নয়াদিল্লি, 23 সেপ্টেম্বর : ডন দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) ভার্চুয়াল টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মোডাস অপারেন্ডিকে নকল করে খাস কলকাতায় ভার্চুয়াল টেলিকম এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে প্রতারণার জাল ৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) এসটিএফ (STF) ৷ কসবার সুইন হো লেন থেকে তাকে পাকড়াও করা হয় ৷ ধৃতের কাছ থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিও উদ্ধার করা হয়েছে ৷ যা আদতে একটি ভার্চুয়াল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বলেই দাবি গোয়েন্দাদের ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ধরনের পরিকাঠামো বেআইনি ৷
আরও পড়ুন : Cyber fraud : মহকুমা শাসকের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা ; মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার প্রতারক
ফোনে হুমকি দিতে দাউদের গ্যাং এভাবে বেআইনি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বানিয়ে ফেলেছিল ৷ ভারতের টেলিফোন নেটওয়ার্ক এড়িয়ে ফোন যেত বিভিন্ন জায়গায় ৷ এই বিষয়ে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও এথিক্যাল হ্যাকার মহম্মদ রেজা আহমেদ ইটিভি ভারতকে জানান, একাধিক সিমবক্স নিয়ে বেশ কিছু রাউটারের মাধ্যমে এবং ওই সিমবক্সের মধ্যে একাধিক সিমকার্ড সংযুক্ত করে, একাধিক লোকাল বা স্থানীয় মোবাইল নম্বরকে ইন্টারন্যাশনাল বা আন্তর্জাতিক মোবাইল নম্বরে রূপান্তরিত করে সাইবার প্রতরণার জাল তৈরি ও বিস্তার করা হয় ৷
মহম্মদ রেজা আহমেদ জানিয়েছেন, বেশ কিছু বছর আগে বড়বাজারেও এমন ঘটনা ঘটেছিল ৷ তার নেপথ্যে ছিল এক বিদেশি নাগরিক ৷ লোকাল কলকে আইএসডি-তে রূপান্তরিত করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য ৷ আর তা থেকেই সাইবার প্রতারণার জাল বিস্তার করা হয় ৷ রেজা বলেন, এক্ষেত্রে ধৃত ব্যক্তির সঙ্গে কোনও জঙ্গি সংগঠনেরও সম্পর্ক থাকতে পারে ৷ তাই পুলিশকে সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে হবে ৷
আরও পড়ুন : fake call center : ভুয়ো কল সেন্টার থেকে প্রতারণা, এক মহিলা-সহ গ্রেফতার 9
যদিও ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ কারণ, যে সিমবক্সে একাধিক সিমকার্ড লাগিয়ে একাধিক রাউটারের মাধ্যমে প্রতারণার জাল বিছানো হয়, সেই সিমবক্সগুলিই বেআইনি ৷ অথচ পুলিশের চোখের সামনেই এই ধরনের সিমবক্স দেদার বিকোচ্ছে বলে অভিযোগ ৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পুলিশ সজাগ না হলে এই ধরনের ঘটনা বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে ৷