ETV Bharat / city

ভাঙছে বিধাননগর ও আসানসোলের পৌর বোর্ড? ভোট হতে পারে এপ্রিলেই

2020-র অক্টোবরে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা বিধাননগর ও আসানসোলের পৌর বোর্ডের ৷ কিন্তু তার আগেই ভেঙে দেওয়া হতে পারে বোর্ড ৷ আগামী এপ্রিলেই হতে পারে ওই দুই পৌরনিগমের নির্বাচন ৷

Bidhannagar municipal corporation
আসানসোল ও বিধাননগর পৌরনিগম
author img

By

Published : Jan 14, 2020, 7:19 PM IST

Updated : Jan 14, 2020, 8:00 PM IST

কলকাতা, 14 জানুয়ারি : মেয়াদ শেষের আগেই ভেঙে দেওয়া হতে পারে বিধাননগর ও আসানসোলের পৌর বোর্ড ৷ সব ঠিক থাকলে আগামী এপ্রিল মাসে বাকি 109 টি পৌরসভার সঙ্গেই ভোট হবে এই দুই পৌরনিগমেও ।

2015 সালের অক্টোবর মাসে তৈরি হয় বিধাননগর ও আসানসোলের পৌর বোর্ড । সেই হিসেবে ওই দুই পৌরনিগমের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা অক্টোবর মাসে । 2015 সালের বিধাননগর পৌরনিগমের নির্বাচনে ব্যাপক গন্ডগোল হয় । রীতিমতো রক্তাক্ত পৌর নির্বাচন দেখেছিল বিধাননগর‌ । তবে এবারের সেখানে সমীকরণ কিছুটা আলাদা । গত পৌর নির্বাচনের পর মেয়র হন সব্যসাচী দত্ত । রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে তিনি এখন BJP-র ডার্ক হর্স । সে-দিক থেকে এবার বিধাননগরে কঠিন লড়াই ।

আসানসোলের ক্ষেত্রেও লড়াইটা কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ । লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল শহরে BJP-র ভোট অনেকটাই বেড়েছে । সব ঠিক থাকলে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সামনে রেখেই আসানসোলে ভোটের ময়দানে নামবে তৃণমূল । অন্যদিকে বিধান নগরে তৃণমূলের বড় ভরসা হয়ে উঠতে চলেছেন একসময় CPI(M)-এর সৈনিক, অধুনা তৃণমূলে থাকা তাপস চট্টোপাধ্যায় ।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তাদের দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে যে তালিকা পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণের জন্য দেওয়া হয় তাতে নাম রয়েছে আসানসোল ও বিধাননগরের । এই দু'টির পূনর্বিন্যাস ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে । সংরক্ষণের তালিকা প্রস্তুতির কাজ প্রায় সারা । আগামী 17 জানুয়ারি সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে 93 টি পৌরসভা এবং পৌরনিগমের । তাতে থাকছে এই দু'টি পৌরনিগমের নামও । ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরও কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনের আগে করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে ।

কলকাতা, 14 জানুয়ারি : মেয়াদ শেষের আগেই ভেঙে দেওয়া হতে পারে বিধাননগর ও আসানসোলের পৌর বোর্ড ৷ সব ঠিক থাকলে আগামী এপ্রিল মাসে বাকি 109 টি পৌরসভার সঙ্গেই ভোট হবে এই দুই পৌরনিগমেও ।

2015 সালের অক্টোবর মাসে তৈরি হয় বিধাননগর ও আসানসোলের পৌর বোর্ড । সেই হিসেবে ওই দুই পৌরনিগমের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা অক্টোবর মাসে । 2015 সালের বিধাননগর পৌরনিগমের নির্বাচনে ব্যাপক গন্ডগোল হয় । রীতিমতো রক্তাক্ত পৌর নির্বাচন দেখেছিল বিধাননগর‌ । তবে এবারের সেখানে সমীকরণ কিছুটা আলাদা । গত পৌর নির্বাচনের পর মেয়র হন সব্যসাচী দত্ত । রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে তিনি এখন BJP-র ডার্ক হর্স । সে-দিক থেকে এবার বিধাননগরে কঠিন লড়াই ।

আসানসোলের ক্ষেত্রেও লড়াইটা কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ । লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল শহরে BJP-র ভোট অনেকটাই বেড়েছে । সব ঠিক থাকলে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সামনে রেখেই আসানসোলে ভোটের ময়দানে নামবে তৃণমূল । অন্যদিকে বিধান নগরে তৃণমূলের বড় ভরসা হয়ে উঠতে চলেছেন একসময় CPI(M)-এর সৈনিক, অধুনা তৃণমূলে থাকা তাপস চট্টোপাধ্যায় ।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তাদের দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নবান্নের তরফে যে তালিকা পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণের জন্য দেওয়া হয় তাতে নাম রয়েছে আসানসোল ও বিধাননগরের । এই দু'টির পূনর্বিন্যাস ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে । সংরক্ষণের তালিকা প্রস্তুতির কাজ প্রায় সারা । আগামী 17 জানুয়ারি সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে 93 টি পৌরসভা এবং পৌরনিগমের । তাতে থাকছে এই দু'টি পৌরনিগমের নামও । ভোট স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরও কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনের আগে করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে ।

Intro:কলকাতা, 14 জানুয়ারি: প্রায় দেড় বছর ধরে প্রশাসক বসিয়ে চলছে হাওড়া কর্পোরেশন। রাজ্যের সতেরোটি পৌরসভা ও পৌর নিগমের মেয়াদ শেষ হয়েছে 2017 সালে। সবকটির কাজ চলছে প্রশাসকের মাধ্যমে। এই পৌরসভা গুলির পুর পরিষেবা নিয়ে উঠেছে বিস্তর অভিযোগ। আবার বিরোধীদের তরফে বারবার দাবি জানানো হয়েছে পৌর নির্বাচনের। সে কথায় কর্ণপাত করেনি রাজ্য। সে দিক থেকে ভাগ্যবান হতে চলেছে বিধান নগর এবং আসানসোল কর্পোরেশন। সব ঠিক থাকলে সময়ের আগেই ভেঙ্গে দেওয়া হবে এই দুই কর্পোরেশনের বোর্ড। আগামী এপ্রিল মাসে অন্য 109 টি পৌরসভার সঙ্গেই ভোট হবে এই দুইটির।


Body:2015 সালের অক্টোবর মাসে তৈরি হয় বিধান নগর এবং আসানসোলের পৌরবোর্ড। সেই হিসেবে ওই দুই পৌরনিগমের বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা অক্টোবর মাসে। 2015 সালের বিধান নগর পুরো নিগমের নির্বাচনে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। রীতিমতো রক্তাক্ত পৌর নির্বাচন দেখেছিল বিধান নগর‌। তবে এবার সেখানে সমীকরণ কিছুটা আলাদা। গত পৌর নির্বাচনের পর সেখানে মেয়র হন সব্যসাচী দত্ত। রাজনৈতিক সমীকরণ পাল্টে তিনি এখন বিজেপির ডার্কহর্স। সে দিক থেকে এবার বিধান নগরে কঠিন লড়াই। আসানসোলের ক্ষেত্রেও লড়াইটা কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ লোকসভা নির্বাচনে আসানসোল শহরে বিজেপির ভোটের বৃদ্ধি। সব ঠিক থাকলে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সামনে রেখেই আসানসোলে ভোটে ঝাঁপাবে তৃণমূল। অন্যদিকে বিধান নগরে তৃণমূলের বড় ভরসা হয়ে উঠতে চলেছেন একসময় সিপিআইএমের সৈনিক অধুনা তৃণমূলে থাকা তাপস চ্যাটার্জি। এই দুই কর্পোরেশনেই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে কোনভাবেই পৌর নির্বাচনে রক্তপাত চায়না রাজ্য সরকার। আর তাই গন্ডগোলের আশঙ্কা থাকা এই দুটি করপোরেশনের নির্বাচন অন্য 109 সঙ্গেই করে ফেলতে চায় রাজ্য সরকার। তাতে শুধুমাত্র এই দুটি কর্পোরেশনের উপর নজর থাকবে না মিডিয়া এবং অন্যান্যদের। এসব ভেবেই কর্পোরেশনের বোর্ড ভেঙে দেওয়ার কথাবার্তা চলছে বলে খবর। রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, তাদের দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে নবান্নে তরফে যে তালিকা পুনর্বিন্যাস ও সংরক্ষণের জন্য দেওয়া হয় তাতে নাম রয়েছে আসানসোল ও বিধাননগরের। এই দুটির পূনর্বিন্যাস ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। সংরক্ষণের তালিকা প্রস্তুতির কাজ প্রায় সারা। আগামী 17 তারিখ সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হবে 93 টি পৌরসভা এবং কর্পোরেশনের। তাতে থাকছে এই দুটি কর্পোরেশনের নাম। নিয়ম অনুযায়ী ওইখান থেকে 10 সপ্তাহ পরে ভোট নিতে কোন অসুবিধা নেই। অর্থাৎ 27 মার্চের পরে যেকোনো দিন ভোট নেওয়া যেতে পারে। সেই সূত্রেই শোনা যাচ্ছে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে কলকাতা কর্পোরেশন নির্বাচন। মার্চে শেষ হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তারপর আর প্রচারে কোনো বাধা নেই। সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশের 10 সপ্তাহের মধ্যে ভোট করা যায় না ঠিকই, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে কোন অসুবিধা নেই। সেই সূত্রে মার্চ মাসে ঘোষণা করা হতে পারে কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিনক্ষণ। মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যেই হয়ে যেতে পারে মনোনয়ন প্রক্রিয়া। ট্রাডিশন বলছে, কলকাতা কর্পোরেশনের সঙ্গে অন্য পৌরসভা এবং পৌর নিগমের নির্বাচন করা হয় না। তৃণমূলের ভোট স্ট‍্যাটিজিস্ট প্রশান্ত কিশোর ও কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচনের আগে করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। গত সপ্তাহের শেষ দিকে কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠকে ভোটের ঢাকে কাঠি ফেলে দিয়েছেন প্রশান্ত। সেদিন তিনি কাউন্সিলরদের পরিচ্ছন্ন ইমেজ ও জনসংযোগের উপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি কোনো ভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের স্টাইলে নির্বাচন করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।সূত্রের খবর তেমনটাই। বৈঠকে নাকি প্রশান্ত বলেছেন, “ ধরে নিন ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন। আগামী বছর এপ্রিল মাসে বিধানসভা নির্বাচন। নিজের স্বার্থে এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে দলের ইমেজের ক্ষতি হয়।"


Conclusion:2015 সালেও কলকাতা পৌরসভার নির্বাচনের 15 দিন পরে অন্য পৌরসভা গুলির নির্বাচন হয়েছিল। সব ঠিক থাকলে সেই রীতি এবারও বজায় থাকবে। সূত্র জানাচ্ছে এর রাজনৈতিক কারণও রয়েছে। কলকাতা কর্পোরেশনের ভালো ফল করার জন্য বাম দলগুলি কংগ্রেস এবং বিজেপি কেউই তেমন কিছু করে উঠতে পারেনি। গত লোকসভা ভোটে কলকাতার বেশ কিছু ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে থাকলেও সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে শাসক দল। তৃণমূলের অন্দরমহল কলকাতা কর্পোরেশনের ভালো ফলের বিষয়ে 100% আশাবাদী। প্রশান্ত কিশোরের হিসেবও তেমনটাই। আর কলকাতা কর্পোরেশনের ভালো ফল হলে অন্য পৌরসভা এবং পৌর নিগমগুলিকে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। সেইসব চাই এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কলকাতা কর্পোরেশনের নির্বাচন করার পর বাকি পৌরসভা গুলিকে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। সূত্র জানাচ্ছে, 25 এপ্রিলের আগেই সবকটি পৌরসভা এবং পুরো নিগমের নির্বাচন সেরে ফেলতে চায় রাজ্য। কারণ ওই দিন থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। রমজান মাসে ভোটের বিষয়ে আপত্তি রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর।
Last Updated : Jan 14, 2020, 8:00 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.