কলকাতা, 11 ফেব্রুয়ারি : প্রেসিডেন্সি জেলের বন্দি রঞ্জিত ভৌমিকের নিখোঁজ মামলার শুনানি চলাকালীন বিস্ময় প্রকাশ করল বিচারপতি টি এস শিভাগনানাম ও বিচারপতি হিরণ্মময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ । আদালতের বক্তব্য, ডিজিটাল মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা থাকলে নথি বিকৃত করা সম্ভব নয় । কিন্তু এখানে এখনও খাতায় নাম লেখায় সমস্যা হচ্ছে । বিচারপতি শিভাগনানাম চেন্নাইয়ের এক মুক্ত সংশোধনাগারের ডিজিটালাইজড তথ্য সংরক্ষণের বিষয়টি তুলে ধরেন আদালতে (Calcutta High Court refers to data digitalization over prisoner missing)।
আজ হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এই মামলায় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, এই তদন্তে ডিজি র্যাঙ্কের অফিসার হিসেবে উপকূলবর্তী বাহিনীর হরমনপ্রীত সিংকে নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ তিনি এখনও পর্যন্ত যা তদন্ত হয়েছে, সেই সংক্রান্ত সব রিপোর্ট আদালতের হাতে তুলে দেন । আগামী শুক্রবার এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ফের শুনানি হবে ।
গত 6 ডিসেম্বর বাগনান থানা এলাকা থেকে রঞ্জিত ভৌমিক নামে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক ব্যক্তিকে বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল বাগনান থানার পুলিশ । উলুবেড়িয়া নিম্ন আদালত তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ৷ কিন্তু 12 ডিসেম্বর তাঁর শারীরিক সমস্যার কারণে তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে স্থানান্তরিত করা হয় ।
21 ডিসেম্বর উলুবেড়িয়া আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় পরের দিন অর্থাৎ 22 ডিসেম্বর তাঁকে ছাড়ানোর জন্য প্রেসিডেন্সি জেলে যায় তাঁর পরিবার ৷ কিন্তু তারপর থেকে আর ওই ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া যায়নি । ওই ব্যক্তির সন্ধান পেতে পরিবার তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ৷
কলকাতা হাইকোর্ট জেল থেকে উধাও বন্দি কোথায় গেল, তা জানতে জেল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ-সহ আদালতে আসার নির্দেশ দিয়েছিল । কিন্তু প্রেসিডেন্সির সংশোধনাগারের সিসিটিভি বিকল থাকায় কোনও ফুটেজ আদালতে জমা করতে পারেননি জেল সুপার । কিছু নথিপত্র আদালতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে । ডিভিশন বেঞ্চ এর আগে মামলার শুনানিতে এই সমস্ত নথি রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে নিজের দায়িত্বে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন ৷ পাশাপাশি ডিজি মর্যাদার কোনও অফিসারকে এই বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন ।