ETV Bharat / city

2014 Primary Recruitment Case: 2014 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও একটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ৷ 2014 সালে প্রাথমিকের নিয়োগে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে (CBI Enquiry Order for 2014 Primary Recruitment Case) ৷

CBI Enquiry for 2014 Primary Recruitment Case
CBI Enquiry for 2014 Primary Recruitment Case
author img

By

Published : Jun 13, 2022, 4:21 PM IST

Updated : Jun 13, 2022, 5:14 PM IST

কলকাতা, 13 জুন : 2014 সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (CBI Enquiry Order for 2014 Primary Recruitment Case) ৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং সচিবকে আজ বিকেল 5টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই নির্দেশ মতো নিজাম প্যালেসে 5টার আগেই পৌঁছে যান পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ৷ সেই সঙ্গে এই মামলায় প্রাথমিকে নিয়োগ হওয়া 269 জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল ৷

এই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বিরুদ্ধে সিবিআই-কে এফআইআর দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷ আদালতের নির্দেশ না মানলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং সচিবের বিরুদ্ধে সিবিআই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ৷ এ দিন পৌনে পাঁচটেয় পর্ষদ সভাপতি হাজিরা দেন ৷

অভিযোগ উঠেছিল সুপ্রিয় সরকার নামে এক প্রার্থী প্রাথমিকের টেট পাশ না করেই চাকরি পয়েছেন ৷ সেই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয় ৷ শুনানিতে এ দিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আদালতে বলা হয়, 2014 সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন ভুল ছিল ৷ হাইকোর্টের নির্দেশেই সম্প্রতি 269 জন পরীক্ষার্থীকে সেই প্রশ্নগুলির পূর্ণ নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে হুগলি জেলার 68 জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে ৷

কিন্তু, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের যুক্তি মানতে চাননি ৷ তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, 23 লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কেন মাত্র 269 জনকে পাশ করানো হল ? এর উত্তরে পর্ষদের আইনজীবী জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, যাঁদের ডিএলএড ট্রেনিং আছে তাঁদের নথি জমা দিতে হবে ৷ সেই নথি যাচাই করেই 269 জনকে পাশ করানো হয় ৷ কিন্তু, সেই যুক্তিও সঠিক বলে মনে করেননি বিচারপতি ৷ নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি ৷

2014 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্তেও সিবিআই তদন্ত

আরও পড়ুন : Primary Recruitment Case : প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় চন্দন মণ্ডল ও উপেন বিশ্বাসকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

প্রসঙ্গত, 2016 সালে এই টেট পরীক্ষার প্রথম দফার নিয়োগ হয়েছিল ৷ সেই সময় মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ এর পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার নিয়োগে পর্ষদ মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এ নিয়ে 2018 সালে মামলা হয় ৷ সেই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সম্প্রতি 269 জনকে নিয়োগ করা হয়েছে 23 লক্ষ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৷ ওই 269 জন শিক্ষককে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ তাঁরা যাতে স্কুলে প্রবেশ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ডিআই-কে ৷ সেই সঙ্গে বেতন বন্ধ করা এবং এ ক’দিনে যা বেতন তাঁরা পেয়েছেন, সেগুলি ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷

কলকাতা, 13 জুন : 2014 সালের প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (CBI Enquiry Order for 2014 Primary Recruitment Case) ৷ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং সচিবকে আজ বিকেল 5টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই নির্দেশ মতো নিজাম প্যালেসে 5টার আগেই পৌঁছে যান পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য ৷ সেই সঙ্গে এই মামলায় প্রাথমিকে নিয়োগ হওয়া 269 জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল ৷

এই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং পর্ষদের সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বিরুদ্ধে সিবিআই-কে এফআইআর দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷ আদালতের নির্দেশ না মানলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি এবং সচিবের বিরুদ্ধে সিবিআই যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে বলেও জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ৷ এ দিন পৌনে পাঁচটেয় পর্ষদ সভাপতি হাজিরা দেন ৷

অভিযোগ উঠেছিল সুপ্রিয় সরকার নামে এক প্রার্থী প্রাথমিকের টেট পাশ না করেই চাকরি পয়েছেন ৷ সেই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয় ৷ শুনানিতে এ দিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে আদালতে বলা হয়, 2014 সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন ভুল ছিল ৷ হাইকোর্টের নির্দেশেই সম্প্রতি 269 জন পরীক্ষার্থীকে সেই প্রশ্নগুলির পূর্ণ নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছে ৷ তাঁদের মধ্যে হুগলি জেলার 68 জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে ৷

কিন্তু, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদের যুক্তি মানতে চাননি ৷ তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন, 23 লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে কেন মাত্র 269 জনকে পাশ করানো হল ? এর উত্তরে পর্ষদের আইনজীবী জানান, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, যাঁদের ডিএলএড ট্রেনিং আছে তাঁদের নথি জমা দিতে হবে ৷ সেই নথি যাচাই করেই 269 জনকে পাশ করানো হয় ৷ কিন্তু, সেই যুক্তিও সঠিক বলে মনে করেননি বিচারপতি ৷ নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন তিনি ৷

2014 প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্তেও সিবিআই তদন্ত

আরও পড়ুন : Primary Recruitment Case : প্রাথমিক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় চন্দন মণ্ডল ও উপেন বিশ্বাসকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

প্রসঙ্গত, 2016 সালে এই টেট পরীক্ষার প্রথম দফার নিয়োগ হয়েছিল ৷ সেই সময় মেধাতালিকা প্রকাশ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ এর পর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার নিয়োগে পর্ষদ মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ ওঠে ৷ এ নিয়ে 2018 সালে মামলা হয় ৷ সেই মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সম্প্রতি 269 জনকে নিয়োগ করা হয়েছে 23 লক্ষ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৷ ওই 269 জন শিক্ষককে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ তাঁরা যাতে স্কুলে প্রবেশ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে ডিআই-কে ৷ সেই সঙ্গে বেতন বন্ধ করা এবং এ ক’দিনে যা বেতন তাঁরা পেয়েছেন, সেগুলি ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷

Last Updated : Jun 13, 2022, 5:14 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.