ETV Bharat / city

মনিরুলের লাভপুর যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি হাইকোর্টের

author img

By

Published : Feb 28, 2020, 6:31 PM IST

মনিরুল ইসলামকে তদন্তকারী অফিসার যখন ডাকবেন যেতে হবে । তদন্ত সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে । পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি লাভপুরে ঢুকতে পারবেন না । জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

Monirul Islam
Monirul Islam

কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : BJP নেতা মনিরুল ইসলামের লাভপুরে যেতে পারবেন না ৷ এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ "একজন দোষী সেটা আমরা বুঝতে পারছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, তখনই সে দোষী হচ্ছে, যখন রাজনৈতিক দল বদল করে অন্য দলে যাচ্ছে ।" মনিরুল ইসলাম সংক্রান্ত মামলায় মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ।

লাভপুর এলাকায় একাধিক ব্যক্তিকে স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগে আপাতত এই এলাকায় ঢোকা নিয়ে মনিরুল ইসলামের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট । পুলিশ তদন্তের কারণে যখন প্রয়োজন মনে করবে তাঁকে ডাকতে পারে । তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে তাকে পূর্ণ সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । পাশাপাশি তিনি বর্তমানে যেখানে থাকবেন সেই ঠিকানা জানাতে হবে পুলিশকে । তবে আপাতত ছয় সপ্তাহ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না পুলিশ । চার সপ্তাহ পরে মামলার পরবর্তী শুনানি । ওই দিন পুলিশকে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছেন বিচারপতি ।

মামলার বয়ান অনুযায়ী, বছর পাঁচেক আগে লাভপুর থানায় মনিরুল ইসলামের নামে একটি অভিযোগ দায়ের হয় । মূল অভিযোগ ছিল স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন । পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত 34 জন ব্যক্তি লাভপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন । 2018 সালে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ । আজ মামলার শুনানিতে মনিরুল ইসলামের তরফে আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় ও সাবির আহমেদ বলেন, "আমাদের মক্কেল একজন বিধানসভার সদস্য । তিনি 2019 সালে রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করেছেন । তারপর থেকেই তার নামে একাধিক ভুয়া অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক ।"

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি রাজ্যের কাছে জানতে চান তাঁদের কী বক্তব্য । রাজ্যের তরফে সরকারী কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান লাভপুরের সাধারণ গ্রামবাসীর থেকে স্কুলে চাকরি দেবেন বলে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন অভিযুক্ত মনিরুল। তখন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশের থেকে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে খতিয়ে দেখেন । দেখার পরে বিচারপতি বলেন,"পুলিশের কাছে বছর পাঁচেক আগে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয়েছে । এদিকে অভিযোগকারী বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও কাজল রায় বছর চারেক আগে মনিরুল ইসলামের সাথে চাকরি সংক্রান্ত ব্যাপারে একটা লিখিত চুক্তি করেছিলেন সেটাও দেখা যাচ্ছে । আপনারা এই সমস্ত ঘটনা তদন্ত শুরু করলেন 2018 সালে এসে? এত দেরি করলেন কেন? তখন রাজ্যের তরফে বলা হয় আবেদনকারীরা অপেক্ষা করছিলেন যদি তাঁরা চাকরি পান, তাই পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করেনি ।

সেই সময় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি মন্তব্য করেন,"অভিযুক্ত একজন দোষী সেটা আমরা বুঝতে পারছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল তখনই সে দোষী হচ্ছে ৷ যখন দল বদল করে অন্য দলে যাচ্ছে ৷" বিচারপতি জানান অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং পুলিশের নথিপত্রের মধ্যে অনেক গলদ রয়েছে ৷ এর ভিত্তিতে কাউকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিতে পারে না আদালত । তবে মনিরুল ইসলামকে তদন্তকারী অফিসার যখন ডাকবে যেতে হবে । তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে । পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি লাভপুরে ঢুকতে পারবেন না । পাশাপাশি বর্তমানে তিনি যে ঠিকানায় থাকবেন সেটা জানাতে হবে তদন্তকারী অফিসারদের । সেই সঙ্গে মনিরুল ইসলামের নামে লাভপুর থানায় আরও যদি কোন অভিযোগ থাকে তার সমস্ত বিশদ রিপোর্ট আগামী চার সপ্তাহ পরে পরবর্তী শুনানির দিন পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে ।

কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : BJP নেতা মনিরুল ইসলামের লাভপুরে যেতে পারবেন না ৷ এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ "একজন দোষী সেটা আমরা বুঝতে পারছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, তখনই সে দোষী হচ্ছে, যখন রাজনৈতিক দল বদল করে অন্য দলে যাচ্ছে ।" মনিরুল ইসলাম সংক্রান্ত মামলায় মন্তব্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ।

লাভপুর এলাকায় একাধিক ব্যক্তিকে স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগে আপাতত এই এলাকায় ঢোকা নিয়ে মনিরুল ইসলামের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা হাইকোর্ট । পুলিশ তদন্তের কারণে যখন প্রয়োজন মনে করবে তাঁকে ডাকতে পারে । তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে তাকে পূর্ণ সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । পাশাপাশি তিনি বর্তমানে যেখানে থাকবেন সেই ঠিকানা জানাতে হবে পুলিশকে । তবে আপাতত ছয় সপ্তাহ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না পুলিশ । চার সপ্তাহ পরে মামলার পরবর্তী শুনানি । ওই দিন পুলিশকে রিপোর্ট পেশ করতে বলেছেন বিচারপতি ।

মামলার বয়ান অনুযায়ী, বছর পাঁচেক আগে লাভপুর থানায় মনিরুল ইসলামের নামে একটি অভিযোগ দায়ের হয় । মূল অভিযোগ ছিল স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন । পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত 34 জন ব্যক্তি লাভপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন । 2018 সালে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ । আজ মামলার শুনানিতে মনিরুল ইসলামের তরফে আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় ও সাবির আহমেদ বলেন, "আমাদের মক্কেল একজন বিধানসভার সদস্য । তিনি 2019 সালে রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করেছেন । তারপর থেকেই তার নামে একাধিক ভুয়া অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । এই সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক অভিসন্ধিমূলক ।"

বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি রাজ্যের কাছে জানতে চান তাঁদের কী বক্তব্য । রাজ্যের তরফে সরকারী কৌঁসুলি শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান লাভপুরের সাধারণ গ্রামবাসীর থেকে স্কুলে চাকরি দেবেন বলে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন অভিযুক্ত মনিরুল। তখন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও শুভ্রা ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ পুলিশের থেকে সমস্ত নথিপত্র নিয়ে খতিয়ে দেখেন । দেখার পরে বিচারপতি বলেন,"পুলিশের কাছে বছর পাঁচেক আগে প্রথম অভিযোগ দায়ের হয়েছে । এদিকে অভিযোগকারী বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও কাজল রায় বছর চারেক আগে মনিরুল ইসলামের সাথে চাকরি সংক্রান্ত ব্যাপারে একটা লিখিত চুক্তি করেছিলেন সেটাও দেখা যাচ্ছে । আপনারা এই সমস্ত ঘটনা তদন্ত শুরু করলেন 2018 সালে এসে? এত দেরি করলেন কেন? তখন রাজ্যের তরফে বলা হয় আবেদনকারীরা অপেক্ষা করছিলেন যদি তাঁরা চাকরি পান, তাই পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করেনি ।

সেই সময় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি মন্তব্য করেন,"অভিযুক্ত একজন দোষী সেটা আমরা বুঝতে পারছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল তখনই সে দোষী হচ্ছে ৷ যখন দল বদল করে অন্য দলে যাচ্ছে ৷" বিচারপতি জানান অভিযোগকারীর বক্তব্য এবং পুলিশের নথিপত্রের মধ্যে অনেক গলদ রয়েছে ৷ এর ভিত্তিতে কাউকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিতে পারে না আদালত । তবে মনিরুল ইসলামকে তদন্তকারী অফিসার যখন ডাকবে যেতে হবে । তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে হবে । পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি লাভপুরে ঢুকতে পারবেন না । পাশাপাশি বর্তমানে তিনি যে ঠিকানায় থাকবেন সেটা জানাতে হবে তদন্তকারী অফিসারদের । সেই সঙ্গে মনিরুল ইসলামের নামে লাভপুর থানায় আরও যদি কোন অভিযোগ থাকে তার সমস্ত বিশদ রিপোর্ট আগামী চার সপ্তাহ পরে পরবর্তী শুনানির দিন পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.