কলকাতা, 23 অগস্ট : গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) গ্রেফতার হয়েছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ৷ আপাতত তিনি সিবিআইয়ের (CBI) হেফাজতে রয়েছেন ৷ আগামিকাল তাঁকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে (Asansol Special CBI Court) পেশ করা হবে ৷ ঠিক তার আগের দিন ওই বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারককে হুমকি চিঠি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ গোটা বিষয়টি পশ্চিম বর্ধমানের জেলা বিচারককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন ওই বিচারক ৷
আদালত সূত্রে খবর, ওই চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে যে অনুব্রত মণ্ডলকে যদি জামিন দেওয়া না হয়, তাহলে বিচারককে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে ৷ বিচারকের পরিবারও সমস্যায় পড়বে বলে চিঠিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে ৷ চিঠিতে প্রেরকের নাম রয়েছে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় ৷ তিনি নিজেকে পূর্ব বর্ধমানের নিম্ন আদালতের মুখ্য ক্লার্ক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন ৷ তাছাড়া দাবি করেছেন যে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের বর্ধমান শাখার সভাপতি ৷
যে বিচারককে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাঁর নাম রাজেশ চক্রবর্তী ৷ তিনি বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানা গিয়েছে ৷ তিনি এই নিয়ে চিঠি দিয়েছেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা বিচারককে ৷ তাঁর অনুরোধ, ওই চিঠির কপি যে কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে পাঠানো হয় ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে দীর্ঘদিন ধরে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে চাইছিল সিবিআই ৷ ন’বার জেরা করা হয় অনুব্রতকে ৷ কিন্তু মাত্র একবার হাজির হন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ৷ প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে তিনি হাজিরা এড়ান ৷
শেষে বীরভূমের বোলপুরে অনুব্রতর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীর 100 জন জওয়ানও গিয়েছিলেন সিবিআইয়ের সঙ্গে ৷ বাড়ি থেকেই অনুব্রতকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ওইদিনই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তাঁকে পেশ করা হয় ৷ বিচারক প্রথম দফায় তাঁকে 10 দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন ৷ পরের দফায় তাঁকে আরও চারদিনের জন্য সিবিআইয়ের হেফাজতে পাঠানো হয় ৷ আগামিকাল ফের তাঁকে আদালতে পেশ করবে সিবিআই ৷
আরও পড়ুন : গরু বোঝাই বড় লরির জন্য 20 হাজার, মুখবন্ধ খাম পৌঁছে যেত থানায়