ETV Bharat / city

খুনই হয়েছেন গড়ফার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক, গ্রেপ্তার বাবা-মা

গড়ফার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ । গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতের মা-বাবাকে । তবে তাঁর ভাই পলাতক ।

photo
photo
author img

By

Published : May 29, 2020, 2:58 PM IST

কলকাতা, 29 মে : খুনই হয়েছেন গড়ফার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ওই যুবকের শরীরে মোট 13টি গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে । ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই যুবকের বাবা-মা কে । এই খুনের মূল অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের ভাই পলাতক । তার খোঁজ চলছে।

বুধবার সাড়ে এগারোটা নাগাদ চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রক্তাক্ত এক যুবককে । তাঁর নাম পূর্ণেন্দু মণ্ডল । বয়স 40 বছর । ওই যুবকের চিকিৎসা শুরু করলেও বিষয়টি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় পুলিশকে । এর মাঝে গতরাতে যুবকের মৃত্যু হয় । সেই বিষয়টি গতকাল গড়ফা থানায় জানানো হয় । পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য গতকাল দুপুরে মণ্ডল পাড়ায় যায়। সেই সময় প্রচুর মহিলাসহ প্রায় ২৫০ জন পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । তাদের অভিযোগ পূর্ণেন্দুর বাবা শম্ভুনাথ মণ্ডল, তাঁর মা এবং ভাই মিলে গতকাল বটি দিয়ে কোপায় । সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে পূর্ণেন্দুর । এর উপযুক্ত বিচারের দাবি করে জনতা । তারা চড়াও হয় মণ্ডল বাড়িতে। ভাঙচুর চালানো হয় শম্ভুনাথের বাড়িতে । জানা গেছে, ওই পূর্ণেন্দু প্রায় কুড়ি বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন । পাভলভ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।


পূর্ণেন্দুর দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে । সেই সূত্র ধরে খুনের ধারাতে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ । ঘটনায় ইতিমধ্যেই শম্ভুনাথ এবং তার স্ত্রী নমিতা মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । অভিযুক্ত ভাই পলাতক । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মৃতের ভাই মূলত বটি দিয়ে একের পর এক কোপ মারা হয় তাঁকে । তাতেই প্রবল রক্তক্ষরণ হয় । যদিও জেরায় শম্ভুনাথ পুলিশকে জানিয়েছে, মাঝে মধ্যেই বাড়িতে গোলমাল হত । খুন করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না । মৃতের গলায় বা ঘাড়ে কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি । সেই সূত্রেই তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছে, ঠিকই বলছেন শম্ভুনাথ। কিন্তু যেভাবে নৃশংসতার সঙ্গে নিজের দাদাকে কোপানো হয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্তা জানান, “ইতিমধ্যেই আমরা নির্দিষ্ট কিছু ক্লু পেয়েছি। মৃতের ভাই অবিলম্বে গ্রেপ্তার হবে।"

কলকাতা, 29 মে : খুনই হয়েছেন গড়ফার মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক। বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে। ওই যুবকের শরীরে মোট 13টি গভীর ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গেছে । ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই যুবকের বাবা-মা কে । এই খুনের মূল অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের ভাই পলাতক । তার খোঁজ চলছে।

বুধবার সাড়ে এগারোটা নাগাদ চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রক্তাক্ত এক যুবককে । তাঁর নাম পূর্ণেন্দু মণ্ডল । বয়স 40 বছর । ওই যুবকের চিকিৎসা শুরু করলেও বিষয়টি হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় পুলিশকে । এর মাঝে গতরাতে যুবকের মৃত্যু হয় । সেই বিষয়টি গতকাল গড়ফা থানায় জানানো হয় । পুলিশ বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য গতকাল দুপুরে মণ্ডল পাড়ায় যায়। সেই সময় প্রচুর মহিলাসহ প্রায় ২৫০ জন পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । তাদের অভিযোগ পূর্ণেন্দুর বাবা শম্ভুনাথ মণ্ডল, তাঁর মা এবং ভাই মিলে গতকাল বটি দিয়ে কোপায় । সেই কারণেই মৃত্যু হয়েছে পূর্ণেন্দুর । এর উপযুক্ত বিচারের দাবি করে জনতা । তারা চড়াও হয় মণ্ডল বাড়িতে। ভাঙচুর চালানো হয় শম্ভুনাথের বাড়িতে । জানা গেছে, ওই পূর্ণেন্দু প্রায় কুড়ি বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন । পাভলভ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।


পূর্ণেন্দুর দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে এসেছে । সেই সূত্র ধরে খুনের ধারাতে মামলা রুজু করেছে কলকাতা পুলিশ । ঘটনায় ইতিমধ্যেই শম্ভুনাথ এবং তার স্ত্রী নমিতা মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । অভিযুক্ত ভাই পলাতক । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মৃতের ভাই মূলত বটি দিয়ে একের পর এক কোপ মারা হয় তাঁকে । তাতেই প্রবল রক্তক্ষরণ হয় । যদিও জেরায় শম্ভুনাথ পুলিশকে জানিয়েছে, মাঝে মধ্যেই বাড়িতে গোলমাল হত । খুন করার কোনও অভিপ্রায় ছিল না । মৃতের গলায় বা ঘাড়ে কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি । সেই সূত্রেই তদন্তকারীদের একাংশ মনে করছে, ঠিকই বলছেন শম্ভুনাথ। কিন্তু যেভাবে নৃশংসতার সঙ্গে নিজের দাদাকে কোপানো হয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের শীর্ষ কর্তা জানান, “ইতিমধ্যেই আমরা নির্দিষ্ট কিছু ক্লু পেয়েছি। মৃতের ভাই অবিলম্বে গ্রেপ্তার হবে।"

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.