কলকাতা, 27 অক্টোবর : কাকুলিয়া রোডের জোড়া খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ভিকি হালদারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বড় কোনও অপরাধী ৷ এমনটাই ধারণা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের ৷ তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন, নিজের বাবাকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে কয়েকমাস জেল খেটে এসেছে ভিকি ৷ গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান জেলে থাকাকালীন কোনও এক বড় অপরাধীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিল সে ৷ এখন সেই অপরাধীর কাছেই গা ঢাকা দিয়ে আছে ভিকি হালদার ৷
পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণ থেকে গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ঘটনায় সেই তৃতীয় ব্যক্তিও যুক্ত থাকতে পারে ৷ কারণ কাকুলিয়া রোডে সুবীর চাকি এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুনের পর ভিকির সঙ্গে এক ব্যক্তি দেখা করতে এসেছিল ৷ পুলিশের সন্দেহ জোড়া খুনের ঘটনায় তৃতীয় ওই ব্যক্তিও সরাসরি যুক্ত রয়েছে ৷ এক্ষেত্রে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের কাছ থেকে গোয়েন্দারা তথ্য নিচ্ছেন যে, সেই সময় ভিকির সঙ্গে জেলে একই সেলে আর কোনও বন্দি ছিল কি না ৷ আর তাদের মধ্যে এখন কারাকারা জেলের বাইরে ৷ সেই তালিকা তৈরি করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ৷
আরও পড়ুন : Alapan Bandyopadhyay : রাজ্যের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাণনাশের হুমকি চিঠি
গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যাযাবরের মতো নিজেদের বাসস্থান বদল করত মিঠু হালদার এবং তার ছেলে ৷ জানা গিয়েছে প্রথমে ডায়মন্ড হারবারের নিউটন এলাকা এবং সেখান থেকে তার পর ভগবানপুর এলাকায় থাকতে শুরু করে ৷ শেষে নাইয়াপাড়ায় ভাড়া থাকত ভিকি ও তার মা মিঠু হালদার ৷ দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নেই মিঠু ও তার ছেলের ৷ ডায়মন্ডহারবার থেকে প্রতিদিন কলকাতায় এসে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত ভিকি ৷ কিন্তু, তার চালচলন দেখে মনে হত না যে, সে একজন সাধারণ নিরাপত্তারক্ষী ৷ এমনই জানিয়েছেন ভিকি’র কাকা ৷
আরও পড়ুন : Gariahat Police : বিনা মাস্কের যাত্রীদের সতর্ক, সংক্রমণ বাড়তেই রাস্তায় পুলিশ
ওই ব্যক্তি কথায়, বছর খানেক আগে একবার ভিকি তাঁর কাছে গিয়েছিল ৷ সেদিন স্যুটেড-বুটেড ভিকি বলেছিল, সে এখন মেট্রো রেলের ইঞ্জিনিয়ার ৷ বাংলা বা হিন্দি নয়, অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলছিল মাধ্যমিক ফেল ভিকি ৷ কাকাকে সে জানিয়েছিল, বাবাকে নিয়ে সে অন্য কোথাও থাকবে ৷ পুরনো সব তিক্ততা ভুলে যাওয়ারও অনুরোধ করেছিল ভিকি ৷ শেষ পর্যন্ত ডায়মন্ডহারবারে নিয়ে যায় বাবাকে এবং সেখানে বসেই মাকে সঙ্গে নিয়ে খুন করার ছক কষে ৷ সেই মামলা এখন ডায়মন্ডহারবার কোর্টে চলছে ৷