ETV Bharat / city

অনশন-আন্দোলনের শাস্তি! কাটা হল অধিকাংশ পার্শ্বশিক্ষকের ভাতা

অনশন আন্দোলনের জেরে রাজ্যজুড়ে কাটা গেল অধিকাংশ পার্শ্বশিক্ষকের ভাতা ৷ পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চের আন্দোলনে নেতৃত্বে থাকা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র একদিনের বেতন পেয়েছেন ৷ পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের 21 দিনের বেতন কাটা হয়েছে ।

deduction of allowance of most of the para teachers for hunger strike
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Jan 3, 2020, 8:17 PM IST

কলকাতা, 3 জানুয়ারি: হাইকোর্টের নির্দেশে অবস্থানে বসার প্রথম দিনেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ৷ জানিয়েছিলেন স্কুল কামাই করে আন্দোলন করলে বিধি মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে । তারপরেও বহুদিন ধরে অনশন-আন্দোলন চলে ৷ পরে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ অনশন প্রত্যাহার করলেও শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্যি হল ৷ রাজ্যজুড়ে কাটা হল অধিকাংশ পার্শ্বশিক্ষকের ভাতা । জানা গেছে, ঐক্য মঞ্চের আন্দোলনে নেতৃত্বে থাকা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র একদিনের বেতন পেয়েছেন ৷ পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের 21 দিনের বেতন কাটা হয়েছে ।

গত বছর নভেম্বর মাসে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের মেলার মাঠের সামনে অবস্থানে বসেন পার্শ্বশিক্ষকরা । কয়েকদিন অবস্থানের পরও শিক্ষা দপ্তর থেকে কোনও ইতিবাচক বার্তা না পেয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা । তাঁদের অনশন চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী একাধিকবার আন্দোলন প্রত্যাহার করে স্কুলে ফিরে যেতে বলেন । না হলে শিক্ষা দপ্তর তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন । কিন্তু, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা । এরই মধ্যে স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় তাঁদের শো-কজ়ও করা হয় । শেষমেশ অবস্থানের 31 দিনের মাথায় এবং অনশনের 27 দিনের মাথায় শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যের সব পার্শ্বশিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন । সেই বৈঠকে তাঁদের দাবি নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অনশনের 28 দিন এবং অবস্থানের 32 দিনের মাথায় গত বছর 12 ডিসেম্বর আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় ঐক্য মঞ্চ।

কিন্তু বেতন কাঠামোর দাবিতে আন্দোলন করায় ভাতা কাটা গেল পার্শ্বশিক্ষকদের । এ বিষয়ে ভগীরথবাবু জানান, গত মাসের 30 তারিখে ও এ মাসের 2 তারিখে বেশিরভাগ জেলায় পার্শ্বশিক্ষকদের ভাতা দেওয়া হয়েছে । তারপরেই দেখা গেছে রাজ্যজুড়ে প্রায় 1 হাজার পার্শ্বশিক্ষকের বেতন কাটা হয়েছে । কোচবিহারে 56 টি স্কুলের মোট 144 জনের, নদিয়ার 265 জনের, দার্জিলিঙে 70 জনের এবং মুর্শিদাবাদ ও উত্তর 24 পরগনার জেলার কয়েকজন পার্শ্বশিক্ষকদের ভাতা কেটে নেওয়া হয়েছে ৷ বলেন, " সারা রাজ্যে প্রায় 1 হাজার জনের ভাতা কেটে নেওয়া হয়েছে । আমাদের যুগ্ম আহ্বায়িকা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 30 দিনের বেতন কাটা গেছে ৷ উনি মাত্র 1 দিনের বেতন পেয়েছেন । আমার 21 দিনের বেতন কাটা গেছে ৷ আমাদের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরো বেতনটাই আটকে দিয়েছেন ওখানকার DPO ৷"

বেতন কাঠামোর দাবিতেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা ৷ কিন্তু আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণেই কাটা গেল ভাতা ৷ এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভগীরথবাবু বলেন, " শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের দিন উনি পরিষ্কার বলেছিলেন, ছুটিটাকে অ্যাডজাস্ট করা হবে । সেই পথে হাঁটেনি একাংশ প্রধান শিক্ষক এবং DPO-রা । তাঁদেরই চক্রান্তের ফলে এই বেতনটা কাটা গেল । অনেকেরই EL, CL হাতে আছে এখনও । তাই সত্ত্বেও চক্রান্ত করে প্রধান শিক্ষকরা এই বেতনটা কাটল । এর বিরুদ্ধে আমরা শিক্ষামন্ত্রী ও সমগ্র শিক্ষা মিশনে SPD-র কাছে স্মারকলিপি দেবে এবং যাতে এই বিষয়টার দ্রুত সুরাহা হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলব । শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করেই এটা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি । আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে, শিক্ষা দপ্তরকে জানাবো বিষয়টা । তাঁরা কী পদক্ষেপ করে দেখে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব ।"

কলকাতা, 3 জানুয়ারি: হাইকোর্টের নির্দেশে অবস্থানে বসার প্রথম দিনেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ৷ জানিয়েছিলেন স্কুল কামাই করে আন্দোলন করলে বিধি মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে । তারপরেও বহুদিন ধরে অনশন-আন্দোলন চলে ৷ পরে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ অনশন প্রত্যাহার করলেও শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্যি হল ৷ রাজ্যজুড়ে কাটা হল অধিকাংশ পার্শ্বশিক্ষকের ভাতা । জানা গেছে, ঐক্য মঞ্চের আন্দোলনে নেতৃত্বে থাকা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র একদিনের বেতন পেয়েছেন ৷ পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের 21 দিনের বেতন কাটা হয়েছে ।

গত বছর নভেম্বর মাসে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের মেলার মাঠের সামনে অবস্থানে বসেন পার্শ্বশিক্ষকরা । কয়েকদিন অবস্থানের পরও শিক্ষা দপ্তর থেকে কোনও ইতিবাচক বার্তা না পেয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা । তাঁদের অনশন চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী একাধিকবার আন্দোলন প্রত্যাহার করে স্কুলে ফিরে যেতে বলেন । না হলে শিক্ষা দপ্তর তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন । কিন্তু, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা । এরই মধ্যে স্কুলে অনুপস্থিত থাকায় তাঁদের শো-কজ়ও করা হয় । শেষমেশ অবস্থানের 31 দিনের মাথায় এবং অনশনের 27 দিনের মাথায় শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যের সব পার্শ্বশিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন । সেই বৈঠকে তাঁদের দাবি নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অনশনের 28 দিন এবং অবস্থানের 32 দিনের মাথায় গত বছর 12 ডিসেম্বর আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় ঐক্য মঞ্চ।

কিন্তু বেতন কাঠামোর দাবিতে আন্দোলন করায় ভাতা কাটা গেল পার্শ্বশিক্ষকদের । এ বিষয়ে ভগীরথবাবু জানান, গত মাসের 30 তারিখে ও এ মাসের 2 তারিখে বেশিরভাগ জেলায় পার্শ্বশিক্ষকদের ভাতা দেওয়া হয়েছে । তারপরেই দেখা গেছে রাজ্যজুড়ে প্রায় 1 হাজার পার্শ্বশিক্ষকের বেতন কাটা হয়েছে । কোচবিহারে 56 টি স্কুলের মোট 144 জনের, নদিয়ার 265 জনের, দার্জিলিঙে 70 জনের এবং মুর্শিদাবাদ ও উত্তর 24 পরগনার জেলার কয়েকজন পার্শ্বশিক্ষকদের ভাতা কেটে নেওয়া হয়েছে ৷ বলেন, " সারা রাজ্যে প্রায় 1 হাজার জনের ভাতা কেটে নেওয়া হয়েছে । আমাদের যুগ্ম আহ্বায়িকা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 30 দিনের বেতন কাটা গেছে ৷ উনি মাত্র 1 দিনের বেতন পেয়েছেন । আমার 21 দিনের বেতন কাটা গেছে ৷ আমাদের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরো বেতনটাই আটকে দিয়েছেন ওখানকার DPO ৷"

বেতন কাঠামোর দাবিতেই আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা ৷ কিন্তু আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণেই কাটা গেল ভাতা ৷ এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভগীরথবাবু বলেন, " শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের দিন উনি পরিষ্কার বলেছিলেন, ছুটিটাকে অ্যাডজাস্ট করা হবে । সেই পথে হাঁটেনি একাংশ প্রধান শিক্ষক এবং DPO-রা । তাঁদেরই চক্রান্তের ফলে এই বেতনটা কাটা গেল । অনেকেরই EL, CL হাতে আছে এখনও । তাই সত্ত্বেও চক্রান্ত করে প্রধান শিক্ষকরা এই বেতনটা কাটল । এর বিরুদ্ধে আমরা শিক্ষামন্ত্রী ও সমগ্র শিক্ষা মিশনে SPD-র কাছে স্মারকলিপি দেবে এবং যাতে এই বিষয়টার দ্রুত সুরাহা হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলব । শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করেই এটা করা হয়েছে বলে আমরা মনে করছি । আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে, শিক্ষা দপ্তরকে জানাবো বিষয়টা । তাঁরা কী পদক্ষেপ করে দেখে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব ।"

Intro:কলকাতা, ৩ জানুয়ারি: হাইকোর্টের নির্দেশে অবস্থানে বসার প্রথম দিনেই শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, স্কুল কামাই করে আন্দোলন করলে বিধি মেনেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাঁদের বিরুদ্ধে। তারপরে বহুদিন অনশন-আন্দোলন চলার পরে শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ অনশন প্রত্যাহার করলেও শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারি সত্যিতে পরিণত হল। কাটা হল রাজ্যজুড়ে বহু পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকার ভাতা। জানা গেছে, পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাত্র ১ দিনের বেতন পেয়েছেন, আর এক নেতৃত্ব প্রদানকারী ভগীরথ ঘোষের ২১ দিনের বেতন কাটা হয়েছে। সবমিলিয়ে আবার ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে পার্শ্বশিক্ষকদের মধ্যে।

Body:গত বছর নভেম্বর মাসে সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কের মেলা মাঠের সামনে অবস্থানে বসেন পার্শ্বশিক্ষকরা। বেশ কয়েকদিন অবস্থানে বসার পরেও শিক্ষা দপ্তরের থেকে কোনও ইতিবাচক বার্তা না পেয়ে অনশন শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের অনশন-অবস্থান চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রী একাধিকবার তাঁদের বলেন আন্দোলন প্রত্যাহার করে স্কুলে ফিরে যেতে। নাহলে শিক্ষা দপ্তর তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। কিন্তু, শিক্ষামন্ত্রীর একাধিকবার আবেদন করার পরেও বেতন কাঠামো না পেলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। এরই মধ্যে স্কুলে অনুপস্থিত পার্শ্বশিক্ষকদের শো-কজও করা হয়। অবশেষে অবস্থানের ৩১ দিনের মাথায় ও অনশনের ২৭ দিনের মাথায় শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যের সব পার্শ্বশিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তাঁদের দাবি নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে অনশনের ২৮ দিন ও অবস্থানের ৩২ দিনের মাথায় গত বছর ১২ ডিসেম্বর আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয় পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চ।

কিন্তু, বেতন কাঠামোর দাবিতে আন্দোলন করায় ভাতা কাটা গেল পার্শ্বশিক্ষকদের। পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ জানাচ্ছেন, গত মাসের ৩০ তারিখে ও চলতি বছর জানুয়ারি মাসের ২ তারিখে বেশিরভাগ জেলায় পার্শ্বশিক্ষকদের ভাতা দেওয়া হয়েছে। তারপরেই দেখা গেছে, রাজ্যজুড়ে প্রায় ১ হাজার পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন কাটা হয়েছে। কোচবিহার জেলার ৫৬টি স্কুলের মোট ১৪৪ জনের, নদিয়ার ২৬৫ জনের, দার্জিলিং জেলার ৭০ জনের এবং মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বেশ কয়েকজনের ভাতা কেটে নেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক মধুমিতা বন্দোপাধ্যায় মাত্র এক দিনের ভাতা পেয়েছেন। তাঁর ৩০ দিনের ভাতা কেটে নেওয়া হয়েছে। আর এক যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষের ২১ দিনের বেতন কেটে নেওয়া হয়েছে।

গোটা বিষয়টি নিয়ে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্য মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, "সারা রাজ্যে প্রায় ১ হাজার জনের বেতন কাটা গেছে। সবথেকে বেশি কাটা গেছে নদীয়াতে, ২৬৫ জনের, দার্জিলিংয়ে ৭০ জনের, কোচবিহারে ১৪৪ জনের ভাতা কাটা গেছে। এ ছাড়াও, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগণার, আলিপুরদুয়ারের বেশ কয়েকজনের বেতন কাটা গেছে। সবথেকে বেশি কাটা হয়েছে আমাদের যুগ্ম আহ্বায়িকা মধুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর ৩০ দিনের বেতন কাটা গেছে, মাত্র ১ দিনের বেতন পেয়েছেন। আমার ২১ দিনের বেতন কাটা গেছে, ১০ দিনে পেয়েছি। আমাদের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর হাওড়াতে বাড়ি। ওনার
পুরো বেতনটাই আটকে দিয়েছেন ওখানকার DPO।"

বেতন কাঠামোর দাবিতে আন্দোলন করে ভাতা কাটা গেল। তা নিয়ে ভগীরথ ঘোষ বলেন, "শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের দিন উনি পরিষ্কার বলেছিলেন, ছুটিটাকে অ্যাডজাস্ট করা হবে। সেই পথে হাঁটেনি একাংশ প্রধান শিক্ষক এবং DPO-রা। তাঁদেরই চক্রান্তের ফলে এই বেতনটা কাটা গেল। অনেকেরই EL, CL হাতে আছে এখনও। তাই সত্ত্বেও চক্রান্ত করে প্রধান শিক্ষকরা এই বেতনটা কাটল। এর বিরুদ্ধে আমরা শিক্ষামন্ত্রী ও সমগ্র শিক্ষা মিশনে SPD-র কাছে স্মারকলিপি দেবে এবং যাতে এই বিষয়টার দ্রুত সুরাহা হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে বলব। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করেই এটা করা হয়েছে বলেই আমরা মনে করছি। আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে, শিক্ষা দপ্তরকে জানাবো বিষয়টা। তাঁরা কী পদক্ষেপ নেয় দেখে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের কথা ভাবব।"
Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.