কলকাতা, 6 মার্চ : হোটেলে আগেই ধার ছিল । সেই ধার না মিটিয়ে ফের খাবার কিনতে গিয়েছিল দুই যুবক ৷ হোটেল মালিক ধার মেটাতে বললে ওই দুই যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসা বাধে ৷ অভিযোগ, হোটেল মালিকের হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে হোটেলের এক কর্মচারীকে বেধড়ক মারধর করে ওই দুই যুবক ৷ গুরুতর জখম অবস্থায় ওই কর্মচারীকে প্রথমে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয় ৷ পরে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ অন্যজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷
মৃতের নাম বরুণ সাউ (25) ৷ 93 নম্বর নারকেলডাঙা মেইন রোডে ছোটোখাটো একটি হোটেল চালান শিবকুমার সাহু । শিবকুমারবাবুর হোটেলে কর্মচারী ছিল বরুণ ৷ শিবকুমারবাবুর বক্তব্য, বেশ কয়েকবার তাঁর হোটেলে ধারে খাবার কিনেছে কাদাপাড়ার মুকেশ যাদব এবং লালু যাদব । কিন্তু ধার শোধ করেনি । 4 তারিখ গভীর রাতে ফের খাবার কিনতে আসে মুকেশ এবং লালু । তখন তাদের আগের 900 টাকা মেটানোর জন্য প্রথমে অনুরোধ করেন তিনি । কিন্তু তাতে বেজায় চটে যায় তারা ৷ গালিগালাজ শুরু করে ৷ তারই প্রতিবাদ করে বরুণ । অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় মুকেশ ও লালু বেধড়ক মারধর করে বরুণকে ৷ বরুণের মুখে ও মাথায় গুরুতর চোট লাগে ৷ প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে চম্পট দেয় দু'জন ৷
গুরুতর জখম অবস্থায় বরুণকে স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভরতি করা হয় ৷ পরে সেখান থেকে একটি বেসরকারি হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ৷ সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷
ঘটনায় ফুলবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিবকুমারবাবু । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ লালু যাদবকে গ্রেপ্তার করেছে । যদিও মুকেশ যাদব পালাতক । তার খোঁজ চলছে । বরুণের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য ।