ETV Bharat / city

Khela Hobe Divas : সরকারি কার্যক্রমে তৃণমূলের রাজনীতি, খেলা হবে দিবসের সমালোচনা বিমান-সুজনের

author img

By

Published : Aug 15, 2021, 9:45 PM IST

রাজ্য সরকারের খেলা হবে দিবসের আয়োজনের সমালোচনা করলেন বিমান বসু (Biman Bose) এবং সুজন চক্রবর্তী ৷ তাঁদের যুক্তি করোনা আবহে এমন কর্মসূচির আয়োজন মানে রাজ্যে ফের সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে ৷ পাশাপাশি 16 অগস্ট সব দিক থেকেই শোকের দিন ৷ সেই দিনকে উৎসবের দিন হিসাবে পালন করার উদ্যোগেরও সমালোচনা করেন তাঁরা ৷

করোনা আবহে রাজ্য সরকারের খেলা হবে দিবসের আয়োজনের সমালোচনা করলেন বিমান বসু এবং সুজন চক্রবর্তী ৷
করোনা আবহে রাজ্য সরকারের খেলা হবে দিবসের আয়োজনের সমালোচনা করলেন বিমান বসু এবং সুজন চক্রবর্তী ৷

কলকাতা, 15 অগস্ট : "রাজ্য সরকার যদি করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পৃষ্ঠপোষক হয়, তাহলে বলার কিছুই নেই ।" এইভাবেই 16 অগস্টে খেলা দিবস উদযাপনের জন্য রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার সমালোচনা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose) । একই সুর সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) গলাতেও ৷

গত চল্লিশ বছর ধরে 16 অগস্ট পালিত হয়ে আসছে ফুটবলপ্রেমী দিবস হিসাবে ৷ 1980 সালের 16 অগস্ট ইডেনে কলকাতা লিগের ডার্বিতে 16 জন দর্শক পদপিষ্ট হয়েছিলেন । ইস্টবেঙ্গলের দিলীপ পালিত কড়া ট্যাকেল করেছিলেন মোহনবাগানের বিদেশ বসুকে । রেফারি সুধীন চট্টোপাধ্যায় লাল কার্ড দেখিয়ে দু'জনকে মাঠের বাইরে যেতে বললে গ্যালারিতে দুই দলের সমর্থকরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন । উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রেফারি লাঠিচার্জ করে । প্রাণ ভয়ে পালাতে গিয়ে জখম হন বহু । পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন 16 জন । সেবার লিগ বাতিল করেছিল আইএফএ । পরের বছর থেকে ফুটবলপ্রেমী দিবস পালন করা হয় । রক্তদান উৎসবের আয়োজনের পাশাপাশি স্মরণ করা হয় সেদিনের প্রয়াতদের । প্রকৃত অর্থেই স্মৃতি তর্পণ । সেই ফুটবলপ্রেমী দিবসকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) 'খেলা হবে দিবস' নামকরণ করে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।

চলতি বছর থেকে রাজ্য সরকার দিনটিকে শুধু 'খেলা হবে দিবস' পালন করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই । রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খেলার আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন । রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সোমবার বিকেলে ভারতের সিনিয়র ফুটবল দল এবং সন্তোষ ট্রফিতে অংশ নেওয়া বাংলা দলের মধ্যে খেলার আয়োজনের কথা জানিয়েছেন । তিনি বলেছেন, 'খেলা হয়েছে এবং তাতে মুখ্যমন্ত্রী 214টি গোল দিয়েছেন ।' করোনা আবহে খেলার আয়োজন মানেই ভাইরাস সুপার স্প্রেডেড হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । ক্রীড়ামন্ত্রী সচেতনতার ভরসায় এই উদ্যোগের কথা বলেছেন ।

করোনা আবহে রাজ্য সরকারের খেলা হবে দিবসের আয়োজনের সমালোচনা করলেন বিমান বসু এবং সুজন চক্রবর্তী ৷

সরকারি এই আয়োজনের মধ্যে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে বিরোধীরা ৷ স্কুল কলেজ খোলা যাচ্ছে না, রেল সর্বসাধারণের জন্য চালু করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা 31 অগস্ট পর্যন্ত টানা হয়েছে ৷ এই অবস্থায় খেলা হবে আয়োজন ভয়ঙ্কর বলে মনে করছেন তাঁরা । সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, '16 অগস্ট দিনটা সব অর্থে শোকের দিন । 1980 সালে ইডেনে 16 জন সমর্থক পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন । আরও পিছনের দিকে তাকালে 1946 সালের দাঙ্গার ক্ষত রয়েছে ওই দিনেই । সেই সব ভুলে খেলা হবে-র আয়োজনের চেষ্টা নিন্দনীয় । শোকের দিনে উৎসব পালন, পাগলু ড্যান্স তৃণমূলের পক্ষেই সম্ভব ।" কয়েক বছর আগে 21 জুলাইয়ের মঞ্চে তথাকথিত শোকের আবহে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে পাগলু ড্যান্সের আয়োজনের কথা উদাহরণ হিসাবে মনে করিয়ে দিয়েছেন সুজন । শুধু তাই নয়, 15 অগস্টের প্যারেডে খেলা হবে-র ট্যাবালো প্রদর্শনেরও সমালোচনা করেছেন তিনি ।

আরও পড়ুন : CPI(M) : প্রথমবার জাতীয় পতাকা উত্তোলনেই হোঁচট, বিমানকে বিড়ম্বনার হাত থেকে রক্ষা সেলিমের

কলকাতা, 15 অগস্ট : "রাজ্য সরকার যদি করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পৃষ্ঠপোষক হয়, তাহলে বলার কিছুই নেই ।" এইভাবেই 16 অগস্টে খেলা দিবস উদযাপনের জন্য রাজ্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার সমালোচনা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু (Biman Bose) । একই সুর সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) গলাতেও ৷

গত চল্লিশ বছর ধরে 16 অগস্ট পালিত হয়ে আসছে ফুটবলপ্রেমী দিবস হিসাবে ৷ 1980 সালের 16 অগস্ট ইডেনে কলকাতা লিগের ডার্বিতে 16 জন দর্শক পদপিষ্ট হয়েছিলেন । ইস্টবেঙ্গলের দিলীপ পালিত কড়া ট্যাকেল করেছিলেন মোহনবাগানের বিদেশ বসুকে । রেফারি সুধীন চট্টোপাধ্যায় লাল কার্ড দেখিয়ে দু'জনকে মাঠের বাইরে যেতে বললে গ্যালারিতে দুই দলের সমর্থকরা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন । উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রেফারি লাঠিচার্জ করে । প্রাণ ভয়ে পালাতে গিয়ে জখম হন বহু । পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন 16 জন । সেবার লিগ বাতিল করেছিল আইএফএ । পরের বছর থেকে ফুটবলপ্রেমী দিবস পালন করা হয় । রক্তদান উৎসবের আয়োজনের পাশাপাশি স্মরণ করা হয় সেদিনের প্রয়াতদের । প্রকৃত অর্থেই স্মৃতি তর্পণ । সেই ফুটবলপ্রেমী দিবসকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) 'খেলা হবে দিবস' নামকরণ করে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।

চলতি বছর থেকে রাজ্য সরকার দিনটিকে শুধু 'খেলা হবে দিবস' পালন করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই । রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে খেলার আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন । রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সোমবার বিকেলে ভারতের সিনিয়র ফুটবল দল এবং সন্তোষ ট্রফিতে অংশ নেওয়া বাংলা দলের মধ্যে খেলার আয়োজনের কথা জানিয়েছেন । তিনি বলেছেন, 'খেলা হয়েছে এবং তাতে মুখ্যমন্ত্রী 214টি গোল দিয়েছেন ।' করোনা আবহে খেলার আয়োজন মানেই ভাইরাস সুপার স্প্রেডেড হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । ক্রীড়ামন্ত্রী সচেতনতার ভরসায় এই উদ্যোগের কথা বলেছেন ।

করোনা আবহে রাজ্য সরকারের খেলা হবে দিবসের আয়োজনের সমালোচনা করলেন বিমান বসু এবং সুজন চক্রবর্তী ৷

সরকারি এই আয়োজনের মধ্যে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে বিরোধীরা ৷ স্কুল কলেজ খোলা যাচ্ছে না, রেল সর্বসাধারণের জন্য চালু করার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা 31 অগস্ট পর্যন্ত টানা হয়েছে ৷ এই অবস্থায় খেলা হবে আয়োজন ভয়ঙ্কর বলে মনে করছেন তাঁরা । সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, '16 অগস্ট দিনটা সব অর্থে শোকের দিন । 1980 সালে ইডেনে 16 জন সমর্থক পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছিলেন । আরও পিছনের দিকে তাকালে 1946 সালের দাঙ্গার ক্ষত রয়েছে ওই দিনেই । সেই সব ভুলে খেলা হবে-র আয়োজনের চেষ্টা নিন্দনীয় । শোকের দিনে উৎসব পালন, পাগলু ড্যান্স তৃণমূলের পক্ষেই সম্ভব ।" কয়েক বছর আগে 21 জুলাইয়ের মঞ্চে তথাকথিত শোকের আবহে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে পাগলু ড্যান্সের আয়োজনের কথা উদাহরণ হিসাবে মনে করিয়ে দিয়েছেন সুজন । শুধু তাই নয়, 15 অগস্টের প্যারেডে খেলা হবে-র ট্যাবালো প্রদর্শনেরও সমালোচনা করেছেন তিনি ।

আরও পড়ুন : CPI(M) : প্রথমবার জাতীয় পতাকা উত্তোলনেই হোঁচট, বিমানকে বিড়ম্বনার হাত থেকে রক্ষা সেলিমের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.