কলকাতা, 27 ডিসেম্বর : বাড়ির পাশেই কুয়ো ৷ সেই কুয়োর ধারে বসে আর পাঁচটা দিনের মতোই বাসন মাজছিলেন বাপি সরকার ৷ হঠাৎ একটা আওয়াজ ৷ আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে আসে আশপাশের বাড়ির লোকেরা ৷ কুয়োর ধারে তখন আর নেই বাপি ৷ আধ মাজা কয়েকটা বাসন পড়ে আছে কুয়োর ধারে ৷ নিমেষে সবার চোখ যায় কুয়োর দিকে ৷ কুয়োর জলে তখনও মৃদু আন্দোলন ৷ কিন্তু কোথাও কোনও চিহ্ন নেই বাপির ৷ পরে কুয়োর মধ্যে তাঁকে দেখা গেলেও গভীর রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি ৷
পরিবারের সঙ্গে বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্কে থাকেন বাপি ওরফে সম্রাট সরকার ৷ বয়স বছর তিরিশের আশপাশে ৷ চাকরি বাকরি সেভাবে কিছু পাননি মৃগীরোগে আক্রান্ত বাপি ৷ বাড়ির কাজকর্ম করেন ৷ আজও বাসন মাজতে গেছিলেন ৷ সেইসময়ই কুয়োয় পড়ে যান তিনি ৷ খবর পাঠানো হয় রিজেন্ট পার্ক থানায় । ঘটনাস্থানে আসে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ৷ বাপির খোঁজে কুয়োতে ডুবুরি নামানো হয় ৷ কুয়োর জল ছেঁচে ফেলার চেষ্টা হয় ৷ কিন্তু, জল ছেঁচার পর ফের ভরে যাচ্ছে ৷ ফলে এখনও উদ্ধার করা যায়নি ৷
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাসন মাজার সময়ে মৃগীতে আক্রান্ত হন বাপি ৷ আর সেই সময়েই কুয়োতে পড়ে যান ৷