ETV Bharat / city

ছত্রধর মাহাত-র জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল - bail petition hearing completed ,

ছত্রধর মাহাত-র জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ তবে রায়দান স্থগিত রাখলেন বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজ খান ও জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ ৷

ফাইল ছবি
author img

By

Published : Aug 2, 2019, 10:32 PM IST

কলকাতা, 2 আগস্ট : UAPA (Unlawful Activities Prevention Act) মামলায় অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাতর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল আজ ৷ রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজ খান ও জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল শুনানি । শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল ডিভিশন বেঞ্চ । তবে শীঘ্রই এই মামলার রায়দান হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ ৷

26 সেপ্টেম্বর, 2009 লালগড়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ছত্রধর । তাঁর বিরুদ্ধে UAPA-র পাঁচটি ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ছ’টি ধারায় মামলা দায়ের হয় । তার মধ্যে অস্ত্র আইনও ছিল । এরপর 11 মে, 2015 UAPA-মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ছত্রধর-সহ জনগণের কমিটির চার নেতা । দোষী সাব্যস্ত করেন মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কাবেরী বসু । সকলেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক । ছত্রধর মাহাত ছাড়াও সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন
সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন ও সাগেন মুর্মু ছাড়া আরও দু'জন । 2018 সালের জুলাই মাস থেকে ছত্রধর মাহাতর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজ খান ও জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে । ছত্রধর মাহাতর আইনজীবী শেখর বসু জামিনের আবেদন জানান । শেখর বসু শুনানিতে বলেন, "ছত্রধর মাহাতকে সন্দেহের বশে রাষ্ট্রদ্রোহীতায় দোষী সাব্যস্ত করেছে নিম্ন আদালত । কারণ, CID-র তদন্তকারীরা তেমন কোনও জোরালো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি, যাতে প্রমাণিত হয় তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলেন । "


এদিকে 2009 সাল থেকে জেলে থাকলেও একাধিক বার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন ছত্রধর । এখন দেখার হাইকোর্ট আদৌও ছত্রধরের জামিন মঞ্জুর করে কি না ?

কলকাতা, 2 আগস্ট : UAPA (Unlawful Activities Prevention Act) মামলায় অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাতর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হল আজ ৷ রায়দান স্থগিত রাখল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজ খান ও জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল শুনানি । শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখল ডিভিশন বেঞ্চ । তবে শীঘ্রই এই মামলার রায়দান হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ ৷

26 সেপ্টেম্বর, 2009 লালগড়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ছত্রধর । তাঁর বিরুদ্ধে UAPA-র পাঁচটি ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ছ’টি ধারায় মামলা দায়ের হয় । তার মধ্যে অস্ত্র আইনও ছিল । এরপর 11 মে, 2015 UAPA-মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ছত্রধর-সহ জনগণের কমিটির চার নেতা । দোষী সাব্যস্ত করেন মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক কাবেরী বসু । সকলেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক । ছত্রধর মাহাত ছাড়াও সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন
সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন ও সাগেন মুর্মু ছাড়া আরও দু'জন । 2018 সালের জুলাই মাস থেকে ছত্রধর মাহাতর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি মহম্মদ মুমতাজ খান ও জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে । ছত্রধর মাহাতর আইনজীবী শেখর বসু জামিনের আবেদন জানান । শেখর বসু শুনানিতে বলেন, "ছত্রধর মাহাতকে সন্দেহের বশে রাষ্ট্রদ্রোহীতায় দোষী সাব্যস্ত করেছে নিম্ন আদালত । কারণ, CID-র তদন্তকারীরা তেমন কোনও জোরালো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি, যাতে প্রমাণিত হয় তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলেন । "


এদিকে 2009 সাল থেকে জেলে থাকলেও একাধিক বার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন ছত্রধর । এখন দেখার হাইকোর্ট আদৌও ছত্রধরের জামিন মঞ্জুর করে কি না ?

Intro:ছত্রধর মাহাতোর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হলো আজ Body:
মানস নস্কর---

ছত্রধর মাহাতোর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হলো আজ, রায়দান স্থগিত রাখলো হাইকোর্ট

কলকাতা ২ অগাস্ট ঃ
UAPA মামলায় অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাতো র জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হলো আজ।বিচারপতি মহঃ মুমতাজ খান ও জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে এতোদিন চলছিলো শুনানি। শুনানি শেষে রায়দান স্থগিত রাখলো ডিভিশন বেঞ্চ। তবে শীঘ্রই এই মামলার রায়দান হতে পারে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

২০০৯-এর ২৬ সেপ্টেম্বর লালগড়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন ছত্রধর। তাঁর বিরুদ্ধে ইউএপিএ-র পাঁচটি এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ছ’টি ধারায় মামলা দায়ের হয়। তার মধ্যে অস্ত্র আইনও ছিল।

এরপর ২০১৫ সালের ১১ মে ইউএপিএ (আনলফুল অ্যাক্টিভিটিজ প্রিভেনশন অ্যাক্ট) মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন ছত্রধর-সহ জনগণের কমিটির চার নেতা।
দোষী সাব্যস্ত করেন মেদিনীপুরের চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের  বিচারক কাবেরী বসু। এঁদের সকলেরই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক।ছত্রধর মাহাতো ছাড়াও সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন
সুখশান্তি বাস্কে, শম্ভু সরেন এবং সাগেন মুর্মু ছাড়াও আরো দুজন।

২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ছত্রধর মাহাতোর জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি শুরু হয় বিচারপতি মহঃমুমতাজ খান ও জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চে। ছত্রধর মাহাতোর আইনজীবী শেখর বসু জামিনের আবেদন জানান।শেখর বসু শুনানিতে বলেন, ছত্রধর মাহাতোকে সন্দেহের বশে রাষ্ট্রদ্রোহিতায় দোষী সাব্যস্ত করেছে নিম্ন আদালত। কারণ, সিআইডির তদন্তকারীরা তেমন কোনও জোরালো তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি যাতে প্রমাণিত হয় তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলেন।

এদিকে২০০৯ সাল থেকে জেলে থাকলেও একাধিক বার প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন ছত্রধর মাহাতো। এবং রাজ্যের শাসকদল তৃনমুলের সঙ্গেও ছত্রধর মাহাতোর ভালোই জোগাজোগ রয়েছে।একটা সময় ছত্রধর মাহাতো তৃণমূলের হয়ে জঙ্গল মহলে কাজ করবে বলেই ছত্রধর মাহাতোকে জামিনে মুক্ত করার ব্যাপারে রাজ্যে সরকারও উদ্যোগী বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহল।এখন দেখার হাইকোর্ট আদৌও ছত্রধর মাহাতোর জামিন মঞ্জুর করে কিনা!তবে হাইকোর্টের রায় ছত্রধর মাহাতোর পক্ষেই যাবে বলে ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.