কলকাতা, 26 জুলাই: আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের নজর কাড়েন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি (Defamation Case Against Mamata Banerjee for Questioning High Court Decision) ৷ এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর সিঙ্গল বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি ৷ প্রসঙ্গত, মুখ্য়মন্ত্রী নজরুল মঞ্চ থেকে বলেন, ‘‘আদালত এখন বিজেপি'র কথায় চলে ৷ পশ্চিমবঙ্গে কি ভালো হাসপাতাল নেই ? ভুবনেশ্বরে পাঠাতে হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ?’’ এ নিয়ে আদালতে তিনি অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য আদালতের অসম্মান ৷ পুরো বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেন বিচারপতি ৷ বিষয়টি শোনার পর মামলাটি তিনি গ্রহণ করেননি বিচারপ্রতি ৷
তরুণজ্যোতি তিওয়ারির বক্তব্য শুনে বিচারপতি বলেন, ‘‘আগে আদালতকে এভাবে সমালোচনা করা হত না ৷ কিন্তু, এখন জনসমক্ষে করা হয়, এটা দুর্ভাগ্যের ব্যাপার ৷ ঐ সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে একজন বিচারপতিও উপস্থিত ছিলেন ৷ তিনি কিছু মন্তব্য করেননি এই বক্তব্যর পর ! আদালতের মেরুদণ্ড এত দূর্বল নয়, যে বাইরে কে কী মন্তব্য করবে, তাতে আদালতে মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে ৷ দিনের শেষে আমার কাছে যে মামলা আসে, আমি সেগুলো গুরুত্ব অনুযায়ী বিচার করি ৷ কে কী বললো তা, আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয় ৷’’মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ বিজেপি'র
আরও পড়ুন: এসএসকেএমের উপর আদালতের আস্থা হারানো লজ্জার, মত ওই হাসপাতালেরই চিকিৎসকের
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্রোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর অসুস্থ বোধ করেন তিনি ৷ নিম্ন আদালতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন ৷ কিন্তু, সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে ইডি ৷ বিচারপতি বিবেক চৌধুরী মামলা শোনার পর নির্দেশ দেন পার্থ চট্রোপাধ্যায়ের চিকিৎসা করবে ভুবনেশ্বর এইমসের চিকিৎসকরা ৷ সেই নির্দেশ মতো, ইডি আধিকারিকরা তাঁকে ভুবনেশ্বর নিয়ে যান ৷ যা নিয়ে গতকাল সরকারি ওই অনুষ্ঠান থেকে আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তবে, এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ওই মামলা গ্রহণ করেননি বিচারপতি বিবেক চৌধুরী ৷