কলকাতা, 20 অগস্ট: সাধারণভাবে নির্দিষ্ট মোবাইল বা টেলিফোন নম্বরে 'কল' করে কারও সঙ্গে কথা বললে সেই কথোপকথন 'রেকর্ড' করা, বা তাতে আড়ি পাতা সহজ ৷ গরুপাচারের (West Bengal Cattle Smuggling Case) মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও এই তথ্য অজানা ছিল না ৷ আর সেই কারণেই কি পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য হোয়াট্সঅ্যাপ কল (Whatsapp Call)-এর আশ্রয় নিতেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ? গরুপাচারের তদন্তে নেমে এমনটাই আশঙ্কা করছেন সিবিআই (CBI) গোয়েন্দারা ৷ তাঁদের হাতে আসা তথ্য বলছে, পাচারের রাশ নিজের হাতে রাখতে নিয়মিত এনামুল হক (Enamul Haque) এবং সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) মোবাইলে কথা বলতেন অনুব্রত ৷ তবে, সাধারণ 'ফোন কল'-এ নয়, তাঁদের কথা হত হোয়াট্সঅ্য়াপ কল-এর মাধ্যমে !
সিবিআই সূত্রে, বীরভূমের ইলামবাজারে (Illambazar) রয়েছে বিশাল হাট ৷ সেই হাটেই বিক্রি হত গরু ৷ এই হাটের তদারকি যাঁরা করতেন, তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম ছিলেন গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত এনামুল হক ৷ পাচারে তাঁকে সাহায্য করতেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ৷ এনামুলকে প্রশাসনিক মদত জোগানোই ছিল সায়গলের প্রধান দায়িত্ব ৷ তবে, পাচার সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন অনুব্রত নিজে ৷ আর এই বিষয়ে যাবতীয় আলোচনা তিনি সারতেন হোয়াট্সঅ্য়াপ কলের মাধ্যমে ৷
আরও পড়ুন: IT Raids in Jharkhand Hotel: পার্থ ঘনিষ্ঠের খোঁজে হাজারিবাগের হোটেলে আয়কর তল্লাশি
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র এনামুল বা সায়গল নয়, হোয়াট্সঅ্য়াপ কলে পুলিশ প্রশাসনের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তার সঙ্গেও কথা হত অনুব্রতর ৷ ইতিমধ্যেই অনুব্রত, সায়গল এবং এনামুল-সহ একাধিক ব্যক্তির 'কল লিস্ট' খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় বহু তথ্য পেয়েছে সিবিআই ৷ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে অসংখ্য মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ, সিপিইউ, মনিটর বাজেয়াপ্ত করেছে তারা ৷ সেগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করাব হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ গোয়েন্দাদের অনুমান, ফরেনসিক পরীক্ষার কাজ শেষ হলেই অনুব্রত মণ্ডলের হোয়াট্সঅ্যাপ কল সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য হাতে পেয়ে যাবেন তাঁরা ৷ তাতে গরুপাচার চক্রের একাধিক 'মিসিং লিংক' জোড়া দেওয়া সহজ হবে ৷ তাই উদ্ধার হওয়া মোবাইল, কম্পিউটার প্রভৃতি হায়দরাবাদের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷