফের খুলছে স্কুল-কলেজ

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, "প্রথম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পঠন-পাঠন চালু করতে হবে । স্কুলের সময়ে পাড়ার কোনও খোলা জায়গায় পঠনপাঠন চলবে ৷ শোনা যাচ্ছে, গ্রীষ্মকালেও চলবে এই ব্যবস্থায় পঠনপাঠন । মাথার ছাউনি ছাড়া রোদের মধ্যে কীভাবে ক্লাস চলবে আমরা বুঝে উঠতে পারছি না । অল বেঙ্গল সেকশন কমিটির সম্পাদক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, "স্কুলভবনগুলিতেই যখন পঠনপাঠনের সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে তখন কেন পাড়ায় শিক্ষালয়ের মত প্রহসন করছে রাজ্য সরকার ? প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলেই ক্লাস শুরু করা সম্ভব বলে আমি মনে করি ।"

কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খুলছে বৃহস্পতিবার থেকে । ক্লাস নেওয়া হবে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত । তবে প্রাক প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য পঠনপাঠন চলবে 'পাড়ায় শিক্ষালয়ে' (Paray Shikhaloy ) ৷ এই সরকারি নির্দেশ পালন করা কার্যত অসম্ভব বলেই মনে করছে শিক্ষক মহল । করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের জেরে রাজ্য সরকার একাধিক ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল । সেইমতো গত নভেম্বর মাসে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাসরুম পঠনপাঠন চালু হলেও জানুয়ারি মাসে আবার তা বন্ধ হয়ে যায় । বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ফের খুলছে স্কুলের তালা ।

সোমবার রাজ্য সরকারের তরফে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় তাতে আনা হয়েছে শিথিলতা । খুলছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় । স্কুলে যাবে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারাও । শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকা অনুসারে আগামী 7 ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে 'পাড়ায় শিক্ষালয়'। সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত সেখানেই আপাতত পড়াশোনা চলবে ছাত্রছাত্রীদের ৷ কিন্তু রাজ্য সরকারের এই পরিকল্পনাকে প্রহসন, অবাস্তব এবং যুক্তিহীন বলে দাবি করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি (STEA)-এর সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র ৷ তিনি বলেন, "'পাড়ায় শিক্ষালয়'-এ না রয়েছে বোর্ড, চেয়ার, টেবিল, না রয়েছে শৌচালয়ের ব্যবস্থা ৷ এমনকী নেই পানীয় জলের ব্যবস্থাও । রাজ্য সরকারের পাড়ায় শিক্ষালয়ের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে প্রথম শ্রেণি থেকে বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি ।"

সরকারি স্কুলের শিক্ষক অনিমেষ হালদার বলেন, "একইসঙ্গে অষ্টম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত ক্লাসরুমে পঠনপাঠন ও 'পাড়ায় শিক্ষালয়' চালানো সম্ভব নয় । এই দুই ব্যবস্থা একসঙ্গে চালাতে হলে প্রয়োজন আরও শিক্ষক-শিক্ষিকার । বেশিরভাগ স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যাও অপ্রতুল ।" অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর পক্ষ থেকে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি বলেন, "পাড়ায় শিক্ষালয় চালাবার ক্ষেত্রে বেশকিছু সমস্যা রয়েছে । অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি নয়, একেবারে প্রাক প্রাথমিক থেকে সকল ক্লাসের পঠনপাঠন শুরু হোক । কারণ গ্রামের বিদ্যালয়গুলিতে বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর অভাব রয়েছে । ছাত্রছাত্রীরা অনেক দূর দূরান্ত থেকে স্কুলে আসে । ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষে এই দুইভাগে পাঠদান করা কার্যত অসম্ভব ।"

আরও পড়ুন: রাজ্যে 3 ফেব্রুয়ারি থেকে ফের খুলছে স্কুল-কলেজ

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী, শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেন, "প্রথম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে পঠন-পাঠন চালু করতে হবে । স্কুলের সময়ে পাড়ার কোনও খোলা জায়গায় পঠনপাঠন চলবে ৷ শোনা যাচ্ছে, গ্রীষ্মকালেও চলবে এই ব্যবস্থায় পঠনপাঠন । মাথার ছাউনি ছাড়া রোদের মধ্যে কীভাবে ক্লাস চলবে আমরা বুঝে উঠতে পারছি না । অল বেঙ্গল সেকশন কমিটির সম্পাদক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, "স্কুলভবনগুলিতেই যখন পঠনপাঠনের সমস্ত ব্যবস্থা রয়েছে তখন কেন পাড়ায় শিক্ষালয়ের মত প্রহসন করছে রাজ্য সরকার ? প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলেই ক্লাস শুরু করা সম্ভব বলে আমি মনে করি ।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.