ETV Bharat / city

পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি কতটা সুরক্ষিত ?

সামনেই কালীপূজা । আর কালীপূজা বললেই আমাদের মাথায় আসে নানা রকমের বাজি, পটকা, রংমশাল, তুবড়ি, ফুলঝুরির মতো বাজির নাম ৷ কিন্তু সবুজ বাজি কতটা সুরক্ষিত ?

পরিবেশবান্ধব সবুজ বাজি কতটা সুরক্ষিত ?
author img

By

Published : Oct 24, 2019, 2:47 AM IST

Updated : Oct 24, 2019, 9:18 AM IST

কলকাতা, 24 অক্টোবর : আলোর উৎসব দীপাবলি ৷ কিন্তু উৎসবের আগেই প্রত্যেকের কাছে অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আতশবাজির দূষণ ৷ কলকাতা ও হাওড়া সহ জনবসতিপূর্ণ শহরগুলিতে এই দূষণ কালীপুজোর রাতে মারাত্মক আকার নেয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরাই ৷ বাজির দ্বারা শব্দ ও বায়ু দূষণ রুখতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ঘোষণা করেন যে সবুজ আতশবাজি অন্যান্য বাজির তুলনায় অনেক কম ক্ষতিকর । তাই এবার বাজি বাজারে নতুন ধামাকা সবুজ বাজি বা 'গ্রিন ক্রাকারস'। কিন্তু কতটা সুরক্ষিত এগুলি?

বায়ু দূষণ কমাতে বাজারে চালু হয়েছে এই পরিবেশবান্ধব বাজি । কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (CSIR) তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে বাজিগুলি । সংস্থা জানাচ্ছে, সাধারণ বাজিতে যে রাসায়নিকগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলি এই পরিবেশবান্ধব বাজিগুলিতে ব্যবহার করা হয় না৷ কোনও ক্ষেত্রে অনেকটাই কম পরিমাণে ব্যবহার করা হয় দূষিত রাসায়নিক । তাই সাধারণ বাজির তুলনায় সবুজ বাজিতে দূষণের পরিমাণ প্রায় 30 শতাংশ কম । এই ধরনের বাজিগুলিতে কিউআর কোড বসানো থাকবে । ক্রেতা মোবাইল ফোনে এই কিউআর কোডটি স্ক্যান করে বাজিগুলির উপাদান-রাসায়নিক খুব সহজেই জানতে পারবেন ।

দেখুন ভিডিয়ো

যদিও পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. কল্যাণ রুদ্রর দাবি, ''পরিবেশবান্ধব বাজি সোনার পাথরবাটি । তিনি বলেন, "সব বাজিই কম বেশি দূষণ ছড়ায় । এখনও এমন কোনও বাজি তৈরি হয়নি, যা দূষণ ছড়ায় না। তাই আমি সবুজ বাজি ব্যাপারটিকে বিশ্বাস বা সমর্থন করি না । আমার মনে হয় সবুজ বাজিকেও যতটা সম্ভব বর্জন করে উচিত ।" তিনি আরও বলেন, "ইতিমধ্যেই আমরা এই সমস্ত বাজি তৈরির সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি । কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজনও আমাদের কাছে বাজির রাসায়নিকের নাম-উপাদান বা এই বাজি নিয়ে আসেননি।"

কল্যাণ বাবুর মত, যে কোনও বাজিতেই সাধারণত বারুদ ও পটাশিয়াম নাইট্রেটের ব্যবহার হয় । সবুজ রঙের জন্য বেরিয়াম ক্লোরাইডের মতো অন্যান্য দাহ্য পদার্থ ব্যবহার হয় । তাই অনেকগুলি রাসায়নিক সরিয়ে নিলেও বারুদ বা সালফার থেকেই যায় । তাই বাজি পোড়ালেই ধোয়া দূষণ ছড়াতে বাধ্য । সবুজ সংঘের আহ্বায়ক নব দত্ত বলেন, " সবুজ বাজি ঠিক কতটা পরিবেশবান্ধব তার প্রমাণ এখনও আমাদের হাতে আসেনি । এই ধরনের বাজি সত্যিই কত পরিমাণে দূষণ ছড়ায় সে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না ।"

23 অক্টোবর 2018 সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, 65 ডেসিবেল শব্দ মাত্রার মধ্যে যে বাজিগুলি থাকবে সেগুলি বিক্রি ও ব্যবহার করা যাবে । কিন্তু অভিযোগ কালীপূজার সময় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন নজর দিলেও তা মানা হয় না । শব্দদূষণের সঙ্গে রয়েছে মারাত্মক রকমের বায়ু দূষণও । বিশেষজ্ঞরা বলছেন চড়কি, তুবড়ি, সাপ বাজি, ফুলঝুরি, রংমশাল এই ধরনের শব্দহীন বাজি বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ ৷

কলকাতা, 24 অক্টোবর : আলোর উৎসব দীপাবলি ৷ কিন্তু উৎসবের আগেই প্রত্যেকের কাছে অন্যতম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আতশবাজির দূষণ ৷ কলকাতা ও হাওড়া সহ জনবসতিপূর্ণ শহরগুলিতে এই দূষণ কালীপুজোর রাতে মারাত্মক আকার নেয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরাই ৷ বাজির দ্বারা শব্দ ও বায়ু দূষণ রুখতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ঘোষণা করেন যে সবুজ আতশবাজি অন্যান্য বাজির তুলনায় অনেক কম ক্ষতিকর । তাই এবার বাজি বাজারে নতুন ধামাকা সবুজ বাজি বা 'গ্রিন ক্রাকারস'। কিন্তু কতটা সুরক্ষিত এগুলি?

বায়ু দূষণ কমাতে বাজারে চালু হয়েছে এই পরিবেশবান্ধব বাজি । কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (CSIR) তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়েছে বাজিগুলি । সংস্থা জানাচ্ছে, সাধারণ বাজিতে যে রাসায়নিকগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলি এই পরিবেশবান্ধব বাজিগুলিতে ব্যবহার করা হয় না৷ কোনও ক্ষেত্রে অনেকটাই কম পরিমাণে ব্যবহার করা হয় দূষিত রাসায়নিক । তাই সাধারণ বাজির তুলনায় সবুজ বাজিতে দূষণের পরিমাণ প্রায় 30 শতাংশ কম । এই ধরনের বাজিগুলিতে কিউআর কোড বসানো থাকবে । ক্রেতা মোবাইল ফোনে এই কিউআর কোডটি স্ক্যান করে বাজিগুলির উপাদান-রাসায়নিক খুব সহজেই জানতে পারবেন ।

দেখুন ভিডিয়ো

যদিও পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. কল্যাণ রুদ্রর দাবি, ''পরিবেশবান্ধব বাজি সোনার পাথরবাটি । তিনি বলেন, "সব বাজিই কম বেশি দূষণ ছড়ায় । এখনও এমন কোনও বাজি তৈরি হয়নি, যা দূষণ ছড়ায় না। তাই আমি সবুজ বাজি ব্যাপারটিকে বিশ্বাস বা সমর্থন করি না । আমার মনে হয় সবুজ বাজিকেও যতটা সম্ভব বর্জন করে উচিত ।" তিনি আরও বলেন, "ইতিমধ্যেই আমরা এই সমস্ত বাজি তৈরির সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি । কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজনও আমাদের কাছে বাজির রাসায়নিকের নাম-উপাদান বা এই বাজি নিয়ে আসেননি।"

কল্যাণ বাবুর মত, যে কোনও বাজিতেই সাধারণত বারুদ ও পটাশিয়াম নাইট্রেটের ব্যবহার হয় । সবুজ রঙের জন্য বেরিয়াম ক্লোরাইডের মতো অন্যান্য দাহ্য পদার্থ ব্যবহার হয় । তাই অনেকগুলি রাসায়নিক সরিয়ে নিলেও বারুদ বা সালফার থেকেই যায় । তাই বাজি পোড়ালেই ধোয়া দূষণ ছড়াতে বাধ্য । সবুজ সংঘের আহ্বায়ক নব দত্ত বলেন, " সবুজ বাজি ঠিক কতটা পরিবেশবান্ধব তার প্রমাণ এখনও আমাদের হাতে আসেনি । এই ধরনের বাজি সত্যিই কত পরিমাণে দূষণ ছড়ায় সে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না ।"

23 অক্টোবর 2018 সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, 65 ডেসিবেল শব্দ মাত্রার মধ্যে যে বাজিগুলি থাকবে সেগুলি বিক্রি ও ব্যবহার করা যাবে । কিন্তু অভিযোগ কালীপূজার সময় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন নজর দিলেও তা মানা হয় না । শব্দদূষণের সঙ্গে রয়েছে মারাত্মক রকমের বায়ু দূষণও । বিশেষজ্ঞরা বলছেন চড়কি, তুবড়ি, সাপ বাজি, ফুলঝুরি, রংমশাল এই ধরনের শব্দহীন বাজি বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ ৷

Intro:সামনেই কালীপূজা। আর কালীপূজা বললেই আমাদের মাথায় আসে নানা রকমের বাজি, পটকা, রংমশাল, তুবড়ি, ফুলঝুরি, চরকির মতো কত এতোষ বাজির নাম।


Body:কলকাতা ও হাওড়া সহ জনবসতিপূর্ণ শহরগুলিতে এই দূষণ কালীপুজোর রাতে মারাত্মক আকার নেয় বলে জানাচর্ন বিশেষজ্ঞরা।

বাজির দ্বারা শব্দ ও বায়ু দূষণ রুখতে সম্প্রতি কেন্দ্র মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ঘোষণা করেন যে সবুজ আতশবাজি অন্যান্য বাজির তুলনায় অনেক কম ক্ষতিকর। তাই এবারে বাজি বাজারে নতুন ধামাকা দিয়ে এলো সবুজ বাজি বা 'গ্রীন ক্রাকেরস'।

বায়ু দূষণ কমাতে বাজারে চালু হয়েছে এই পরিবেশবান্ধব বাজি। কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল (আইআরসি)-এর তত্যাবধানে তৈরি হয়েছে বাজিগুলি।

আইআরসি জানায় যে সাধারণ বাজিতে যে রাসায়নগুলি ব্যবহার করা হয় সেগুলি এই পরিবেশবান্ধব বাজিগুলিতে ব্যবহার করা হয় না আর হলেও
অনেকটাই কম পরিমানে ব্যবহার করা হয়। তাই সাধারণ বাজির তুলনায় সবুজ বাজিতে দূষণের পরিমান প্রায় 30 শতাংশ কম। এই ধরনের বাজেগুলিতে কিউআর কোড বসানো থাকবে। ক্রেতা মোবাইল ফোনে এই কিউআর কোডটি স্ক্যান করে বাজিগুলির কম্পোজিশন খুব সহজেই জানতে পারবেন।

যদিও পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. কল্যাণ রুদ্র দাবি করেন যে পরিবেশবান্ধব বাজি হল আসলে সোনার পাথরবাটি। তিনি বলেন, "সব বাজিই কম বেশি দূষণ ছড়ায়। এখনও এমন কোনও বাজি তৈরি হয়নি যা দূষণ ছড়ায় না। তাই আমি সবুজ বাজি ব্যাপারটিকে বিশ্বাস বা সমর্থন করি না। আমার মনে হয় সবুজ বাজিকেও যতটা সম্ভব বর্জন করে উচিত।"

তিনি আরও বলেন, "ইতিমধ্যেই আমরা এই সমস্ত বাজি তৈরির কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজনও আমাদের কাছে তাদের কম্পোজিশন বা তাদের এই বাজে নিয়ে আসেননি।"

তিনি জানান যে যেকোনও বাজিতেই সাধারণত বারুদের ও পটাশিয়াম নাইট্রেটের ব্যবহার থাকে। সবুজ রঙের জন্য বেরিয়াম ক্লোরাইডের মতো অন্যান্য দাহ্য পদার্থ ব্যবহার হয়। তাই অনেকগুলি কেমিকেল সরিয়ে নিলেও বারুদ বা সালফার থেকেই যায়। তাই বাজি পরলেই তার ধোয়া দূষণ ছড়াতে বাধ্য।

সবুজ সংঘের আহবায়ক নব দত্ত বলেন, " সবুজ বাজি ঠিক কতটা পরিবেশবান্ধব তার প্রমাণ এখনও আমাদের হাতে আসেনি। এই ধরনের বাজি সত্যিই কত পরিমানে দূষণ ছড়ায় সে নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।"

23 অক্টোবর 2018 সালে সুপ্রিম কোর্ট 65 ডেসিবেল শব্দ মাত্রার মধ্যে থাকবে যে বাজিগুলি থাকবে সেগুলির বিক্রি ও ব্যবহার করা যাবার বলার নির্দেশ দেন।

কালীপূজার সময় শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন নজর দিলেও তা কোথায় তেমন কঠোরভাবে মানা আর না। শব্দ দূষণ নয় সাথে রয়েছে মারাত্মক রকমের বায়ু দূষণও। তাই পরিবেশ দূষণ মুক্ত রাখতে বাজারে এসেছে গ্রীন বাজির। একাধিক সমীক্ষায় দেখা গেছে বাতাসে পিএম 2.5 ও পিএম 10 সহ সালফার, নাইট্রোজেন, শিশা ও অন্যান্য ধাতুগুলির পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায়।



Conclusion:বিশেষজ্ঞরা বলছেন চোরকি, তুবড়ি, সাপ বাজি, এলেট্রিক তার, রংমশাল এইধরণের নিঃশব্দ বাজিতে মারাত্মক বায়ু দূষণ করে।
Last Updated : Oct 24, 2019, 9:18 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.