ETV Bharat / city

Anubrata Mondal হোয়াট্সঅ্যাপ কলে এনামুল, সায়গলের সঙ্গে কথা বলতেন অনুব্রত, অনুমান গোয়েন্দাদের

সিবিআই (CBI) জেরায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) দাবি করেছেন, এনামুল হকের (Enamul Haque) সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল না ৷ কিন্তু, গোয়েন্দাদের অনুমান, গরুপাচারের (West Bengal Cattle Smuggling Case) বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে এনামুল হক এবং সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) সঙ্গে নিয়মিত হোয়াট্সঅ্যাপ কল (Whatsapp Call) মারফত কথা বলতেন অনুব্রত ৷

CBI suspecting Anubrata Mondal contacts with Enamul Haque and Saigal Hossain via Whatsapp Call
Anubrata Mondal হোয়াট্সঅ্যাপ কলে এনামুল, সায়গলের সঙ্গে কথা বলতেন অনুব্রত, অনুমান গোয়েন্দাদের
author img

By

Published : Aug 20, 2022, 12:48 PM IST

কলকাতা, 20 অগস্ট: সাধারণভাবে নির্দিষ্ট মোবাইল বা টেলিফোন নম্বরে 'কল' করে কারও সঙ্গে কথা বললে সেই কথোপকথন 'রেকর্ড' করা, বা তাতে আড়ি পাতা সহজ ৷ গরুপাচারের (West Bengal Cattle Smuggling Case) মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও এই তথ্য অজানা ছিল না ৷ আর সেই কারণেই কি পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য হোয়াট্সঅ্যাপ কল (Whatsapp Call)-এর আশ্রয় নিতেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ? গরুপাচারের তদন্তে নেমে এমনটাই আশঙ্কা করছেন সিবিআই (CBI) গোয়েন্দারা ৷ তাঁদের হাতে আসা তথ্য বলছে, পাচারের রাশ নিজের হাতে রাখতে নিয়মিত এনামুল হক (Enamul Haque) এবং সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) মোবাইলে কথা বলতেন অনুব্রত ৷ তবে, সাধারণ 'ফোন কল'-এ নয়, তাঁদের কথা হত হোয়াট্সঅ্য়াপ কল-এর মাধ্যমে !

সিবিআই সূত্রে, বীরভূমের ইলামবাজারে (Illambazar) রয়েছে বিশাল হাট ৷ সেই হাটেই বিক্রি হত গরু ৷ এই হাটের তদারকি যাঁরা করতেন, তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম ছিলেন গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত এনামুল হক ৷ পাচারে তাঁকে সাহায্য করতেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ৷ এনামুলকে প্রশাসনিক মদত জোগানোই ছিল সায়গলের প্রধান দায়িত্ব ৷ তবে, পাচার সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন অনুব্রত নিজে ৷ আর এই বিষয়ে যাবতীয় আলোচনা তিনি সারতেন হোয়াট্সঅ্য়াপ কলের মাধ্যমে ৷

আরও পড়ুন: IT Raids in Jharkhand Hotel: পার্থ ঘনিষ্ঠের খোঁজে হাজারিবাগের হোটেলে আয়কর তল্লাশি

গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র এনামুল বা সায়গল নয়, হোয়াট্সঅ্য়াপ কলে পুলিশ প্রশাসনের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তার সঙ্গেও কথা হত অনুব্রতর ৷ ইতিমধ্যেই অনুব্রত, সায়গল এবং এনামুল-সহ একাধিক ব্যক্তির 'কল লিস্ট' খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় বহু তথ্য পেয়েছে সিবিআই ৷ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে অসংখ্য মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ, সিপিইউ, মনিটর বাজেয়াপ্ত করেছে তারা ৷ সেগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করাব হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ গোয়েন্দাদের অনুমান, ফরেনসিক পরীক্ষার কাজ শেষ হলেই অনুব্রত মণ্ডলের হোয়াট্সঅ্যাপ কল সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য হাতে পেয়ে যাবেন তাঁরা ৷ তাতে গরুপাচার চক্রের একাধিক 'মিসিং লিংক' জোড়া দেওয়া সহজ হবে ৷ তাই উদ্ধার হওয়া মোবাইল, কম্পিউটার প্রভৃতি হায়দরাবাদের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷

কলকাতা, 20 অগস্ট: সাধারণভাবে নির্দিষ্ট মোবাইল বা টেলিফোন নম্বরে 'কল' করে কারও সঙ্গে কথা বললে সেই কথোপকথন 'রেকর্ড' করা, বা তাতে আড়ি পাতা সহজ ৷ গরুপাচারের (West Bengal Cattle Smuggling Case) মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও এই তথ্য অজানা ছিল না ৷ আর সেই কারণেই কি পাচার সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য হোয়াট্সঅ্যাপ কল (Whatsapp Call)-এর আশ্রয় নিতেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ? গরুপাচারের তদন্তে নেমে এমনটাই আশঙ্কা করছেন সিবিআই (CBI) গোয়েন্দারা ৷ তাঁদের হাতে আসা তথ্য বলছে, পাচারের রাশ নিজের হাতে রাখতে নিয়মিত এনামুল হক (Enamul Haque) এবং সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) মোবাইলে কথা বলতেন অনুব্রত ৷ তবে, সাধারণ 'ফোন কল'-এ নয়, তাঁদের কথা হত হোয়াট্সঅ্য়াপ কল-এর মাধ্যমে !

সিবিআই সূত্রে, বীরভূমের ইলামবাজারে (Illambazar) রয়েছে বিশাল হাট ৷ সেই হাটেই বিক্রি হত গরু ৷ এই হাটের তদারকি যাঁরা করতেন, তাঁদের মধ্য়ে অন্যতম ছিলেন গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত এনামুল হক ৷ পাচারে তাঁকে সাহায্য করতেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ৷ এনামুলকে প্রশাসনিক মদত জোগানোই ছিল সায়গলের প্রধান দায়িত্ব ৷ তবে, পাচার সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতেন অনুব্রত নিজে ৷ আর এই বিষয়ে যাবতীয় আলোচনা তিনি সারতেন হোয়াট্সঅ্য়াপ কলের মাধ্যমে ৷

আরও পড়ুন: IT Raids in Jharkhand Hotel: পার্থ ঘনিষ্ঠের খোঁজে হাজারিবাগের হোটেলে আয়কর তল্লাশি

গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র এনামুল বা সায়গল নয়, হোয়াট্সঅ্য়াপ কলে পুলিশ প্রশাসনের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্তার সঙ্গেও কথা হত অনুব্রতর ৷ ইতিমধ্যেই অনুব্রত, সায়গল এবং এনামুল-সহ একাধিক ব্যক্তির 'কল লিস্ট' খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় বহু তথ্য পেয়েছে সিবিআই ৷ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে অসংখ্য মোবাইল ফোন, পেনড্রাইভ, সিপিইউ, মনিটর বাজেয়াপ্ত করেছে তারা ৷ সেগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা করাব হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ গোয়েন্দাদের অনুমান, ফরেনসিক পরীক্ষার কাজ শেষ হলেই অনুব্রত মণ্ডলের হোয়াট্সঅ্যাপ কল সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য হাতে পেয়ে যাবেন তাঁরা ৷ তাতে গরুপাচার চক্রের একাধিক 'মিসিং লিংক' জোড়া দেওয়া সহজ হবে ৷ তাই উদ্ধার হওয়া মোবাইল, কম্পিউটার প্রভৃতি হায়দরাবাদের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.