কলকাতা, 29 জুন : কসবা ভুয়ো আইএএস-কাণ্ডে এবার হস্তক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি ৷ সূত্রের খবর, লালবাজারের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা দেবাঞ্জন দেবের কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠিয়েছে ৷ সূত্রের খবর, ঠিক কত টাকার জালিয়াতি হয়েছে, কোথা থেকে টাকা পেল দেবাঞ্জন দেব, কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে কি না, এনিয়ে লালবাজারের কাছে দেবাঞ্জন দেব সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে ইডি ৷
গত 22 জুন কসবা এলাকায় একটি করোনা ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ৷ তিনি সেই ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিনও নেন ৷ কিন্তু, বেশ কিছুদিন কেটে যাওয়ার পরেও তাঁর ফোনে কোনও মেসেজ না আসায় সাংসদ পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷ তখনই জানা যায়, ওই ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে জাল ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল ৷ এমনকি নিজেকে আইএএস পরিচয় দেওয়া দেবাঞ্জন দেব নিজেও একজন প্রতারক ৷ সে কোনও আইএএস নয় ৷ এরপরেই দেবাঞ্জন দেবের একের পর এক জালিয়াতির ঘটনা সামনে আসতে থাকে ৷
লালবাজারের গোয়েন্দারা দেবাঞ্জনকে গ্রেফতার করার পর থেকে লাগাতার জেরা করছে ৷ সেই জেরাতেই একে পর এক তথ্য তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে ৷ এমনকি দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও 2 জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ ৷ কিন্তু, দেবাঞ্জন দেব কীভাবে দীর্ঘদিন নিজেকে আইএএস হিসেবে পরিচয় দিয়ে সবার সঙ্গে প্রতারণা করে গেল? এখানেই বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন, শাসকদলের নেতারাও এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৷ এনিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সারদা কেলেঙ্কারিতে সুদীপ্ত সেনের উদাহরণ টেনে বলেছেন, সুদীপ্ত সেনের মতোই দেবাঞ্জন দেবকে সামনে রেখে তৃণমূলের নেতারা টাকা কামিয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Kasba Vaccination Controversy : সিবিআই তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ হাইকোর্টের, কাল শুনানি
এত সব তর্কবিতর্কের মাঝেই আজ কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট লালবাজারের আধিকারিকদের কাছ থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে বলে জানা গিয়েছে ৷ দেবাঞ্জন দেবের প্রতারণা-কাণ্ডে তার সব আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে, কার কার থেকে সে টাকা নিয়েছিল, কে বা কারা তাকে টাকা দিয়ে সাহায্য করত, এমন একাধিক তথ্য জানতে চেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ইডি ৷ যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি লালবাজারের আধিকারিকরা ৷