কলকাতা, 28 অগস্ট : কয়লাকাণ্ডে এবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) ৷ আগামী 3 সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ৷ সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, আগামী 3 সেপ্টেম্বর তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ৷ হাজিরার সময় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথিও সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে ৷ একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নোটিস দিয়েছে ইডি (ED) ৷ তাঁকে (রুজিরা) আগামী 1 সেপ্টম্বর হাজির হতে বলা হয়েছে ইডির তরফে ৷ তাঁকেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সঙ্গে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : TMCP Foundation Day : ভূতের ভোটে জিতে বিধানসভাতে গিয়েছেন শুভেন্দু, কটাক্ষ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার
কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরগরম রাজ্যের রাজনীতি ৷ এই নিয়ে বরাবর বিরোধীরা কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে ৷ শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসার পর এই আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ে ৷ তিনি নাম না করে বারবার এই ঘটনায় অভিষেককে অভিযুক্ত করেছেন ৷
ভোটের আগে অভিষেকের বাড়িতে সিবিআই (CBI) পৌঁছে যায় ৷ তাঁর স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ তাঁর ব্যাঙ্কের নথিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছিল সেই সময় ৷ তা নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে ৷
আরও পড়ুন : Tripura : টিএমসিপির সভানেত্রী আক্রান্ত ত্রিপুরায়, তড়িঘড়ি আগরতলা গেলেন কুণাল-শান্তনু
তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছিল সেই সময় ৷ কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে হেনস্তা করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের তরফে ৷ ভোটের ময়দানেও যুযুধান দুই পক্ষ এই নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ৷
ভোট পেরিয়ে যাওয়ার পর ফের সামনে এল কয়লা পাচার ইস্যু ৷ এবার আসরে নামল ইডি ৷ এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এই পদক্ষেপ ৷ আগেও এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে ৷ কিন্তু বাংলার মানুষ এই পদক্ষেপ আগেও মেনে নেয়নি ৷ ভবিষ্যতেও মেনে নেবেন না ৷
আরও পড়ুন : TMC ASSAM : সুস্মিতা দেবের হাত ধরে অসমে ঘাসফুল ফোটানোর অভিযানে তৃণমূল
অন্যদিকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রবীন দেব বলেন, ‘‘ইডি, সিবিআই, এই সমস্ত সংস্থাগুলো কখনও কখনও নিজেদের মর্জিমতো এই সব জিনিস নিয়ে খোঁচাখুঁচি করে । সামনে আবার উপনির্বাচন আছে । তাই আবার একটু খোঁচাখুঁচি করবে । তারপর আবার যে কে সেই সব স্বাভাবিকই হয়ে যাবে । সারদা- নারদ নিয়ে তো অনেক খোঁচাখুঁচি হল । কিন্তু ফল হল কি কিছু ? যখন অভিযোগ একটা উঠেছে, তখন এই অভিযোগকে প্রমাণ করতে হবে । তবেই না সমস্ত ব্যাপারটাতে একটা স্বচ্ছতা আসবে ৷’’