ETV Bharat / city

Hemoglobin deficiency : পশ্চিমবঙ্গে রক্তাল্পতায় ভোগা মহিলা এবং শিশুদের সংখ্যা উদ্বেগজনক : কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান

চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দুই বছরে করোনা অতিমারির ফলে বহু হেলথ মিশন প্রোগ্রাম সঠিকভাবে কার্যকর করা যায়নি এবং সেই কারণেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে ।

Children and women anemia
পশ্চিমবঙ্গে রক্তাল্পতায় ভোগা মহিলা এবং শিশুদের সংখ্যা উদ্বেগজনক: কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান
author img

By

Published : Oct 20, 2021, 8:19 PM IST

কলকাতা, 20 অক্টোবর : সম্প্রতি নীতি আয়োগ তাদের 'স্টেট নিউট্রিশন প্রোফাইলস' (State Nutrition Profiles)-এর 2020 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে । এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে রক্তাল্পতায় ভোগা মহিলা এবং শিশুদের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে । এখানে বলে রাখা ভাল যে স্টেট নিউট্রিশন প্রোফাইলস-এর এই সর্বশেষ পরিসংখ্যানে মার্চ 2006 থেকে মার্চ 2020, এই 14 বছরের পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হয়েছে ।

পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক তা বোঝাতে 2016 থেকে 2020, এই চার বছরের মধ্যেকার একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট । এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 2016 সালের মার্চে 15 থেকে 49 বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের মধ্যে গড় রক্তাল্পতার হার ছিল 54 । 2020 সালের মার্চে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে 62-তে ।

অন্তঃসত্ত্বা নন, এমন 15 থেকে 49 বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে সংখ্যাটাও বিষেশভাবে উদ্বেগজনক । মার্চ, 2006 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই সমস্ত মহিলাদের মধ্যে গড় রক্তাল্পতার হার ছিল 63 ৷ ঠিক 14 বছর পর, মানে মার্চ, 2020- এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেই সংখ্যাটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে 72 ।

আরও পড়ুন : Bangladesh Violence : বাংলাদেশ কি পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে, আশঙ্কা প্রকাশ অপর্ণার

শিশুদের ক্ষেত্রে, 2006 সালের মার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গড় রক্তাল্পতার হার ছিল 61 । মার্চ, 2020 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেই সংখ্যাটিই বেড়ে দাঁড়িয়েছে 69 । পশ্চিমবঙ্গের যে পাঁচটি জেলাতে গড় রক্তাল্পতার হার সব থেকে বেশি সেই পাঁচটি জেলা হল মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মালদা এবং বর্ধমান ।

চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দুই বছরে করোনা অতিমারির ফলে বহু হেলথ মিশন প্রোগ্রাম সঠিকভাবে কার্যকর করা যায়নি এবং সেই কারণেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

কলকাতার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায়ের মত, 2006 সালের মার্চ হোক, বা 2020 সালের মার্চ, চিত্রটি কখনওই খুব উজ্জ্বল ছিল না । "মার্চ 2006 সালে রাজ্যের শিশুদের মধ্যে গড় রক্তাল্পতার হার ছিল 61। এটাকে কখনওই উজ্জ্বল চিত্র বলে যাবে না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতির চেয়ে অবনতিই বেশি ঘটেছে। এর কারণ গত দুই বছরে করোনা অতিমারির ফলে বহু হেলথ মিশন প্রোগ্রাম সঠিকভাবে কার্যকরী না হওয়া ৷"

কলকাতা, 20 অক্টোবর : সম্প্রতি নীতি আয়োগ তাদের 'স্টেট নিউট্রিশন প্রোফাইলস' (State Nutrition Profiles)-এর 2020 সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে । এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত কয়েক বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে রক্তাল্পতায় ভোগা মহিলা এবং শিশুদের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে । এখানে বলে রাখা ভাল যে স্টেট নিউট্রিশন প্রোফাইলস-এর এই সর্বশেষ পরিসংখ্যানে মার্চ 2006 থেকে মার্চ 2020, এই 14 বছরের পরিস্থিতিকে তুলে ধরা হয়েছে ।

পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগজনক তা বোঝাতে 2016 থেকে 2020, এই চার বছরের মধ্যেকার একটি পরিসংখ্যানই যথেষ্ট । এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, 2016 সালের মার্চে 15 থেকে 49 বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের মধ্যে গড় রক্তাল্পতার হার ছিল 54 । 2020 সালের মার্চে সেই সংখ্যাটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে 62-তে ।

অন্তঃসত্ত্বা নন, এমন 15 থেকে 49 বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে সংখ্যাটাও বিষেশভাবে উদ্বেগজনক । মার্চ, 2006 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই সমস্ত মহিলাদের মধ্যে গড় রক্তাল্পতার হার ছিল 63 ৷ ঠিক 14 বছর পর, মানে মার্চ, 2020- এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেই সংখ্যাটাই বেড়ে দাঁড়িয়েছে 72 ।

আরও পড়ুন : Bangladesh Violence : বাংলাদেশ কি পাকিস্তান হয়ে যাচ্ছে, আশঙ্কা প্রকাশ অপর্ণার

শিশুদের ক্ষেত্রে, 2006 সালের মার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গড় রক্তাল্পতার হার ছিল 61 । মার্চ, 2020 সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সেই সংখ্যাটিই বেড়ে দাঁড়িয়েছে 69 । পশ্চিমবঙ্গের যে পাঁচটি জেলাতে গড় রক্তাল্পতার হার সব থেকে বেশি সেই পাঁচটি জেলা হল মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, মালদা এবং বর্ধমান ।

চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, গত দুই বছরে করোনা অতিমারির ফলে বহু হেলথ মিশন প্রোগ্রাম সঠিকভাবে কার্যকর করা যায়নি এবং সেই কারণেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

কলকাতার শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায়ের মত, 2006 সালের মার্চ হোক, বা 2020 সালের মার্চ, চিত্রটি কখনওই খুব উজ্জ্বল ছিল না । "মার্চ 2006 সালে রাজ্যের শিশুদের মধ্যে গড় রক্তাল্পতার হার ছিল 61। এটাকে কখনওই উজ্জ্বল চিত্র বলে যাবে না। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতির চেয়ে অবনতিই বেশি ঘটেছে। এর কারণ গত দুই বছরে করোনা অতিমারির ফলে বহু হেলথ মিশন প্রোগ্রাম সঠিকভাবে কার্যকরী না হওয়া ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.