ETV Bharat / city

সংক্রমিত বহু ব্যাঙ্ককর্মী, তবে পরিষেবা অব্যাহত - কোরোনা আবহেও অব্যাহত ব্যাঙ্ক পরিষেবা

বর্তমানে রাজ্যে কোরোনা আক্রান্ত ব্যাঙ্ককর্মীর সংখ্যা 730 । 14 জন ব্যাঙ্ককর্মীর মৃত্যু হয়েছে ৷ বিপদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মীরা ৷

corona Infected many bank workers
সংক্রমিত
author img

By

Published : Aug 11, 2020, 2:50 AM IST

কলকাতা, 9 অগাস্ট : গত মাসে এই সময় রাজ্যের প্রায় 25 হাজার ব্যাঙ্ককর্মী কোরোনায় আক্রান্ত ছিলেন ৷ সুখের কথা অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷ তথাপি এখনও অবধি কোরোনা আক্রান্ত হয়ে 14 জন ব্যাঙ্ককর্মীর মৃত্যু হয়েছে ৷ বাড়তি সংক্রমণের দিনে গত তিন মাসে রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের একাধিক শাখায় আর্থিক লেনদেনের সময় কিছুটা কমানো হয়েছে । বেশ কয়েকটি শাখা বন্ধ রাখা হয়েছে । যেমন উত্তর 24 পরগনায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের একটি শাখায় পরপর সংক্রমণ ছড়ানোয় আপাতত বন্ধ ৷ অন্যদিকে, এমন অবস্থাতেও রাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি পরিষেবা যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে ৷ এ এক দ্বিমুখী চাপ ৷ একদিকে যেমন বিপদের দিনে ব্যাঙ্ক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা জরুরি, অন্যদিকে তেমনই পাবলিক ডিল করা ব্যাঙ্ককর্মীদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই ৷

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা জানাচ্ছে, কোরোনার দিনেও পরিষেবা বিঘ্নিত হতে দেননি কর্মীরা । বিপদ উপেক্ষা করে পরিষেবা দিয়েছেন তাঁরা ৷ গত মাস চারেকে পর্যাপ্ত গণপরিবহন ছিল না রাস্তায় ৷ তা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছে কাজ করেছেন কর্মীরা । সংগঠন আরও জানাচ্ছে, লকডাউনে নদিয়া থেকে কলকাতার কর্মস্থলে আসার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার দুই কর্মীর । এছাড়াও যেভাবেই হোক কর্মস্থলে আসতে গিয়ে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে । অনভ্যস্ত হাতে গাড়ি অথবা বাইক চালিয়ে অফিসে আসতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছেন ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা ।

বহু কর্মী আক্রান্ত তবু ব্যাঙ্ক পরিষেবা অব্যাহত ৷

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, "গ্রাহক পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে ৷ তবে, গ্রাহকদের স্বার্থেই কিছু পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে । অন্যদিকে বাড়তি সংক্রমণ এড়াতে গ্রাহকরা যাতে অযথা ব্যাঙ্কে না আসেন সে বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । যেমন পাসবুক প্রিন্টিং আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ।"

সঞ্জয় দাস আরও জানান, "গত তিন মাসে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় 500 টাকা করে দেওয়া হয়েছে অতি দরিদ্রদের । ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার হয় ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমেই । আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই ৷ কৃষকদের আর্থিক সহায়তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণদান, সবকিছুই চলছে ব্যাঙ্ক মারফত ।"

সংগঠনের একটি তথ্য জানাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে 200 জন গ্রাহকের সংস্পর্শে আসতে হয় একজন ব্যাঙ্ককর্মীকে । গ্রামের ক্ষেত্রে কোনও কোনও শাখা প্রতিদিন হাজার খানেক মানুষের ভিড় সামলায় । এভাবেই সংক্রমিত হচ্ছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা । বর্তমানে রাজ্যে কোরোনা আক্রান্ত ব্যাঙ্ক কর্মীর সংখ্যা 730 । এই অবস্থায় কর্মীদের নিয়ে শঙ্কিত ব্যাঙ্ক অফিসার্স ইউনিয়ন ৷ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় রাজ্যের অধিকাংশ ব্যাঙ্কের শাখা সপ্তাহে দু'দিন করে বন্ধ রাখার পরেও আক্রান্ত কমেনি । অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার তথ্য বলছে, 96% রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এমন কঠিন সময়েও পরিষেবা অব্যাহত রেখেছে । অর্থাৎ কি না দ্বিমুখী সমস্যার সমাধান হচ্ছে না কিছুতেই ৷

ব্যাঙ্ককর্মীরা সংক্রমিত হলেও ব্যঙ্ক পরিষেবা বন্ধ করা যে সম্ভব না ! দেশের স্বার্থে, মানুষের জন্য ৷

কলকাতা, 9 অগাস্ট : গত মাসে এই সময় রাজ্যের প্রায় 25 হাজার ব্যাঙ্ককর্মী কোরোনায় আক্রান্ত ছিলেন ৷ সুখের কথা অধিকাংশই সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৷ তথাপি এখনও অবধি কোরোনা আক্রান্ত হয়ে 14 জন ব্যাঙ্ককর্মীর মৃত্যু হয়েছে ৷ বাড়তি সংক্রমণের দিনে গত তিন মাসে রাজ্যের বিভিন্ন ব্যাঙ্কের একাধিক শাখায় আর্থিক লেনদেনের সময় কিছুটা কমানো হয়েছে । বেশ কয়েকটি শাখা বন্ধ রাখা হয়েছে । যেমন উত্তর 24 পরগনায় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের একটি শাখায় পরপর সংক্রমণ ছড়ানোয় আপাতত বন্ধ ৷ অন্যদিকে, এমন অবস্থাতেও রাজ্যের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি পরিষেবা যতটা সম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে ৷ এ এক দ্বিমুখী চাপ ৷ একদিকে যেমন বিপদের দিনে ব্যাঙ্ক পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা জরুরি, অন্যদিকে তেমনই পাবলিক ডিল করা ব্যাঙ্ককর্মীদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছেই ৷

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখা জানাচ্ছে, কোরোনার দিনেও পরিষেবা বিঘ্নিত হতে দেননি কর্মীরা । বিপদ উপেক্ষা করে পরিষেবা দিয়েছেন তাঁরা ৷ গত মাস চারেকে পর্যাপ্ত গণপরিবহন ছিল না রাস্তায় ৷ তা সত্ত্বেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে পৌঁছে কাজ করেছেন কর্মীরা । সংগঠন আরও জানাচ্ছে, লকডাউনে নদিয়া থেকে কলকাতার কর্মস্থলে আসার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার দুই কর্মীর । এছাড়াও যেভাবেই হোক কর্মস্থলে আসতে গিয়ে ছোটোখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে । অনভ্যস্ত হাতে গাড়ি অথবা বাইক চালিয়ে অফিসে আসতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ছেন ব্যাঙ্ক কর্মচারীরা ।

বহু কর্মী আক্রান্ত তবু ব্যাঙ্ক পরিষেবা অব্যাহত ৷

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সম্পাদক সঞ্জয় দাস বলেন, "গ্রাহক পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে ৷ তবে, গ্রাহকদের স্বার্থেই কিছু পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে । অন্যদিকে বাড়তি সংক্রমণ এড়াতে গ্রাহকরা যাতে অযথা ব্যাঙ্কে না আসেন সে বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । যেমন পাসবুক প্রিন্টিং আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে ।"

সঞ্জয় দাস আরও জানান, "গত তিন মাসে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় 500 টাকা করে দেওয়া হয়েছে অতি দরিদ্রদের । ডাইরেক্ট বেনিফিট ট্রান্সফার হয় ব্যাঙ্কগুলির মাধ্যমেই । আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্কের মাধ্যমেই ৷ কৃষকদের আর্থিক সহায়তা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণদান, সবকিছুই চলছে ব্যাঙ্ক মারফত ।"

সংগঠনের একটি তথ্য জানাচ্ছে, প্রতিদিন গড়ে 200 জন গ্রাহকের সংস্পর্শে আসতে হয় একজন ব্যাঙ্ককর্মীকে । গ্রামের ক্ষেত্রে কোনও কোনও শাখা প্রতিদিন হাজার খানেক মানুষের ভিড় সামলায় । এভাবেই সংক্রমিত হচ্ছেন ব্যাঙ্ককর্মীরা । বর্তমানে রাজ্যে কোরোনা আক্রান্ত ব্যাঙ্ক কর্মীর সংখ্যা 730 । এই অবস্থায় কর্মীদের নিয়ে শঙ্কিত ব্যাঙ্ক অফিসার্স ইউনিয়ন ৷ দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় রাজ্যের অধিকাংশ ব্যাঙ্কের শাখা সপ্তাহে দু'দিন করে বন্ধ রাখার পরেও আক্রান্ত কমেনি । অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স কনফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার তথ্য বলছে, 96% রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এমন কঠিন সময়েও পরিষেবা অব্যাহত রেখেছে । অর্থাৎ কি না দ্বিমুখী সমস্যার সমাধান হচ্ছে না কিছুতেই ৷

ব্যাঙ্ককর্মীরা সংক্রমিত হলেও ব্যঙ্ক পরিষেবা বন্ধ করা যে সম্ভব না ! দেশের স্বার্থে, মানুষের জন্য ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.