কলকাতা, 2 নভেম্বর : স্ত্রী নিয়তি মাহাতকে সঙ্গে নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে এসেছিলেন জঙ্গলমহলের তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাত। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে যেতে হয়েছে তাঁকে। ব্যস্ততার কারণে দেখা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব।
ছত্রধর মাহাত বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটির সদস্য। দীর্ঘ জেল জীবন কাটিয়ে বাইরে বের হওয়ার পরেই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়। তাঁর হাতেই দলের জঙ্গলমহলের দায়িত্বভার ন্যস্ত করে। এমনকী শিশু সুরক্ষা কমিশনের সদস্য পদ দেওয়া হয় ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি মাহাতকে। 2030 সাল পর্যন্ত ওই পদে তাঁর স্ত্রীর সদস্যপদ থাকবে বলেও জানানো হয়। অর্থাৎ একের পর এক গুরুত্ব বৃদ্ধি করা হচ্ছে ছত্রধরদের।
বিজয়া উপলক্ষ্যে স্ত্রী নিয়তি মাহাতকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসেছিলেন ছত্রধর মাহাত। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবের সঙ্গে বিজয়া করার উদ্দেশ্যে এসেছিলেন বলেই সূত্রের খবর। যদিও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ফিরে যেতে হয় তাঁদের। তবে শুধুমাত্র বিজয়া নাকি অন্য কোনও রাজনৈতিক ইশু ছিল, তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। যদিও এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, "বিজয়ার পরে অনেকে দেখা করতে আসেন। অনেক বিরোধী দলের নেতারাও দেখা করতে এসেছেন। ছত্রধর তো আমাদের রাজ্য কমিটির সম্পাদক। পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলাম বলে দেখা হল না । তাঁর সঙ্গে দেখা না হওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। "
ছত্রধর মাহাতর বিরুদ্ধে 2009 সালে ঝাড়গ্রামের CPI(M) নেতা দীপক মাহাত খুনের ঘটনায় অভিযোগ ওঠে । এই দু'টি মামলাতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অভিযোগে NIA-কে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে । এর বিরুদ্ধে সুরক্ষার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান ছত্রধর । তারপর হাইকোর্ট ছত্রধর মাহাতকে তদন্তের কাজে সহযোগিতার নির্দেশ দেন । ছত্রধর মাহাতকে নিয়ে বিতর্ক এড়াতেই কী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন না ,এই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।