কলকাতা, 1 জুলাই: বাইক দুর্ঘটনায় ছেলেকে হারিয়ে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না-পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সায়রা বানু নামে এক মহিলা। ক্ষতিপূরণের সেই বকেয়া টাকা বীমা কোম্পানি যেন চার সপ্তাহের মধ্যে মৃতের পরিবারকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC directs to pay the compensation to Mehtab Hossain family) ৷ শুক্রবার বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত এই নির্দেশ দিয়েছেন।
2011 সালের 15 জুলাই মোটর বাইকে যাওয়ার সময় লরির ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক কর্মী মেহতাব হোসেন (29)। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ প্রায় 16 হাজার টাকা বেতন পেতেন তিনি। যুবকের মা বীমার টাকা পাওয়ার জন্য মোটর ট্রাইব্যুনাল আলিপুরের দ্বারস্থ হলে 2013 সালে তাঁকে প্রায় 8 লক্ষ টাকা বছরে 9 শতাংশ সুদ-সহ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । ক্ষতিপূরণ-বাবদ ভদ্রমহিলার প্রায় 20 লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা। কিন্তু ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স কোম্পানি 2013 সালে তাঁকে মাত্র 8 লক্ষ 75 হাজার টাকার কাছাকাছি একটি চেকে দিয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে বকেয়া টাকার দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সায়রা বানু নামে ওই ভদ্রমহিলা।
আরও পড়ুন : 'জ্যাঠামশাই'-এর সঙ্গে তিক্ততায় ইতি ! মুখোমুখি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ও অরুণাভ ঘোষ
হাইকোর্টে বীমা কোম্পানির তরফে বলা হয় ভদ্রমহিলার ছেলে দুর্ঘটনার দিন মাথায় হেলমেট না-দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। খারাপ গাড়ি চালানোর জন্য দুর্ঘটনার শিকার হন। পাশাপাশি ওই ভদ্রমহিলার আরও দুই পুত্রসন্তান রয়েছে। তারাই তাকে দেখাশোনা করে। যদিও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ইউনাইটেড ইনস্যুরেন্স কোম্পানির এই যুক্তি আইনের চোখে গ্রাহ্য নয় বলে উল্লেখ করেন। এবং বাকি প্রায় 11 লক্ষ টাকা আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ঐ ভদ্রমহিলাকে দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।