কলকাতা, 3 সেপ্টেম্বর : বেশ কয়েকদিন ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva bharati University) গেটের সামনে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ-আন্দোলন চলছে ৷ শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি মামলায় অন্তর্বর্তী নির্দেশ জারি করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মানথা ৷ তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের 50 মিটারের মধ্যে কোনও বিক্ষোভ করা যাবে না ।
আজ দুপুর 3টের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে যেখানে তালা দেওয়া আছে, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে অবিলম্বে তা খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত ৷ উপাচার্যের ঘরের সামনে যদি তালা দেওয়া থাকে, তাহলে তা অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । একই সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ, বিশ্বভারতীর ভিতরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও কর্মী বা শিক্ষককে বাধা দেওয়া যাবে না । বিশ্বভারতী চত্বরে সমস্ত আন্দোলন বন্ধ করতে হবে । শান্তিনিকেতন থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ।
আরও পড়ুন : DA case: ডিএ রাজ্যের আর্থিক সামর্থের উপর নির্ভরশীল, আদালতে সওয়াল এজির
পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যত সিসিটিভি রয়েছে, তা যাতে অবিলম্বে কার্যকর করা হয় তার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মানথা । আদালতের নির্দেশ কতটা কার্যকর করা হল, তা জানিয়ে আগামী বুধবারের মধ্যে সরকারপক্ষ এবং রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে ৷ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্য অতিরিক্ত তিনজন কনস্টেবল অবিলম্বে নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি ।
বিচারপতি রাজশেখর মানথা তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ছাত্র আন্দোলন আর শ্রমিক আন্দোলন এক নয় । ছাত্র আন্দোলনের নামে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে । যদি বন্ধ না করা হয় ভবিষ্যতে আরও কড়া পদক্ষেপ করবে কলকাতা হাইকোর্ট । গত কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যা চলছে, তা একেবারেই কাম্য নয়, পর্যবেক্ষণ বিচারপতির ।
আরও পড়ুন : Assembly By-poll : অবিলম্বে উপনির্বাচন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থে মামলা