কলকাতা, 2 মার্চ : রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর বিস্ফোরণের ঘটনায় কেমিক্যাল শহিদুলকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন সিআইডির গোয়েন্দারা। এলাকায় শহিদুল থেকে কীভাবে পুলিশের খাতায় কেমিক্যাল শহিদুল হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের শিল্পী এই যুবক, তার বিস্তারিত তথ্য পেল সিআইডি৷
বিশেষত রাসায়নিক বিজ্ঞানে পারদর্শী ছিল শহিদুল। অভিযোগ, তবে ধীরে ধীরে শহিদুলের অসৎ সঙ্গে মেলামেশা বাড়তে থাকে। ফলে সে তার ওই পারদর্শিতা ভুল জায়গায় কাজে লাগায়। বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ কত অনুপাতে কীসের মিশ্রণে কীভাবে সেটি বিস্ফোরকের আকার দেওয়া যায়, তা ছিল শহিদুলের নখদর্পণে৷ আর এই ভাবেই পুলিশের রেজিস্টারের শহিদুল পরিচিতি হয় কেমিক্যাল শহিদুল নামে।
জানা গিয়েছে, এলাকায় একাধিক বেআইনি কাজের সঙ্গে লিপ্ত হয়ে পড়ে সে। সিআইডি সূত্রে খবর, ছোট থেকেই শহিদুল মুর্শিদাবাদ সুতি এলাকার বাসিন্দা। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। পড়াশোনায় ভালোই ছিল শহিদুল৷ তদন্তে নেমে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানতে পেরেছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। তবে ধৃত শহিদুলের বাংলাদেশে যাতায়াত ছিল। ফলে সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশি কোনও নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির মতো কোনও নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে কেমিক্যাল শহিদুলের কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই সন্দেহও উড়িয়ে দিচ্ছেন না সিআইডির গোয়েন্দারা।
জানা গিয়েছে, খোদ জাকির হোসেন তার বিরুদ্ধে একাধিক বার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। সেই রাগ থেকেই জাকির হোসেনকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়াই তার লক্ষ্য ছিল। ফলে সে নিজেই বোমা নিমতিতা স্টেশনে রেখে আসে। এই ঘটনায় তাঁকে যারা সাহায্য করেছিল, বর্তমানে তারাও সিআইডি হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন : আনিসুরের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার করতে গিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা রাজ্য সরকারের
গত 17 ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যাবেলা মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশন থেকে কলকাতায় আসার জন্য মন্ত্রী জাকির হোসেন নিমতিতা স্টেশনের উপর দিয়ে হাঁটছিলেন৷ তার সমর্থকরা এই সময় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা গুরুতরভাবে আহত হন মন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ তাঁর সমর্থকরা৷ ঘটনার পরপরই তদন্তভার চলে যায় রাজ্য পুলিশের সিআইডি হাতে। পাশাপাশি গঠন করা হয় সিট৷ তার মাথায় বসানো হয় এডিজি সিআইডি অনুজ শর্মাকে৷ ঘটনার পরের দিনই ঘটনাস্থলে সিআইডি এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা যান। এরপর এই দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার করে সিআইডি গোয়েন্দারা।