কলকাতা, 7 এপ্রিল: একা কোরোনায় রক্ষে নেই। এর মধ্যে ডেঙ্গু দোসর হলে সর্বনাশ চরমে পৌঁছাবে। সেই আশঙ্কা থেকেই কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ডেঙ্গু রুখতে প্রস্তুতি শুরু করল রাজ্য সরকার। কোরোনার প্রকোপের মধ্যে ডেঙ্গু যাতে নতুন করে মাথা ব্যথার কারণ না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্ন সূত্রে খবর, বিগত বছরগুলোতে রাজ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় এখন ফি বছর শীতকাল থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি শুরু হয়ে যায়। এবছরও তা শুরু হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ কোরোনার প্রাদুর্ভাবে সব হিসেব ওলটপালট হয়ে যায়। অভূতপূর্ব এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন ঝাঁপিয়ে পড়ে কোরোনা মোকাবিলায়। স্বাভাবিক ভাবেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সমস্ত কর্মসূচিও স্থগিত রাখা হয়।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি শুরু করতে রাজ্যের সব পৌরসভাগুলোকে নির্দেশ পাঠিয়েছে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর। এই কাজ দেখভালের জন্য শরৎ ত্রিবেদীকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। এছাড়াও প্রত্যেক জেলায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ওপর নজরদারির জন্য দপ্তরের একজন করে যুগ্মসচিব পর্যায়ের অধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে পৌর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, "কলকাতায় কোরোনার আগে থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছিল। এবার গোটা রাজ্যেই এই কর্মসূচি চলবে।"
গত কয়েকবছর আবহাওয়ার বদল বা অন্য কারণে আরও বড় আকার নিয়েছিল মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ৷ সোমবার নবান্নে রাজ্যের কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোরোনার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়েও সাবধান করা হচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরকে৷
এই বিষয়ে দু'জন মন্ত্রীর উপর দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। সেই সূত্রে পৌরসভা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত সমস্ত স্তরেই ডেঙ্গু রুখতে শুরু হচ্ছে কাজ৷ কারণ, কোরোনা পরিস্থিতির মধ্যে যদি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হতে শুরু করেন, তাহলে রাজ্যের পক্ষে তা সামলানো মুশকিল হয়ে যাবে ৷