ETV Bharat / city

লকডাউনের জেরে তীব্র রক্ত সংকটে রাজ্য়ের ব্লাড ব্য়াঙ্ক

কোরোনা আতঙ্কে ত্রস্ত গোটা বিশ্ব ৷ রাজ্য়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার ৷ ফলে তীব্র রক্ত ঘাটতির মুখে পশ্চিমবঙ্গের ব্লাড ব্য়াঙ্কগুলি ৷ স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাজ্য সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং কোরোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরে রক্ত সংগ্রহের বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে

Blood Crisis
রক্ত সরবরাহে ঘাটতি
author img

By

Published : Mar 25, 2020, 5:46 PM IST

কলকাতা, 25 মার্চ :কোরোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে রাজ্য়ে লকডাউন করেছে সরকার ৷ ফলে রাজ্য়ের সমস্ত রাজনৈতিক দল, কমিউনিটি ক্লাব এবং NGO গুলিকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা বন্ধ করতে হয়েছে ৷ ফলে ব্লাড ব্য়াঙ্কগুলোতে ঠিক মতো রক্ত সরবরাহ করা যাচ্ছে না ৷

গতকাল পশ্চিমবঙ্গের ব্লাড ব্য়াঙ্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্লাড ব্য়াঙ্কগুলোকে তীব্র রক্ত ঘাটতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে ৷ সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজ্যের 100টি ব্লাড ব্যাঙ্কে 80 শতাংশেরও বেশি রক্ত সরবরাহ হয় রক্তদান শিবির থেকে ৷

পিপলস ব্লাড ব্যাঙ্কের ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর ব্রতীশ নিয়োগি বলেন, "ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি রক্ত সরবরাহে তীব্র ঘাটতির মুখোমুখি। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন ৷ কিন্তু পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ না হলে রক্ত দেওয়া সম্ভব নয় ৷ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি ৷''

তাঁর কথায়, গ্রীষ্মকালে এমনিতে রক্ত সংগ্রহ প্রায় 40 শতাংশ কমে যায় তবে কোরোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে ৷ যদি কারও নির্দিষ্ট কোনও গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন হয় তবে তাঁকে নিজেকে দাতা খুঁজে পেতে হবে ৷

লকডাউনের কারণে রাজনৈতিক দলগুলির যুব শাখা রক্তদান শিবির পরিচালনা বন্ধ করে দিয়েছে ৷ রক্ত সরবরাহের ঘাটতি সার্জারিগুলিকে প্রভাবিত করেছে ।

লাইফলাইন ব্লাড ব্যাঙ্কের পরিচালক এ. গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেছেন, "আপাতত রক্তের প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা করার জন্য যে বড় বড় সার্জারিগুলি স্থগিত করা যেতে পারে সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে প্রতি মাসে গড়ে এক লক্ষ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয় ৷ 40 বছরেরও বেশি সময় ধরে রক্তদান শিবিরের আয়োজক মেডিকেল ব্যাঙ্কের সেক্রেটারি ডি আশিস বলেন, জেলাগুলিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, ''রাজ্য সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং কোরোনা ভাইরাস (COVID-19) হানার পর রক্ত সংগ্রহের বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশিত হবে ৷''

কলকাতা, 25 মার্চ :কোরোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবে রাজ্য়ে লকডাউন করেছে সরকার ৷ ফলে রাজ্য়ের সমস্ত রাজনৈতিক দল, কমিউনিটি ক্লাব এবং NGO গুলিকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা বন্ধ করতে হয়েছে ৷ ফলে ব্লাড ব্য়াঙ্কগুলোতে ঠিক মতো রক্ত সরবরাহ করা যাচ্ছে না ৷

গতকাল পশ্চিমবঙ্গের ব্লাড ব্য়াঙ্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্লাড ব্য়াঙ্কগুলোকে তীব্র রক্ত ঘাটতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে ৷ সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাজ্যের 100টি ব্লাড ব্যাঙ্কে 80 শতাংশেরও বেশি রক্ত সরবরাহ হয় রক্তদান শিবির থেকে ৷

পিপলস ব্লাড ব্যাঙ্কের ম্য়ানেজিং ডিরেক্টর ব্রতীশ নিয়োগি বলেন, "ব্লাড ব্যাঙ্কগুলি রক্ত সরবরাহে তীব্র ঘাটতির মুখোমুখি। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন ৷ কিন্তু পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ না হলে রক্ত দেওয়া সম্ভব নয় ৷ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি ৷''

তাঁর কথায়, গ্রীষ্মকালে এমনিতে রক্ত সংগ্রহ প্রায় 40 শতাংশ কমে যায় তবে কোরোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে ৷ যদি কারও নির্দিষ্ট কোনও গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন হয় তবে তাঁকে নিজেকে দাতা খুঁজে পেতে হবে ৷

লকডাউনের কারণে রাজনৈতিক দলগুলির যুব শাখা রক্তদান শিবির পরিচালনা বন্ধ করে দিয়েছে ৷ রক্ত সরবরাহের ঘাটতি সার্জারিগুলিকে প্রভাবিত করেছে ।

লাইফলাইন ব্লাড ব্যাঙ্কের পরিচালক এ. গঙ্গোপাধ্য়ায় বলেছেন, "আপাতত রক্তের প্রয়োজনীয়তা পরীক্ষা করার জন্য যে বড় বড় সার্জারিগুলি স্থগিত করা যেতে পারে সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে প্রতি মাসে গড়ে এক লক্ষ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয় ৷ 40 বছরেরও বেশি সময় ধরে রক্তদান শিবিরের আয়োজক মেডিকেল ব্যাঙ্কের সেক্রেটারি ডি আশিস বলেন, জেলাগুলিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, ''রাজ্য সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং কোরোনা ভাইরাস (COVID-19) হানার পর রক্ত সংগ্রহের বিষয়ে নতুন নির্দেশিকা প্রকাশিত হবে ৷''

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.