কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর : ফি সংক্রান্ত মামলায় 20 জুলাই রাজ্য সরকারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি খতিয়ে দেখে বেসরকারি স্কুলগুলিকে বিবেচনা করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের । বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দিয়েছেন । আগামী পরশু (বুধবার) দিন ফের শুনানি।
প্রসঙ্গত, কোরোনা পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ স্কুলগুলিতে স্বাভাবিক পড়াশোনা বন্ধ। তার জেরে গোটা রাজ্যে বেসরকারি স্কুলগুলির ফি দেওয়াকে কেন্দ্র করে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে পথে নেমেছেন । কারণ স্কুলগুলো স্বাভাবিকভাবে না চলার জন্য অভিভাবকদের দাবি ছিল স্কুলগুলো যাতে ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কাটছাঁট করে । এই পরিস্থিতিতে গত 20 জুলাই রাজ্যের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লকডাউনের মধ্যে কোনও অভিভাবক বেতন দিতে দেরি করলেও কোনও ছাত্র ছাত্রীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা যাবে না । বেতন দিতে দেরি হচ্ছে বলে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস বন্ধ করে দেওয়া বা পরীক্ষায় বসার ক্ষেত্রে যেন কোনও সমস্যার সৃষ্টি না করা হয় ।
2020- 21 শিক্ষাবর্ষে নতুন বাড়তি কোনও ফি চাপানো যাবে না যাতে অভিভাবকদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয় । এই কঠিন পরিস্থিতিতে এমন ফি নেওয়া অনুচিত হবে যে সমস্ত পরিষেবা স্কুলগুলো দেয়নি । যেমন, গাড়ি ভাড়া, কম্পিউটার, ল্যাবরেটরি এই ক্ষেত্রে সামান্য ফি নেওয়া যেতে পারে, সম্পূর্ণ ফি নেওয়া যাবে না । আজ ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের দেওয়া এই বিজ্ঞপ্তি সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলোকে ভালো করে পর্যালোচনা করে তাঁদের কী মতামত তা আগামী পরশু দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । পরশুদিন ফের এই মামলার শুনানি ।
14 সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট ফি কমানোর বিষয়টি স্কুলগুলোকেই ঠিক করার নির্দেশ দেয় । পাশাপাশি প্রত্যেক ক্লাসের আলাদা আলাদা করে এবং অভিভাবকদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ফি ছাড়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ । কিন্তু তাতেও সমস্যার কোনও সুরাহা হচ্ছে না দেখে আজকের এই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি ভালো করে খতিয়ে দেখে স্কুলগুলিকে তাদের মতামত পরশু দিনের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ।