ETV Bharat / city

High Court : লালার বিরুদ্ধে বেআইনি কয়লা উত্তোলনের মামলা খারিজ হাইকোর্টের

বাঁকুড়ার মেজিয়ায় বেআইনি কয়লা উত্তোলন নিয়ে ওই মামলা করা হয়েছিল ৷ মামলাকারী একই ইস্যুতে একটি জনস্বার্থ মামলা আগেই দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে ৷ তথ্য গোপনের জন্য ওই মামলা খারিজ করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ৷

case-of-illegal-coal-mining-against-anup-majhi-dismissed-by-the-calcutta-high-court
High Court : লালার বিরুদ্ধে বেআইনি কয়লা উত্তোলনের মামলা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে
author img

By

Published : Aug 25, 2021, 2:02 PM IST

কলকাতা, 25 অগস্ট : কয়লাপাচারে (Coal Smuggling) অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালার (Lala) বিরুদ্ধে বেআইনি কয়লা উত্তোলন সংক্রান্ত একটি মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । বাঁকুড়ার (Bankura) মেজিয়ায় বেআইনি কয়লা উত্তোলন নিয়ে ওই মামলা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু তথ্য গোপনের জন্য ওই মামলা খারিজ করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ৷

আজ, বুধবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে ৷ কিন্তু শুনানির শুরুতে দেখা যায় মামলাকারী একই ইস্যুতে একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) আগেই দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে ৷ তা এই মামলায় তিনি গোপন করেছিলেন । সেই কারণেই বিচারপতি দেবাংশু বসাক মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন ।

আরও পড়ুন : Fake police officer : কলকাতায় গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক

পাশাপাশি বিরক্ত বিচারপতি দেবাংশু বসাকের হুঁশিয়ারি, ফের যদি এই ভুল করা হয়, তাহলে মামলাকারীকে জরিমানা করা হবে ৷ একই সঙ্গে নির্দেশে জানানো হয়েছে মামলাকারী চাইলে এই ব্যাপারে নতুন করে আদালতে আবেদন জানাতে পারেন ।

এর আগে মামলার শুনানিতে রাজ্যের পাশাপাশি সিবিআইয়ের (CBI) বক্তব্য জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট ৷ সেই ব্যাপারে আজ রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই বিষয়ে 30টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৷ তার মধ্যে 28টির ইতিমধ্যেই ফয়সালা হয়ে গিয়েছে ।" অন্যদিকে সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "কয়লা পাচারের অভিযোগে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে । আসানসোল এলাকায় এখন সিবিআই তদন্ত করছে ।"

আরও পড়ুন : Anup Majhi : লালার নামে মামলা ঠুকে খুনের হুমকি, আতঙ্কে দিন কাটছে মেজিয়াবাসীর

1991 সালে বাঁকুড়ার মেজিয়ায় মাটির নিচে কয়লা পাওয়া যায় । তারপর ইসিএলের মাধ্যমে বৈধ কয়লা উত্তোলনের পাশাপাশি বেআইনি কয়লা উত্তোলন চলছিল রমরমিয়ে । স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ জানান । অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সেখানে নিজেদের ক্যাম্প বসায় । ফলে কয়লা চুরি কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয় ।

কিন্তু 2015 সালে তৎকালীন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ক্যাম্প তুলে দেন বলে অভিযোগ । ফলে ফের শুরু হয় দেদার বেআইনি কয়লা উত্তোলন । ধীরে ধীরে এলাকার কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বসতবাড়িতে ফাটল ধরতে থাকে । এর বিরুদ্ধে 2017 সালে গ্রামবাসীরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ।

আরও পড়ুন : PAC Chairman : পিএসি শুনানিতে ‘‘ইচ্ছাকৃত দেরি’’, মুকুল রায় ও রাজ্যকে তোপ মামলাকারীর আইনজীবীর

সেই মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে জেলাশাসককে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ । সম্প্রতি ফের পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল গ্রামবাসীদের তরফেই । কিন্তু একই দাবিতে এর আগে তারা যে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন, তা জানাননি । সেই কারণেই তথ্য গোপন করায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক আজ মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন ।

কলকাতা, 25 অগস্ট : কয়লাপাচারে (Coal Smuggling) অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি (Anup Majhi) ওরফে লালার (Lala) বিরুদ্ধে বেআইনি কয়লা উত্তোলন সংক্রান্ত একটি মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । বাঁকুড়ার (Bankura) মেজিয়ায় বেআইনি কয়লা উত্তোলন নিয়ে ওই মামলা করা হয়েছিল ৷ কিন্তু তথ্য গোপনের জন্য ওই মামলা খারিজ করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক ৷

আজ, বুধবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে ৷ কিন্তু শুনানির শুরুতে দেখা যায় মামলাকারী একই ইস্যুতে একটি জনস্বার্থ মামলা (PIL) আগেই দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টে ৷ তা এই মামলায় তিনি গোপন করেছিলেন । সেই কারণেই বিচারপতি দেবাংশু বসাক মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন ।

আরও পড়ুন : Fake police officer : কলকাতায় গ্রেফতার ভুয়ো পুলিশ আধিকারিক

পাশাপাশি বিরক্ত বিচারপতি দেবাংশু বসাকের হুঁশিয়ারি, ফের যদি এই ভুল করা হয়, তাহলে মামলাকারীকে জরিমানা করা হবে ৷ একই সঙ্গে নির্দেশে জানানো হয়েছে মামলাকারী চাইলে এই ব্যাপারে নতুন করে আদালতে আবেদন জানাতে পারেন ।

এর আগে মামলার শুনানিতে রাজ্যের পাশাপাশি সিবিআইয়ের (CBI) বক্তব্য জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট ৷ সেই ব্যাপারে আজ রাজ্যের তরফে আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই বিষয়ে 30টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ৷ তার মধ্যে 28টির ইতিমধ্যেই ফয়সালা হয়ে গিয়েছে ।" অন্যদিকে সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, "কয়লা পাচারের অভিযোগে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে । আসানসোল এলাকায় এখন সিবিআই তদন্ত করছে ।"

আরও পড়ুন : Anup Majhi : লালার নামে মামলা ঠুকে খুনের হুমকি, আতঙ্কে দিন কাটছে মেজিয়াবাসীর

1991 সালে বাঁকুড়ার মেজিয়ায় মাটির নিচে কয়লা পাওয়া যায় । তারপর ইসিএলের মাধ্যমে বৈধ কয়লা উত্তোলনের পাশাপাশি বেআইনি কয়লা উত্তোলন চলছিল রমরমিয়ে । স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে প্রশাসনে অভিযোগ জানান । অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সেখানে নিজেদের ক্যাম্প বসায় । ফলে কয়লা চুরি কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হয় ।

কিন্তু 2015 সালে তৎকালীন বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ক্যাম্প তুলে দেন বলে অভিযোগ । ফলে ফের শুরু হয় দেদার বেআইনি কয়লা উত্তোলন । ধীরে ধীরে এলাকার কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, বসতবাড়িতে ফাটল ধরতে থাকে । এর বিরুদ্ধে 2017 সালে গ্রামবাসীরা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ।

আরও পড়ুন : PAC Chairman : পিএসি শুনানিতে ‘‘ইচ্ছাকৃত দেরি’’, মুকুল রায় ও রাজ্যকে তোপ মামলাকারীর আইনজীবীর

সেই মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে জেলাশাসককে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ । সম্প্রতি ফের পুনরায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছিল গ্রামবাসীদের তরফেই । কিন্তু একই দাবিতে এর আগে তারা যে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন, তা জানাননি । সেই কারণেই তথ্য গোপন করায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক আজ মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.