কলকাতা, 9 জুন: খুনের ঘটনার দিন গুজরাতি দম্পতি অশোক শাহ এবং রেশমি শাহের বাড়িতে কেন এসেছিলেন তাঁদের মেজো জামাইয়ের এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় ? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই গোয়েন্দাদের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য । জানা যায়, মেজো মেয়ের জামাইয়ের আত্মীয়-স্বজন এই গুজরাতি দম্পতি খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে যুক্ত (Bhowanipore Double Murder case)।
পাশাপাশি ভবানীপুরে গুজরাতি দম্পতি খুনের জন্য ওড়িশা থেকে আনা হয়েছিল ভাড়াটে গুন্ডা (Contract killer hired from Odisha)। ইতিমধ্যেই ভবানীপুর কাণ্ডে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত আরও বেশ কয়েকজন আটক রয়েছে । তাদের লালবাজারে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা (Bhowanipore Murder case)।
জানা গিয়েছে, মেহেতা বিল্ডিং-এ যে টর্চ ব্যাটারির দোকান ছিল অশোক শাহের, সেই দোকান বিক্রির পিছনেও ছিল এই মেয়ে জামাইয়ের দূর সম্পর্কের আত্মীয় স্বজনের যোগসাজশ । পাশাপাশি ভবানীপুরের ওই ফ্ল্যাট জলের দরে মাত্র 60 লাখ টাকায় বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলেন অশোক শাহ । সম্প্রতি ব্যবসায় মন্দা যাওয়ার ফলে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা অশোক বাবু তাঁর মেয়ের জামাইয়ের ওই দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের কাছ থেকে ধার নিয়েছিলেন । কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না তিনি । টাকা শোধ করার জন্য একাধিকবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল অশোক শাহকে । ফলে চাপের মুখে পড়ে নিজের একাধিক সম্পত্তি জলের দরে বিক্রি করতে থাকেন ওই গুজরাতি দম্পতি । কিন্তু পুরো টাকা তিনি শোধ করতে পারেননি ।
আরও পড়ুন: Bhowanipore Double Murder case: ভবানীপুরে গুজরাতি দম্পতি খুনে গ্রেফতার 2
লালবাজারের দুঁদে গোয়েন্দাদের দাবি, ধারের টাকা শোধ করতে না পাড়ায় ওই গুজরাতি দম্পতিকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে তাঁর মেজো জামাইয়ের আত্মীয়রা । এই ঘটনায় সুপারি কিলারের কাজ করেছিল ওড়িশার 1 দুষ্কৃতী । জানা গিয়েছে, তাকে ভাড়া করে এ রাজ্যে আনা হয়েছিল । এই ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আটক রয়েছে । জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে লালবাজার । ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনায় আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।