ETV Bharat / city

Ajanta Biswas : অনিল-কন্যা অজন্তার লেখা জাগো বাংলায়, চরম বিড়ম্বনায় সিপিএম - Trinamool Congress

সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস উত্তর সম্পাদকীয় লিখছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায় ৷ তাঁর লেখা উচিত কি উচিত নয়, তা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করতে ব্যর্থ সিপিএম ৷

cpim-stand-still-not-clear-in-ajanta-biswas-post-edit-issue-which-published-in-jagobangla
অনিল-কন্যা অজন্তার একটা লেখা ঘিরে প্রকাশ্যে সিপিএমের ডামাডোল
author img

By

Published : Jul 29, 2021, 6:37 PM IST

Updated : Jul 29, 2021, 10:19 PM IST

কলকাতা, 29 জুলাই : একটা উত্তর সম্পাদকীয় ৷ যা লিখেছেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস (Ajanta Biswas) ৷ লিখেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপত্র জাগো বাংলায় (Jagobangla) ৷ আর তা নিয়েই গত দুই দিন ধরে রীতিমতো ডামাডোল চলছে সিপিআইএমের (CPIM) অন্দরে ৷ এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে দলের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি ৷ সিপিএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷

অথচ দলেরই একটি মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, ঘনিষ্ঠ মহলে অজন্তা নাকি জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপত্রে তাঁর লেখা ছাপা হবে সেটা তিনি জানতেন না । এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে তাঁর অজ্ঞাতে যদি ওই উত্তর সম্পাদকীয় ছাপা হয়, তাহলে তিনি কোনও প্রতিবাদ করলেন না কেন ? গতকাল, বুধবার সকালে ওই উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে জাগো বাংলায় ৷ তার পর থেকে কেন তিনি এই নিয়ে কোনও বক্তব্য দিলেন না ৷ উপরন্তু আজ, বৃহস্পতিবার বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে তাঁর উত্তর সম্পাদকীয়র দ্বিতীয় কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে ৷ আগামিকাল তৃতীয় কিস্তি প্রকাশিত হবে ৷

আরও পড়ুন : Mamata-Suvendu : হার নিশ্চিত জেনেই রাজ্যসভার ভোট থেকে সরে দাঁড়ানো ঘোষণা শুভেন্দুর

জানা গিয়েছে, ওই লেখার কারণে বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় । সূত্রের খবর, সেখানে সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য প্রশ্ন তোলেন, কেন দলের কাছে এই বিষয়ে খবর ছিল না ? তখনই অজন্তার অজান্তে এই লেখা প্রকাশের বিষয়টি কেউ একজন তুলে ধরেন বলে খবর ৷

ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে দলের তরফ থেকে এই নিয়ে কেন কোনও প্রতিবাদ করা হল না ? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় সংবাদমাধ্যমে সামান্যতম ভুল কিছু প্রকাশিত হলেই সিপিএমের তরফে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হত ৷ ভুল শুধরে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হত ৷ কিন্তু এখন কেউই এই নিয়ে মাথা ঘামালেন না ৷ তাহলে সংগঠনের দুর্বল অবস্থায় সিপিএমের ডামাডোল আরও বৃদ্ধি পেয়েছে ? কোন বিষয়ে প্রতিবাদ করা উচিত, তা ঠিক করতেই সময় কেটে যাচ্ছে ? আপাতত এই প্রশ্নগুলিই তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৷

আরও পড়ুন : Mamata-Nitin : রাজ্যে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি কারখানার দাবি নিয়ে নিতিনের দরবারে মমতা

যদিও অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু করতে গেলে সিপিএমই অস্বস্তিতে পড়বে ৷ কারণ, ঘনিষ্ঠ মহলে অজন্তা নাকি সিপিএমের নেতাদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন । তিনি নাকি জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর পরিবার যখন কোভিড আক্রান্ত হন, তখন তৃণমূল নেত্রী তাঁদের খোঁজ নিয়েছিলেন । অথচ সিপিএমের তরফ থেকে কোনও খবর নেওয়া হয়নি ।

ফলে রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই জায়গা থেকে কিছুটা হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindrabharati University) এই অধ্যাপিকা ৷ তাই তিনি এই উত্তর সম্পাদকীয় লিখতে রাজি হয়েছেন ৷ সেই কারণে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমল মুখোপাধ্যায় এই ঘটনাকে নিতান্তই কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দিতে রাজি নন । তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, জাগো বাংলায় অনিল-কন্যার লেখা তাঁর সম্মতি ছাড়া ছাপানো কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না ।

আরও পড়ুন : জাগোবাংলায় কলম ধরলেন অজন্তা, অনিলকন্যার অবস্থান ঘিরে কৌতূহল

তৃণমূল অবশ্য এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতে নারাজ ৷ দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), সকলেই এই লেখার গুণমানের উপর আলোচনা করার পক্ষে সওয়াল করেছেন ৷ অজন্তার বাবার রাজনৈতিক পরিচয় টানা উচিত নয় বলেই তাঁরা মনে করেন ৷ কিন্তু সিপিএমই কার্যত গোটা ঘটনার রাজনীতিকরণ করছে বলে শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে ৷

এবার এই পরিস্থিতিতে অজন্তা পরবর্তী কিস্তিতে কী লিখবেন ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন কী হবে ? তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে ৷ তার সঙ্গে একই ভাবে অনেকে জানতে চাইছেন যে অজন্তা কি এবার রাজনীতিতে আসবেন ? তৃণমূল কংগ্রেসের মাধ্যমেই কি তিনি রাজনীতি শুরু করবেন ?

আরও পড়ুন : লক্ষ্য 2024, তৃণমূলের নতুন স্লোগান "আবকি বার দিদি সরকার"

অমল মুখোপাধ্যায় মনে করছেন, এই লেখা তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর (অজন্তা) নৈকট্যের একটা আভাস দেয় । আগামিদিনে তিনি যদি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না ৷

কলকাতা, 29 জুলাই : একটা উত্তর সম্পাদকীয় ৷ যা লিখেছেন সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস (Ajanta Biswas) ৷ লিখেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) মুখপত্র জাগো বাংলায় (Jagobangla) ৷ আর তা নিয়েই গত দুই দিন ধরে রীতিমতো ডামাডোল চলছে সিপিআইএমের (CPIM) অন্দরে ৷ এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে দলের তরফে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি ৷ সিপিএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷

অথচ দলেরই একটি মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, ঘনিষ্ঠ মহলে অজন্তা নাকি জানিয়েছেন তৃণমূল মুখপত্রে তাঁর লেখা ছাপা হবে সেটা তিনি জানতেন না । এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে যে তাঁর অজ্ঞাতে যদি ওই উত্তর সম্পাদকীয় ছাপা হয়, তাহলে তিনি কোনও প্রতিবাদ করলেন না কেন ? গতকাল, বুধবার সকালে ওই উত্তর সম্পাদকীয় প্রকাশিত হয়েছে জাগো বাংলায় ৷ তার পর থেকে কেন তিনি এই নিয়ে কোনও বক্তব্য দিলেন না ৷ উপরন্তু আজ, বৃহস্পতিবার বঙ্গরাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে তাঁর উত্তর সম্পাদকীয়র দ্বিতীয় কিস্তি প্রকাশিত হয়েছে ৷ আগামিকাল তৃতীয় কিস্তি প্রকাশিত হবে ৷

আরও পড়ুন : Mamata-Suvendu : হার নিশ্চিত জেনেই রাজ্যসভার ভোট থেকে সরে দাঁড়ানো ঘোষণা শুভেন্দুর

জানা গিয়েছে, ওই লেখার কারণে বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় । সূত্রের খবর, সেখানে সম্পাদকমণ্ডলীর একাধিক সদস্য প্রশ্ন তোলেন, কেন দলের কাছে এই বিষয়ে খবর ছিল না ? তখনই অজন্তার অজান্তে এই লেখা প্রকাশের বিষয়টি কেউ একজন তুলে ধরেন বলে খবর ৷

ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে দলের তরফ থেকে এই নিয়ে কেন কোনও প্রতিবাদ করা হল না ? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একসময় সংবাদমাধ্যমে সামান্যতম ভুল কিছু প্রকাশিত হলেই সিপিএমের তরফে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হত ৷ ভুল শুধরে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হত ৷ কিন্তু এখন কেউই এই নিয়ে মাথা ঘামালেন না ৷ তাহলে সংগঠনের দুর্বল অবস্থায় সিপিএমের ডামাডোল আরও বৃদ্ধি পেয়েছে ? কোন বিষয়ে প্রতিবাদ করা উচিত, তা ঠিক করতেই সময় কেটে যাচ্ছে ? আপাতত এই প্রশ্নগুলিই তুলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৷

আরও পড়ুন : Mamata-Nitin : রাজ্যে ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি কারখানার দাবি নিয়ে নিতিনের দরবারে মমতা

যদিও অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে এই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু করতে গেলে সিপিএমই অস্বস্তিতে পড়বে ৷ কারণ, ঘনিষ্ঠ মহলে অজন্তা নাকি সিপিএমের নেতাদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন । তিনি নাকি জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর পরিবার যখন কোভিড আক্রান্ত হন, তখন তৃণমূল নেত্রী তাঁদের খোঁজ নিয়েছিলেন । অথচ সিপিএমের তরফ থেকে কোনও খবর নেওয়া হয়নি ।

ফলে রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই জায়গা থেকে কিছুটা হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পড়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Rabindrabharati University) এই অধ্যাপিকা ৷ তাই তিনি এই উত্তর সম্পাদকীয় লিখতে রাজি হয়েছেন ৷ সেই কারণে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক অমল মুখোপাধ্যায় এই ঘটনাকে নিতান্তই কাকতালীয় বলে উড়িয়ে দিতে রাজি নন । তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, জাগো বাংলায় অনিল-কন্যার লেখা তাঁর সম্মতি ছাড়া ছাপানো কোনও ভাবেই সম্ভব ছিল না ।

আরও পড়ুন : জাগোবাংলায় কলম ধরলেন অজন্তা, অনিলকন্যার অবস্থান ঘিরে কৌতূহল

তৃণমূল অবশ্য এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করতে নারাজ ৷ দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) থেকে মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), সকলেই এই লেখার গুণমানের উপর আলোচনা করার পক্ষে সওয়াল করেছেন ৷ অজন্তার বাবার রাজনৈতিক পরিচয় টানা উচিত নয় বলেই তাঁরা মনে করেন ৷ কিন্তু সিপিএমই কার্যত গোটা ঘটনার রাজনীতিকরণ করছে বলে শাসকদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে ৷

এবার এই পরিস্থিতিতে অজন্তা পরবর্তী কিস্তিতে কী লিখবেন ? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাঁর মূল্যায়ন কী হবে ? তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে ৷ তার সঙ্গে একই ভাবে অনেকে জানতে চাইছেন যে অজন্তা কি এবার রাজনীতিতে আসবেন ? তৃণমূল কংগ্রেসের মাধ্যমেই কি তিনি রাজনীতি শুরু করবেন ?

আরও পড়ুন : লক্ষ্য 2024, তৃণমূলের নতুন স্লোগান "আবকি বার দিদি সরকার"

অমল মুখোপাধ্যায় মনে করছেন, এই লেখা তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর (অজন্তা) নৈকট্যের একটা আভাস দেয় । আগামিদিনে তিনি যদি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না ৷

Last Updated : Jul 29, 2021, 10:19 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.