কলকাতা, 27 জুন : তিন নম্বর রবিনসন স্ট্রিটের (Robinson Street Case) ছায়া এ বার ট্যাংরায় । প্রায় 4-5 দিন ধরে মৃত মায়ের দেহ আগলে রাখল মেয়ে । বিষয়টি জানাজানি হতেই হতবাক এলাকার বাসিন্দারা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ ৷ এই ঘটনায় ট্যাংরা থানা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে ।
গতকাল রাত থেকেই ট্যাংরার ওই বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বের হচ্ছিল । সন্দেহ হওয়ায় এ দিন সকালে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন । পুলিশ গিয়ে বাসিন্দাদের সাহায্যে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখে বৃদ্ধার দেহটি পড়ে রয়েছে ৷ মায়ের দেহের পাশেই মেয়েকে বসে থাকতেও দেখে পুলিশ ।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম কৃষ্ণা দাস । তাঁর মেয়ের নাম সোমা দাস । এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে মেলামেশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন মা ও মে । ওই বাড়িতে শুধু তাঁরা দুজনই থাকতেন । এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কিছু দিন আগেই মেয়ে সোমা দাসের কাছে তাঁর মায়ের কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, মা ভাল আছেন ।
আরও পড়ুন: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া সরশুনায়, বাবার দেহ আগলে মেয়ে
পুলিশ সন্দেহ করছে, মায়ের মৃত্যুর খবর সোমা লুকিয়ে রেখেছিলেন । বৃদ্ধার দেহটিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে । দেহে ইতিমধ্যেই পচন ধরেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । কী কারণে এই মৃত্যু হল তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি । মেয়ে সোমা দাসকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । বৃদ্ধার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে, সোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ । এর পেছনে অন্য কোনও পরিকল্পনা জড়িয়ে রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত ৷
আরও পড়ুন: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া হাওড়ায়, বোন-স্বামীর দেহ আগলে বসে মহিলা
2015 সালের 10 জুন এই রকম ঘটনার সাক্ষী থেকেছিল শহর কলকাতা ৷ ওই দিনই প্রকাশ্যে আসে পার্থ দের ঘটনা ৷ মধ্য কলকাতার রবিনসন স্ট্রিটে পুলিশ কমিশনারের বাসভবনের পাশেই একটি বাড়িতে দিদির কঙ্কাল মাসের পর মাস আঁকড়ে রেখেছিলেন ভাই পার্থ দে ৷ যা সাড়া ফেলে দিয়েছিল সমগ্র রাজ্যজুড়ে ৷ এরপরে এমন আরও অনেক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে গোটা বাংলা ৷ কোথাও বাবার দেহ মেয়ের আগলে রাখা বা কোথাও স্বামীর দেহ মহিলার আগলে রাখার খবর প্রকাশ্যে এসেছে ৷ সে রকমই আবার ঘটতে দেখা গেল ট্যাংরায় ৷