কলকাতা, 12 নভেম্বর : 317 বছরের পুরোনো কালীমন্দির ঠনঠনিয়া কালীমন্দির। রামকৃষ্ণ পরমহংসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই কালীমন্দিরের ইতিহাস। এই মন্দিরে তিনি নাকি নিজের হাতে ডাব-চিনি দিয়ে ফলহারিণী কালীপুজো শুরু করেছিলেন । এবার সেই পুজোতেও কোরোনা পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে । প্রতি বছর যেভাবে জাঁকজমক করে পুজো হয় এবছর তা হচ্ছে না । কালীপুজোর রাতে মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না ভক্তরা । দিতে পারবেন না অঞ্জলীও।
কলকাতার পত্তন হওয়ার আগে এই জায়গায় ছিল সুতানুটি মহাশ্মশান। উদয়নারায়ণ ব্রহ্মচারী এই শ্মশানে বসে সিদ্ধিলাভ করেন। পরে তিনি সেখানে মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি তৈরি করেন। এখানে থেকেই তিনি পূজা-অর্চনা করতেন । পরবর্তী ব্রহ্মচারী উদয়নারায়ণ স্বপ্নে আদেশ পেয়ে শংকর ঘোষকে এই মন্দিরের দায়িত্বভার দিয়ে চলে যান। সেই সময় মন্দিরটি ছিল হোগলা পাতায় ঘেরা । পরবর্তী সময়ে 1703 বঙ্গাব্দে এই মন্দির তৈরি হয় ।
এই মন্দিরের বর্তমান সেবাইত পলাশ ঘোষ বলেন, এই মন্দিরের সঙ্গে বহু অলৌকিক ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে ৷ মানুষ নিজের বিশ্বাসে পুজো দিতে আসেন দূর-দূরান্ত থেকে। কিন্তু এবছর মন্দির প্রাঙ্গণে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না । ভক্তদের ভোগ বিতরণ করা হবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ । রাস্তায় দাঁড়িয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে যাতে দর্শন করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা হবে ।
তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন নিয়মিতভাবে মন্দির চত্বরে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে । কোরোনা পরিস্থিতির জন্য এবছর মন্দির প্রাঙ্গণে পুরোহিত ছাড়া বাইরের কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না। বাইরে থেকেও পুজোর সামগ্রী ভেতরে নিয়ে আসা যাবে না। সরকারি নির্দেশ মেনে এবছর পুজো হবে।