কলকাতা, 17 জুলাই : উপনির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী জেলাগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের চিঠি পাঠালেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (Chief Electoral Officer of West Bengal) আরিজ় আফতাব (Aariz Aftab) ৷ তাতে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকদের ভিভিপ্যাট ও ইভিএম পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷ উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন এবং দু’টি স্থগিত বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের দিন ঘোষণা নিয়ে জল্পনা চলছে ৷ এর মধ্যে উপনির্বাচন হবে কোচবিহার, কলকাতা দক্ষিণ, দক্ষিণ 24 পরগনা, উত্তর 24 পরগনা এবং নদিয়ায় ৷ এছাড়া, মুর্শিদাবাদের দু’টি স্থগিত আসনেও নির্বাচন হবে ৷ আরিজ় আফতাব তাঁর পাঠানো চিঠিতে সাফ জানিয়েছেন, কঠোরভাবে করোনাবিধি মেনেই ভিভিপ্যাট ও ইভিএম পরীক্ষা করতে হবে ৷
আরও পড়ুন : উপনির্বাচনের জন্য তাড়াহুড়ো কেন ? মমতাকে প্রশ্ন শুভেন্দুর
রাজ্যের যে পাঁচটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে সেগুলি হল, ভবানীপুর, খড়দা, দক্ষিণ 24 পরগনার গোসাবা, শান্তিপুর এবং দিনহাটা ৷ ভবানীপুরে তৃণমূল প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় জিতলেও ফল প্রকাশের কিছুদিন পরই পদত্যাগ করেন তিনি ৷ উপনির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়বেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় ৷ খড়দা এবং গোসাবাতেও জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থীরা ৷ কিন্তু পরে তাঁদের দু’জনেরই মৃত্য়ু ৷ এছাড়া, শান্তিপুর ও দিনহাটায় জয়ী হন বিজেপির দুই সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও নিশীথ প্রামাণিক ৷ কিন্তু পরে সাংসদ পদ ধরে রাখতে পদত্যাগ করেন তাঁরা ৷ ফলে আপাতত এই পাঁচটি বিধায়ক পদই ফাঁকা ৷
অন্যদিকে, ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর এবং সামসেরগঞ্জে আরএসপি ও কংগ্রেস প্রার্থীর ৷ ফলে এই দু’টি কেন্দ্রে স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচনী প্রক্রিয়া ৷ তাই এই দু’টি আসনেও ভোট হবে ৷ সব মিলিয়ে মোট সাতটি আসনে ফের বাজতে চলেছে নির্বাচনী দামামা ৷
আরও পড়ুন : বঙ্গে রাজ্যসভার উপনির্বাচন ঘোষণা করল কমিশন, ভোট 9 অগস্ট
এদিকে, করোনা আবহে আদৌ উপনির্বাচন হবে কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে দড়ি টানাটানি ৷ তৃণমূলের অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আটকাতেই রাজ্যে উপনির্বাচন করাতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন ৷ আর সেটা করা হচ্ছে বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলি হেলনেই ৷ এমনকী বিষয়টি আদালত অবধি গড়ানোরও আশঙ্কা করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ ৷ এই প্রেক্ষাপটে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের এই চিঠি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ ৷ মনে করা হচ্ছে, পুজোর মরশুমের আগেই সেরে ফেলা হবে গোটা প্রক্রিয়া ৷