কলকাতা, 15 জুন: রাজ্যের বিরোধী দলের বিধায়কদের সম্মিলিত অভিযোগের পরই এ বার দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar) ৷ টুইট করে এ কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন ৷ গতকাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ (Subhendu Adhikari) বিজেপির 51 জন বিধায়কের পাশে বসে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে তোপ দেগেছিলেন ধনকড় ৷ তার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না-কাটতেই আজ রাজ্যপালের দিল্লি যাত্রা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে ৷
আজ সকালে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়েছে, 'পশ্চিমবঙ্গের সম্মানীয় রাজ্যপাল শ্রী জগদীপ ধনকড় নয়াদিল্লি যাচ্ছেন ৷ রাজ্যপাল ধনকড় 15 জুন, 2021 -এর সন্ধেয় দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং 18 জুন, 2021-এর বিকেলে কলকাতায় ফিরবেন' ৷ তবে তাঁর সফরসূচির বিস্তারিত কিছু জানাননি রাজ্যপাল ৷
আরও পড়ুন: মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন আনার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে সোমবার রাজভবনে যান বিজেপির 51 জন বিধায়ক ৷ রাজ্যপাল ধনকড়ের হাতে নানা অভিযোগ সম্বলিত একটি স্মারকলিপি তুলে দেন তাঁরা ৷ দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগ-সহ বেশকিছু দাবিদাওয়ার কথা তাঁরা জানিয়েছেন ৷ রাজ্যভবনে দাঁড়িয়ে মুকুল রায়কে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী জানান, আগামী দু'দিনের মধ্যে মুকুল রায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা না-দিলে, তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে বিধানসভার স্পিকারের কাছে আবেদন করা হবে । তিনি বলেন, "কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক দল বদল করেছেন । আমরা চাইছি তিনি দু'দিনের মধ্যে পদত্যাগ করুন । না-হলে আমরা অধ্যক্ষের কাছে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করার আবেদন জানাব । তাতে কাজ না-হলে আমাদের সর্বভারতীয় নেতা ভূপেন্দ্র যাদব ও রবিশঙ্কর প্রসাদ এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন ।"
আরও পড়ুন: রাজভবনের 'অধিকার' কেড়ে দিনের শেষে শোভন বাড়ল নাকতলার
বিজেপি নেতাদের পাশে বসিয়েই রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন রাজ্যপাল ধনকড়ও ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, "বাংলায় গণতন্ত্র শ্বাস নিতে পারছে না । মানুষ রায় দিয়েছেন । কিন্তু প্রশাসন তার কাজ করছে না । বরং প্রশাসনিক কর্তারা আগুন নিয়ে খেলছেন । রাজ্যে লাগাতার ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে । অথচ একবারের জন্যও সেই জায়গাগুলিতে গেলেন না মুখ্যমন্ত্রী । লাগাতার হিংসা সত্ত্বেও নীরব রয়েছে প্রশাসন । আমি আশা করব, তিনি দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করবেন ৷"
আরও পড়ুন : রত্না ব্যাভিচারী, জোড়ে আক্রমণ শোভন-বৈশাখীর
এই ঘটনার পরদিনই রাজ্যপালের দিল্লি উড়ে যাওয়াকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে ৷ রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কোনও বৈঠক হবে কি না, তা নিয়েও জল্পনা তৈরি হয়েছে ৷