কলকাতা, 12 জুলাই: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার(Vice Chancellor Recruitment Case) শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইউজিসি নিয়ম না-মেনে নিয়োগ করা হয়েছে দাবি করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে ।
রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, "কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নিয়োগ এবং পুনর্নিয়োগ আলাদা ব্যাপার । হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতি অথবা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী নিয়োগ করা যায় । পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও রাজ্যপালের ক্ষমতা একই রকম নয় । এক্ষেত্রে রাজ্যের সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে হয় রাজ্যপালকে । বিশ্ববিদ্যালয় সেনেট ও মন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে উপাচার্যকে নিয়োগ করতে পারেন রাজ্যপাল । 2011 সালে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি সংশোধন এক্ট অনুয়ায়ী পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে চার বছর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে দায়িত্ব সামলাতে হয় অথবা 65 বছর বয়স যেটা আগে হবে সেই মতো নিয়োগ করা হয় । এক্ষেত্রে রাজ্যের সিদ্ধান্তে সম্মতি দিতে হয় রাজ্যপালকে । 6 মাসের মধ্যে এই নিয়োগ করতে হয় । নিয়োগে সার্চ কমিটির রুল মানা বাধ্যতামূলক । পাশাপাশি রাজ্যের সন্তুষ্টির উপর নির্ভর করে । পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যেরই সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত এবং রাজ্যের সন্তুষ্টিই শিরোধার্য ।"
পাশাপাশি উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার বলেন, "রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় যা বলেছেন কার্যত একই বক্তব্য আমারও । নিয়োগের চিঠি আসা উচিত ছিল রাজ্যপালের অফিস থেকেই । কিন্তু সেটা আসেনি ।" অন্যদিকে মামলাকারী অনিন্দ্য সুন্দর দাসের তরফে আইনজীবী বিল্বদল ভট্রাচার্য বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আইন অনুযায়ী রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হচ্ছেন রাজ্যপাল । বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষমতা রাজ্যপালেরই । রাজ্যপালের সন্মতি না-নিয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা যায় না । সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগের ব্যাপারে মাননীয় রাজ্যপালকে কিছুই জানানো হয়নি ।"
আরও পড়ুন: রাজ্যের পঁচিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ, হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানির পর এদিন রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে (Verdict of CU Vice Chancellor Recruitment Case postponed)।