কলকাতা, 10 মে : এটা পারস্পরিক দোষারোপের সময় নয় । কেন্দ্র-রাজ্য দু'পক্ষকে একসঙ্গে চেষ্টা করতে হবে রাজ্যে ভোট পরবর্তী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ৷ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের । এদিনই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের রিপোর্ট জমা পড়ে কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চে । রাজ্যের দাবি, গত কয়েকদিনে হিংসার ঘটনায় রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে প্রশাসন । 9 মে-এর পর থেকে আর কোনও গন্ডগোল হয়নি । মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেওয়ার পরই আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন যাতে হিংসার ঘটনা দ্রুত বন্ধ করা যায় । তারপর 7 মে পর থেকে হিংসার ঘটনা কমেছে ৷ 9 মে-এর পর থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও হিংসার ঘটেনি ঘটনা ঘটেনি ৷ এই কথা কলকাতা হাইকোর্টে জানান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল কিশোর দত্ত ।
অন্যদিকে কেন্দ্রের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনেরাল ওয়াই জে দস্তুর বলেন, 2 মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে গোটা রাজ্যের মানুষ ভীত, সন্ত্রস্ত ৷ চারদিক থেকে অভিযোগ আসছে । ইতিমধ্যে একাধিক মৃত্যু ঘটেছে । অথচ অভিযোগ করার জায়গা নেই, কারণ পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না । এতদিন ধরে যা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য সিট গঠন করা উচিত । বহু মানুষের ঘরবাড়ি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে । এরপর কার্যকরী প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরালের কাছে জানতে চান, প্রশাসন কি অনলাইনে অভিযোগ গ্রহণের ব্যবস্থা করেছে ? উত্তরে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনেরাল জানান, গত কয়েকদিনে রাজ্যের প্রায় কোনও হিংসার ঘটনা ঘটেনি । এতে কার্যকরী প্রধান বিচারপতি রাজ্যের ভূমিকার প্রশংসা করেন । পাশাপাশি তিনি বলেন, কেন্দ্র-রাজ্য পারস্পারিক দোষারোপ না করে যৌথভাবে যাতে শান্তি বজায় থাকে রাজ্যে সেই চেষ্টা করা দরকার। পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ আগামী মঙ্গলবার মামলাটি ফের শুনবেন বলে জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: কোভিড বিধি অমান্যের অভিযোগে ডেকে পাঠাল পুলিশ, নিজের ফেসবুক পেজে জবাব দিলেন বাবুল
রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে মামলা করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস । মামলার পরিপ্রেক্ষিতে 7 মে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের রিপোর্ট তলব করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট ।