কলকাতা, 6 জুন : ফের বেকায়দায় স্কুল সার্ভিস কমিশন । এক প্রার্থীকে বেআইনিভাবে নিয়োগ করার জন্য চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা । নবম-দশম শ্রেণির গণিত বিষয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সিদ্দিক গাজী নামে এক প্রার্থীকে নিয়োগ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন । অবিলম্বে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে ওই প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি (High Court orders to dismiss a teacher from job in SSC Recruitment)।
আগামী বুধবার ফের মামলাটি রাখা হয়েছে শুনানির জন্য । ওইদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী এই মামলার প্রয়োজনীয় নথিপত্র আদালতে হাজির করবেন বলে জানা গিয়েছে । স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, এই মুহূর্তে নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত মামলায় সিবিআই তদন্ত চলছে । সার্ভিস কমিশনের সমস্ত ডাটা লক করা রয়েছে । সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছে সমস্ত ডাটা রুম । কিন্তু বিচারপতি স্কুল সার্ভিস কমিশনের বক্তব্যকে ততটা গুরুত্ব দেননি ।
আদালত সূত্রে খবর, 2016 সালের নবম-দশম শ্রেণিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অঙ্ক বিষয়ে মেধাতালিকায় নাম ছিল অনুপ গুপ্তা ও সিদ্দিক গাজী দু'জনেরই । অনুপ গুপ্তার ব়্যাঙ্ক ছিল 200 । অন্যদিকে সিদ্দিক গাজী ব়্যাঙ্ক ছিল 275 নম্বরে । সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সিদ্দিক গাজীকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিয়োগপত্র দিয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল ।
উল্লেখ্য, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আদালতে একের পর এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ এমনিতেই সমস্যায় রয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন । আজকেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ পরিবর্তন করে স্কুল সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত মামলা এসেছে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে । প্রথম দিন শুনানিতেই অস্বস্তিতে পড়ল স্কুল সার্ভিস কমিশন (HC on SSC Recruitment)।
আরও পড়ুন : Ankita Adhikary Job Terminated Reaction : পরেশ কন্যা অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের ঘোষণায় খুশি মেখলিগঞ্জ
কলকাতা হাইকোর্টের গ্রীষ্মকালীন অবকাশের আগে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে ঠিক একই কারণে চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । তারপর ফের এক প্রার্থীর চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল এদিন । অনুপ গুপ্তার আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, অঙ্কের মেধাতালিকায় অনুপ গুপ্তার স্থান হয়েছিল 200 নম্বরে ৷ অন্যদিকে সিদ্দিক গাজী ছিলেন 275 নম্বরে ৷ তা সত্ত্বেও তাঁকে চাকরিতে নিযুক্ত করা হয় । বিচারপতি শোনার পরই সিদ্দিক গাজীর চাকরি অবিলম্বে বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন ।"