কলকাতা, 30 অগস্ট : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI) ৷ হিংসায় ‘আক্রান্ত’ বিজেপির কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যাতে সিবিআই গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখে ঠিকঠাক জবাব দিতে পারেন, তার জন্য বিজেপির 39 টি সাংগঠনিক জেলায় নতুন করে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করা হচ্ছে ৷ সেই কমিটিতে একজন করে পেশাদার আইনজীবীও নিয়োগ করা হচ্ছে ৷ যাতে আইনজীবীরা ঠিকঠাকভাবে বিজেপি কর্মীদের অভিযোগগুলি লিপিবদ্ধ করতে পারেন ৷ বিজেপির অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ইটিভি ভারতকে জানান, ‘‘বিজেপি কর্মীরা যাতে সঠিকভাবে আইনি পদক্ষেপগুলি করতে পারেন, তার জন্যই এই উদ্যোগ ৷ বিজেপির আইনজীবী সেল পুরো বিষয়টির নজরদারি করছে ৷’’
আরও পড়ুন : Post Poll Violence : নির্যাতিতার বাড়িতে শান্তিনিকেতন থানার ওসিকে ঢুকতে দিল না সিবিআই
বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় সিবিআই-এর প্রতিনিধিরা পৌঁছে গিয়েছেন ৷ ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত বিজেপি কর্মীরা যাতে তাঁদের সঠিকভাবে, আইন মাফিক বয়ান দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই প্রত্যেকটি সাংগঠনিক জেলায় বিশেষ কমিটি গড়ে তোলা হয়েছে ৷ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি কমিটিতে থাকবেন মোট পাঁচজন সদস্য ৷ সেই কমিটিতে বিজেপির জেলা সভাপতি-সহ জেলার অন্যান্য নেতৃত্বকে রাখা হচ্ছে ৷ বিজেপির অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত বিজেপির কর্মীদের মনোবল তলানিতে এসে ঠেকেছে ৷ সেক্ষেত্রে সিবিআই তদন্ত তাঁদের কিছুটা হলেও অক্সিজেন জোগাবে ৷ দলের তরফে তাই গোটা প্রক্রিয়ায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না ৷
আরও পড়ুন : Nisith on post poll Violence : হাইকোর্টের রায়ে প্রকৃত দোষীরা সাজা পাবে, বললেন নিশীথ
তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিজেপির এই পদক্ষেপকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করছে ৷ তাদের বক্তব্য, সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করতেই এত কাঠ, খড় পোড়াচ্ছে বিজেপি ৷ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি প্রতিহিংসাকে তার রাজনৈতিক অস্ত্র বানিয়ে ফেলেছে ৷ কাজেই ওদের পক্ষে এটাই স্বাভাবিক আচরণ ৷ কিন্তু বাংলার মানুষ এইসব মিথ্যাচারের সঙ্গে নেই ৷ তাঁরা চান উন্নয়ন ৷ সবচেয়ে বড় কথা, ভোটের পরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে তো তৃণমূল কর্মীদেরই ৷ কটা সিবিআই দল তাঁদের বাড়ি গিয়েছে ?’’