কলকাতা, 17 নভেম্বর : রাজ্যের আবেদন খারিজ করে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গ্রেফতারিতে রক্ষাকবচ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ তিনটি পৃথক দুর্নীতি মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে পুলিশ-প্রশাসন ৷ সেই মামলাগুলিতে গ্রেফতারির হাত থেকে বাঁচতে কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দুর সেই আবেদন মঞ্জুর করেছিল ৷ কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে সেই রায়ের বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করা হয়েছিল ৷
সেখানে রাজ্যের তরফে আদালতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সিঙ্গল বেঞ্চের তরফে শুভেন্দু অধিকারীকে কেন এই রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে ? কিন্তু বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি কেসং ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের সেই আবেদনকে খারিজ করে ৷ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই বহাল রেখেছে ৷ যার পর ফের একবার স্বস্তিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷
এ দিনের রায় নিয়ে শুভেন্দুর আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য জানান, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে আমরা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম। সেই মামলায় আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল তাঁকে গ্রেফতার না করার ৷ কিন্তু, সিঙ্গল বেঞ্চের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করে রাজ্য সরকার ৷ আজ ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশে জানিয়েছে, রাজ্যের এই আপিল মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই ৷’’
আরও পড়ুন : SSC Corruption Case : শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
তিনি আরও জানান, ‘‘শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পাঁশকুড়া থানায় একটি মামলা রয়েছে ৷ পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করে টাকা নেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে ৷ আরেকটি মামলা রয়েছে তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীর রহস্য মৃত্যু সংক্রান্ত ৷ এই সমস্ত মামলাগুলিতে আগেই তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল ৷ সেই নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ ৷’’
আরও পড়ুন : Calcutta High Court : চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগ নিয়ে এসএসসি-কে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মামলা ছিল ৷ এর মধ্যে তাঁর দেহরক্ষীর মৃত্যুর মামলা এবং মানিকতলা থানায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে বেআইনিভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা তদন্ত পুলিশ করতে পারবে ৷ বাকি তিনটি মামলার ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। পাশাপাশা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও এফআইআর দায়ের হলে এবং তাঁকে গ্রেফতার করার আগে রাজ্য পুলিশকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে নির্দেশে জানিয়েছিলেন বিচারপতি ৷ সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিল রাজ্য ৷ এ দিন সেই আপিল খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৷