কলকাতা, 25 জুন : বেসরকারি স্কুলগুলির বর্ধিত ফি কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য । রাজ্যের এই বক্তব্য শোনার পর বেসরকারি স্কুলগুলির ফি বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা চার সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দিল আদালত ৷ বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত জানান, প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ।
বেশকিছু বেসরকারি স্কুলে লকডাউনের মধ্যেও অন্যায়ভাবে ফি বাড়িয়েছে, উঠছিল অভিযোগ ৷ প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয় । প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চেও গত সপ্তাহে দায়ের হয় একটি মামলা ।
মামলাকারী আইনজীবী প্রত্যুষ পাটোয়ারির বক্তব্য, আইন অনুযায়ী কোনও স্কুল রাজ্যের অনুমতি ছাড়া ফি বাড়াতে পারে না । তাঁর আরও অভিযোগ, ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে যখন, তখন গোটা দেশে মহামারি চলছে !
তিনি বলেন, "আইন অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে হয় না-লাভ না-ক্ষতির নীতিতে । ভারতীয় সংবিধানের 39 ধারার (F) ক্লজ অনুযায়ী, শিক্ষার্থীর উপর মানসিক চাপ পড়ছে কি-না সেটা দেখাও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের দায়িত্ব । লকডাউনে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, সেই সময় ছাত্র-ছাত্রী তথা অভিভাবকদের উপর যাতে অতিরিক্ত ফি-র বোঝা না চাপে সেটা দেখার দায় রাজ্যেরই । যে সমস্ত অভিভাবক সন্তানদের ভরতির ফি দিতে পারছেন না, তাদের সন্তানদের ভরতি যাতে না আটকায় সেটাও দেখুক রাজ্য ।"
এদিকে, হাইকোর্ট রাজ্যের তিন বেসরকারি স্কুল, মডার্ন হাইস্কুল ,হেরিটেজ স্কুল এবং লক্ষ্মীচাঁদ সিংহানিয়া স্কুলকে এই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়ার পর তারা আইনজীবী নিযুক্ত করেছে । আজকের শুনানিতে স্কুলের তরফের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, আদৌ এই বিষয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা যায় কি ? অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়, তারা বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বর্ধিত ফি কমানোর ব্যাপারে আলোচনা চালাচ্ছে । সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মামলাটিকে আগামী চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । চার সপ্তাহ পর মামলাটি ফের শোনা হবে বলে জানান বিচারপতিরা ৷