কলকাতা, 22 জানুয়ারি : বিএসএফের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা ৷ বরং বিএসএফ-এর প্রশংসা করেন তিনি ৷ বলেন, ‘‘বিএসএফ বরাবরই দেশের প্রতি দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে । কোনও ফোর্সকে এভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো নিরর্থক।’’
বিএসএফ-এর মদতে কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি ভোটার তালিকার নাম ওঠাতে সফল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে এই অভিযোগ করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ৷ যা প্রকাশ্যে আসার পর তীব্র সমালোচনা হয় ৷ বিএসএফ-এর তরফেও কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় ৷ এবার ওই মন্তব্য নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা।
সুনীল আরোরা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার প্রায় তিন ঘণ্টা শাসক ও বিরোধী দলগুলির সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি তাঁদের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে।’’ এর পরই তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করে বিএসএফ সম্পর্কিত ওই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন৷ তিনি বলেন, "যে রাজনৈতিক দল এই অভিযোগটি আমাদের সামনে রাখেন, তাদের আমরা কিছু উদাহরণ দেওয়া কথা বলি। বিএসএফ বরাবরই দেশের প্রতি দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে। কোনও ফোর্সকে এভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো নিরর্থক।"
এদিন নির্বাচন সংক্রান্ত আরও কিছু মন্তব্য করেন তিনি ৷ জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়ে রাজ্য পুলিশ ও অন্য সরকারি সংস্থা সমন্বয় সাধন করে চলবে ৷ নির্বাচনের সময় টাকা ও ক্ষমতার অপব্যবহার রুখতে সতর্ক থাকবে কমিশন৷ তিনজন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে৷ তাদের মধ্যে একজন বিশেষ পর্যবেক্ষক৷ দ্বিতীয় পর্যবেক্ষক আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখবেন ৷ আর তৃতীয় পর্যবেক্ষকের কাজ হবে নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের খরচের বিষয়টির উপর নজরদারি করা৷
একই সঙ্গে কমিশন সরকারি আধিকারিকদের কাজ নিয়ে কড়া থাকবে বলে জানিয়েছেন সুনীল আরোরা ৷ তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ভোট চলাকালীন যদি কমিশনের কোনও কর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তবে এক বছরের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : আদর্শ আচরণবিধি লাগু হলেই রাজ্যে বন্ধ বাইক ব়্যালি
এবার পশ্চিমবঙ্গে বুথের সংখ্যা বাড়ল 22 হাজারের মতো৷ মোট বুথ হল 1 লাখ 1 হাজার। তা ছাড়া এবার একাধিক বুথ মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন ৷ ভোটের সময় গুরুত্বপূর্ণ ইন্টার জংশনে ওয়েব কাস্টিং-এর ব্যবস্থা রাখতে হবে বলেও কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।