ETV Bharat / city

সন্তোষ মিত্রে সোনার দুর্গা, ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের

সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারে মোট 50 কেজি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে । সোনার পাত দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা, সিংহ এবং অসুর । মোট কুড়ি কোটি টাকার সোনায় তেরো ফুটের প্রতিমা আগাগোড়া মোড়া রয়েছে । মণ্ডপের অন্দরসজ্জায় সোনালি ছাপ । মায়াপুরের একটি নির্মীয়মাণ মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে এবারের মণ্ডপ । সোনার দুর্গার টানে তৃতীয়া থেকেই ভিড় দর্শনার্থীদের ৷

author img

By

Published : Oct 3, 2019, 7:21 PM IST

Updated : Oct 3, 2019, 8:49 PM IST

সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারের প্রতিমা

কলকাতা : সকাল 9টা 45 মিনিটের বনগাঁ লোকাল বা 8টা 12 মিনিটের ক্যানিং । সাতসকালেই হাতে টিফিন বক্সের ব্যাগ ঝুলিয়ে হাজির হতেন ওঁরা । শিয়ালদা স্টেশনে নেমে পৌঁছে যেতেন বউবাজারের বিভিন্ন ওয়ার্কশপে । ঠুকঠুক শব্দে যেন তৈরি হত ছন্দ । হাতের নিখুঁত দক্ষতায় ফুটে উঠত অলংকারের নিখুঁত সব নকশা । দিনগুলো একটু একটু করে মুছে যাচ্ছে বউবাজার থেকে । স্বর্ণশিল্পেও মানুষের জায়গা নিচ্ছে মেশিন । আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যার সর্বজনীনের ভাবনা ।

মোট 50 কেজি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে । সোনার পাত দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা, সিংহ এবং অসুর । মোট কুড়ি কোটি টাকার সোনায় তেরো ফুটের প্রতিমা আগাগোড়া মোড়া রয়েছে । মণ্ডপের অন্দরসজ্জায় সোনালি ছাপ । মায়াপুরের একটি নির্মীয়মাণ মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে এবারের মণ্ডপ । সোনার দুর্গার টানে তৃতীয়া থেকেই ভিড় দর্শনার্থীদের ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

2017 সালে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারে মা পড়েছিলেন সোনার শাড়ি । অগ্নিমিত্রা পাল তৈরি করেছিলেন সেই শাড়ি । গতবছর সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারে তৈরি হয়েছিল রূপোর রথ । সেই ট্র্যাডিশন বজায় রেখে এবার সোনার দুর্গা । কিন্তু কেন? কেন প্রতিবছর সোনা বা রূপোর ব্যবহার হচ্ছে পুজোয়? সন্তোষ মিত্র স্কয়্যার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, "আমরা সোনার পাড়ায় থাকি । একটা সময় 50 হাজার লোক সোনার কারিগর হিসেবে রোজ এখানে কাজ করতেন । কিন্তু এখন সে সবই ইতিহাস ৷ আমরা সেই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই । গোটা বিশ্বকে বলতে চাই হাতের কাজের কোনও বিকল্প নেই । হাতের কাজ মানুষের হাতেই সম্ভব, মেশিনে সম্ভব নয় ৷" মণ্ডপ প্রসঙ্গে মজা করে সজলবাবু বলেন, "নবদ্বীপের একটি নির্মীয়মাণ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে ৷ তবে তারা এখনও তৈরি করে উঠতে পারেনি ৷ আমরা কিন্তু করে ফেলেছি ৷ আমরা এরপর বলব যে আমাদের নকল করেছে ৷" বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, "আমাদের বাজেট দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার ভিতরে ৷ সোনাটা কম্পানির ৷ যারা দিচ্ছে তারাই আবার নিয়ে চলে যাবে ৷"

Gold made Durga in Santosh Mitra Square in Kolkata
মায়াপুরের নির্মীয়মান একটি মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারের মণ্ডপ

কলকাতা : সকাল 9টা 45 মিনিটের বনগাঁ লোকাল বা 8টা 12 মিনিটের ক্যানিং । সাতসকালেই হাতে টিফিন বক্সের ব্যাগ ঝুলিয়ে হাজির হতেন ওঁরা । শিয়ালদা স্টেশনে নেমে পৌঁছে যেতেন বউবাজারের বিভিন্ন ওয়ার্কশপে । ঠুকঠুক শব্দে যেন তৈরি হত ছন্দ । হাতের নিখুঁত দক্ষতায় ফুটে উঠত অলংকারের নিখুঁত সব নকশা । দিনগুলো একটু একটু করে মুছে যাচ্ছে বউবাজার থেকে । স্বর্ণশিল্পেও মানুষের জায়গা নিচ্ছে মেশিন । আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যার সর্বজনীনের ভাবনা ।

মোট 50 কেজি সোনা ব্যবহার করা হয়েছে । সোনার পাত দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে দুর্গা প্রতিমা, সিংহ এবং অসুর । মোট কুড়ি কোটি টাকার সোনায় তেরো ফুটের প্রতিমা আগাগোড়া মোড়া রয়েছে । মণ্ডপের অন্দরসজ্জায় সোনালি ছাপ । মায়াপুরের একটি নির্মীয়মাণ মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে এবারের মণ্ডপ । সোনার দুর্গার টানে তৃতীয়া থেকেই ভিড় দর্শনার্থীদের ৷

দেখুন ভিডিয়ো...

2017 সালে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারে মা পড়েছিলেন সোনার শাড়ি । অগ্নিমিত্রা পাল তৈরি করেছিলেন সেই শাড়ি । গতবছর সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারে তৈরি হয়েছিল রূপোর রথ । সেই ট্র্যাডিশন বজায় রেখে এবার সোনার দুর্গা । কিন্তু কেন? কেন প্রতিবছর সোনা বা রূপোর ব্যবহার হচ্ছে পুজোয়? সন্তোষ মিত্র স্কয়্যার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক সজল ঘোষ বলেন, "আমরা সোনার পাড়ায় থাকি । একটা সময় 50 হাজার লোক সোনার কারিগর হিসেবে রোজ এখানে কাজ করতেন । কিন্তু এখন সে সবই ইতিহাস ৷ আমরা সেই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই । গোটা বিশ্বকে বলতে চাই হাতের কাজের কোনও বিকল্প নেই । হাতের কাজ মানুষের হাতেই সম্ভব, মেশিনে সম্ভব নয় ৷" মণ্ডপ প্রসঙ্গে মজা করে সজলবাবু বলেন, "নবদ্বীপের একটি নির্মীয়মাণ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে ৷ তবে তারা এখনও তৈরি করে উঠতে পারেনি ৷ আমরা কিন্তু করে ফেলেছি ৷ আমরা এরপর বলব যে আমাদের নকল করেছে ৷" বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, "আমাদের বাজেট দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার ভিতরে ৷ সোনাটা কম্পানির ৷ যারা দিচ্ছে তারাই আবার নিয়ে চলে যাবে ৷"

Gold made Durga in Santosh Mitra Square in Kolkata
মায়াপুরের নির্মীয়মান একটি মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কয়্যারের মণ্ডপ
Intro:কলকাতা, ৩ অক্টোবর: সকাল 9 টা 45 এর বনগাঁ লোকাল বা 8টা 12র ক্যানিং। সাতসকালেই হাতে টিফিন বক্সের ব‍্যাগ ঝুলিয়ে হাজির হতেন ওরা। শিয়ালদা স্টেশনে নেমে পৌঁছে যেতেন বউবাজারের বিভিন্ন ওয়ার্কশপে। ঠুকঠুক শব্দে যেনো তৈরি হতো ছন্দ। হাতের নিখুঁত দক্ষতায় ফুটে উঠত অলংকারের নিখুঁত সব নকশা। দিন গুলো একটু একটু করে মুছে যাচ্ছে বউ বাজার থেকে। স্বর্ণ শিল্পেও মানুষের জায়গা নিচ্ছে মেশিন। আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছে সন্তোষ মিত্র স্কয়ার সর্বজনীনের ভাবনা।


Body:মোট 50 কেজি সোনা। সেই সোনার পাতেই মোড়া হয়েছে দুর্গা প্রতিমা, সিংহ এবং অসুর। কুড়ি কোটি টাকার সোনায় 13 ফুট উচ্চতার প্রতিমা আগাগোড়া মোড়া রয়েছে। মন্ডপের অন্দরসজ্জা কেউ সোনালী ছাপ। তবে মন্ডপের বহিরঙ্গে রয়েছে নবদ্বীপের নির্মীয়মান একটি মন্দির। বিশ্বের সবচেয়ে দামি দুর্গার টানে এবার তৃতীয়া থেকেই মানুষ আসতে শুরু করেছেন সন্তোষ মিত্র স্কয়ারে।



Conclusion:2017 সাল। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে মা দুর্গা পড়েছিলেন সোনার শাড়ি। অগ্নিমিত্রা পাল বানিয়েছিলেন সেই শাড়ি। গতবছর সন্তোষ মিত্র স্কয়ারের তৈরি হয়েছিল রুপোর রথ। সেই ট্রাডিশন বজায় রেখে এবার সোনার দুর্গা। কিন্তু কেন? কেন প্রতিবছর সোনা বা রূপোর ব্যবহার হচ্ছে পুজোয়? সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির সম্পাদক সজল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, “ আমরা সোনার পাড়ায় থাকি। একটা সময় 50 হাজার লোক সোনার কারিগর হিসেবে রোজ এখানে কাজ করতো। কিন্তু এখন সে সবই ইতিহাসের পাতায় ঢুকে যাচ্ছে। আমরা সেই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। গোটা বিশ্বকে বলতে চাই হাতের কাজের কোনো বিকল্প নেই।"
Last Updated : Oct 3, 2019, 8:49 PM IST

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.